ঢংয়ের দুনিয়া আজ রঙ শূন্য। চারিদিকে ডানাভাঙা প্রজাতি আর বিষণ্নতার ছাড়াছড়ি। করোনার মুখে লাথি মেরে বেপরোয়া চলাফেরা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ঈদ-মার্কেট নতুন কিছু নয়। দুশ্চিন্তার আকাশ কিছু কাল পর স্বচ্ছ হয়ে যাবে অথবা ভয় কেটে যাবে আমাদের। যতোই বলছি নিরানন্দ ঈদ কিন্তু অনেকের ঈদের মজা তো ধুয়ে যাচ্ছে না। ভাঙাচোড়া কিছু বাস চলা ব্যতীত দেশ ও দেশের মানুষ ঠিকই চলছে।
আমাদের মতো গরীব মানুষও শত শত টাকা খরচ করে রাস্তায় নামছে। বাজে লেখাকে কেউ চমৎকার বলে প্রশংসা করছে আর অসুন্দরী কেউ উচ্চ প্রশংসায় লুটিয়ে পড়ছে । এই দুর্দিনেও কেউ দশ পিচ পোশাক কিনছে কেউ আবার আত্মহত্যা করছে একটা জামা না পেয়ে।
যাইহোক আমার এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে কাটছে না। তবে পরিবার ছাড়া একা একা ঈদ করেছি জীবনে বহু বার। এটা নতুন কিছু নয়। অতো একটা খারাপও লাগে না। নতুন পোশাকটা দোকানেই পড়ে আছে। ওটা আনতে যাইনি করোনার ডরে। ভয়ে চুলও কাটতে পারছি না। এক শতাব্দি আগের পুরোনো বাড়িতে বসবাস করা কোনও চুল বড় সন্ন্যাসীর মতো লাগছে। এখন আমি নিজেকে চিনতে পারি। আগে পারতাম না।
বাড়িতে ফোন করলে আমার শরীর কেমন আছে জানতে চাওয়ার আগেই আম্মু জানতে চান চুল কেটেছি কিনা। ঈদের বাজার করেছি। লেখার হাত খারাপ হলেও রান্নার হাত বেশ ভালো। আমি বরাবরই আমার লেখা ও রান্নার ভক্ত। যারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন, যারা আমার মতো পরিবার ছাড়া ঈদ করছেন আর যারা বিদেশে আছেন ( কষ্টটা তাদের বেশি হয় বা হচ্ছে) সবাইকে ‘বাসি ঈদে’র শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২৬