প্রায় ১৩ দিন পর সামুতে ঢুকলাম
ঢুকেই নোটিশবোর্ডের পোষ্ট টা
পড়লাম পুরুটা । কিছু কিছু ক্ষেত্রে একমত হলেও অনেক ক্ষেত্র একমত হতে পারলাম না।
রেটিং পদ্ধতির কিছু অসুবিধা এর মধ্যে অনেকেই দেখেছেন
অনেকে ১৫-২০ টা নিক খুলে নিজের পোষ্টে মাইনাস আর প্রতিদ্বন্দীদের পোষ্টে সমানে মাইনাস দিতে থাকে।
এখানে এমন ব্লগার পাওয়া প্রায় অসম্ভব যাদের মাত্র একটা নিক। অনেকে নিক খুলে অন্যদের মাইনাস দেবার জন্য। এমনকি এরকম কিছু গ্রুপও আছে।
আর সুবিধা ?
মাইনাস রেটিং না থাকলে একটা পোষ্টকে সঠিক ভাবে মুল্যায়ন করা যায় । পোষ্ট টা ভাল হলে লাইক দিলাম আর ভাল না লাগলে ?
মাইনাস রেটিং না থাকলে প্রথম পাতায় "আমি ভাত খাচ্ছি " অথবা "অমুকের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে" এই টাইপের পোষ্টে ভরে যাবে । এ ধরনের পোষ্টকে অনুৎসাহিত করতে মাইনাস রেটিংয়ের কোন বিকল্প নাই।
নোটিশবোর্ড বলতেছে "অভিযোগ" বা "আপত্তিকর" অপশনটা রাখা আছে। এই অপশন গুলো যে কত কাজের তা ব্লগাররাই বুঝতে পারে।
নোটিশবোর্ড বলছে ব্লগাররা নাকি মাইনাস পেলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ? যদি ১০০ টা মাইনাস খেয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তাহলে সেই ব্লগারকে দিয়ে স্প্যামিংই সম্ভব।
অনেক ব্লগার হয়ত আগ্রহ হারিয়ে সামু ছেড়ে দিবে এই ভয়ে সামু এই রেটিং সিষ্টেম উঠিয়ে দিচ্ছে।
একরকম বিজনেস পলিসি
WE WANT QUALITY NOT QUANTITY
আর রেটিং সিষ্টেম বাদ দিয়ে বসিয়েছে ফেসবুকের লাইক অপশন। দেখতে খুব অড লাগছে। বলার সময় তো বলো সামু এত বড় অত বড় সাইট কাজ করার সময় এত কিপটামি কেন
।
সামুতে রেটিং দিতে গেলে ফেসবুকের একাউন্ট লাগে। রেটিং দিতে চাইলে ফেসবুকে লগইন করে নিতে হবে।
আজব।
এই হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাংলা ব্লগ সাইটের অবস্থা