আগের লেখা:
অনেকেই আমার আগের লেখার পর বলতে চেয়েছেন, আর্মি যদি ঘটনার সাথে সাথে আক্রমন করত তাহলে এত পরিমাণ আর্মি অফিসারকে আমাদের হারাতে হত না? আমি আমার সাধারণ জ্ঞানে যা বুঝি তাই আপনাদের বুঝাতে চেয়েছি। আমি শুধু এই টুকু বলতে চাই, যারা পিলখানার হোতা তারা এই প্লানটা অনেক আগে থেকেই করে রেখেছিল। তারা অবশ্যই আর্মি এটাক হলে কি করবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল। বিদ্রোহীদের ছোট করে দেখার কোন কারন নাই। তবে এটা অবশ্যই ভুল হয়েছিল যে, আর্মির কমান্ডোদের ভিতরে পাঠানো হয়নি। অনেকেই মনে করতে পারেন, এতেও তো সংঘর্ষ হতে পারত। এই সংঘর্ষ হলেও তারা ভীত থাকত। এতজন সেনা কর্মকর্তাকে মেরে ফেলার মত ধৃষ্টতা দেখাতে পারত না।
অনেকের মতে, সাহারা খাতুন সেইদিন রাতে গোলাগুলির ভিতর দিয়ে পিলখানা গেলেন। তিনি শুধু সেনা পরিবারগুলোকে রক্ষা করলেন, তিনি সেনা কর্মকর্তাদের কোন খোজখবর কেন নেননি। দেখুন, সাহারা খাতুন ভিতরে ঢুকার অনুমতি পেয়েছিলেন এই শর্তেই যে, জিম্মি পরিবারগুলোকে উনি ও তার সংগের লোকজন বাহির করে নিয়ে আসবেন। তিনি সেনা কর্মকর্তাদের রক্ষার জন্য অথবা তাদের সাথে সাক্ষাতের কোন অনুমতি পাননি। এমন কি পিলখানা থেকে বের হয়ে উনাকে বলতে শুনা গেছে, উনি ভিতরে কোন গুলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি। অথচ বাইরে থেকে অনেকেই এমনকি টিভি ক্যামরায় গুলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছিল। আসলে তিনি গুলাগুলির বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সম্ভবত তাকে বলা হয়েছিল, আপনার কাজ পরিবারগুলোকে রক্ষা করা । ভিতরের অন্য কোন তথ্য আপনি বাইরে দিবেন না।
সেনা কর্মকর্তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মিটিং এর অডিও বাইরে চলে আসাটা খুবই হতাশাজনক। নিজেদের ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে বাইরে এভাবে বলে বেড়ানো আমাদের দেশের জন্যই ক্ষতিকর।
তিনটি তদন্ত টিম কাজ করছে পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে । নতুন নতুন তথ্য প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারছে। তিন তদন্ত আশা করি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। দেশ ও মাটির শত্রুদের চিহ্নিত করবে।
মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, হে আল্লাহ! এ রকম অরক্ষিত অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে তুমি হেফাজত কর। আমীন।