রাব্বি,
তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ২৮ আগস্ট , ২০০১। আমার কলেজের প্রথম দিন ছিল সেটা ।
আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম , ভালো লাগছিলো , ভয়ও করছিল একটু একটু ।কলেজ তখন অনেক বিশাল ব্যাপার , স্কুলের গন্ডী পেরিয়েছি কেবল ।
আমি বেশ সেজেছিলাম , সাধারণত আমি এত সাজি না , কিন্তু কলেজের প্রথম দিন … বলতে গেলে একরকম জোর করেই মা সাজিয়ে দিলেন । বেশ অশ্বস্তি লাগছিলো , ভয়ও লাগছিলো একটু একটু।
কলেজে ঢোকার সময় আমার সাথে প্রথম যে ব্যক্তির দেখা হল সে তুমি । কুৎসিত নীল রং এর একটা হাফশার্ট পরণে , নীল আমার খুব প্রিয় রঙ কিন্তু শার্টটা দেখামাত্র মেজাজ গরম হয়ে গেল । একমাথা কোঁকড়া চুল , বড় বড় দুটি চোখ …. মনে হয় যেন কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে …. শ্যামলা , আজব দেখতে রোগাপলকা একটা ছেলে ।
আমি রিক্সা খেকে যখন নামলাম সে তথন তুমি মনের সুখে চুক চুক করে আইসক্রিম খাচ্ছো ; এত ধাড়ী একটা লোক বাচ্চা ছেলেদের মত কমলা রং এর কাঠি আইসক্রিম খাচ্ছে … এটা ঠিক সুখকর কোন দৃশ্য্ নয় । কিন্তু আমার হাতে তথন ১০০ টাকার একটা নোট , তাড়াহুড়োয় ভাংতি আনতে ভুলে গেছি ।
কলেজে আমি সম্ভবত অনেক আগেই চলে এসেছিলাম , কেউ আসেনি তখন । আশেপাশে এক আইসক্রিমওয়ালা আর তুমি ছাড়া কেউ নেই ।
আমি আইসক্রিমওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম খুচরো টাকা আছে কিনা ... হারামজাদা 'আছে কিন্তু দিব না' টাইপ একটা হাসি দিল .... ঢাকা শহরের আইসক্রিমওয়ালার কাছে ১০০ টাকার ভাংতি নাই , এটা বিশ্বাসযোগ্য না ।
এবার আমি ফিরলাম তোমার দিকে ; তাকানোমাত্র মেজাজ খারাপ হয়ে গেল । তোমার আইসক্রিম খাওয়া শেষ , তুমি তখন মহা আনন্দে আইসক্রিমের কাঠি চুষছিলে । এত বড় একটা লোক যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এভাবে আইসক্রিমের কাঠি চুষতে পারে , এটা আমার ধারণায় ছিল না ।
'আপনার কাছে ১০০ টাকার ভাংতি আছে ? '
ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলেও মনে হয় মানুষ এত বিরক্তি নিয়ে তাকায় না । তুমি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালে ...
' একটু দাঁড়াও , আইসক্রিমটা খেয়ে নিই '
আমার ইচ্ছা হচ্ছিল জুতা খুলে তোমার মাথায় বাড়ি দিতে ... প্রথমত , তুমি আমাকে তুমি করে বলেছিলে , অপরিচিত কেউ আমাকে তুমি বললে আমার ভীষণ রাগ হয় আর দ্বিতীয়ত , তুমি তখনও মন দিয়ে কাঠি আইসক্রিমটা চুষে যাচ্ছে .... যেন পৃথিবীর সকল আনন্দ ওখানে কেউ জমিয়ে রেখেছে ।
'তুমি কি কলেজে নতুন ?'
এইরে..... এ ব্যাটা মনে হয় আমার সিনিয়র । আপুদের কাছে শুনেছি , কলেজের টাংকিবাজ সিনিয়রদের একমাত্র কাজ জুনিয়র মেয়েদের জ্বালাতন করা ।
'জ্বি , ভাইয়া'
'ও আচ্ছা ..' বিশাল একটা হাই তুলেছিলে তুমি .... 'আমিও নতুন , আজকেই প্রথম এলাম। আমাদের ক্লাসরুমটা কোথায় বলতে পার ? '
২.
আশ্চর্য সুন্দর এক সময় ছিল সেটা , তাই না ?
একঝাঁক সোনালী আলোর পরশে এক একটি দিন শুরু হত আমাদের .... কলেজে যাবার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম .... একরাশ সবুজ আলো ছিল চোখে , প্রত্যাশার পায়রা হৃদয়ে ডাকত বাকবাকুম .... ছিল একথোকা মেঘ .... একপশলা বৃষ্টি .... একবুক স্বপ্ন .....
আর , আর ছিলে তুমি ।
মনে আছে , কি ভীষণ শুকনো আর উদাসীন ছিলে তুমি ? বন্ধুদের মাঝে একমাত্র তোমাকেই কখনো তুই বলে ডাকতে পারিনি , আজও মনে আছে একজোড়া বড় বড় সজীব চোখ .... যেন কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে ....
এই চোখের জন্যই বন্ধুমহলে তোমার নাম ছিল 'হেডলাইট' ..... তুমি জানতেনা ...কেউ তোমাকে এই নামে ডাকলে আমার মন খারাপ হয়ে যেত ..... মনে হত বলি , কি এমন অসুন্দর ঐ চোখজোড়া .... এমন চোখের দিকে চেয়ে তো জীবন বিলিয়ে দেয়া যায় ।
আমি পারতাম , ভালোবাসতাম যে ।
জানিনা কখন বেসেছি , কিভাবে বেসেছি । কখন মনে বসে গেছে তোমার রংজ্বলা নীল শার্ট , অনর্থক বাঁহাতে কলম নিয়ে খেলা ... তোমার একঝাঁক কোঁকড়ানো এলোমেলো চুল ... জানিনা কখন ...
শুধু মনে আছে , আড্ডার ফাঁকে যখন হঠাৎ চোখ পড়ে যেত তোমার চোখে , কি এক অজানা অনুভুতিতে আচ্ছন্ন হয়ে যেতাম আমি .... মনে হত বুকের সব রক্ত উঠে আসছে গলায় .... দম বন্ধ হয়ে আসত আবেগে .....
ঈশ্বর বুদ্ধিমান , ভালোবাসা দেখা যায় না ।
সেই সব বিকেলগুলো , রাব্বি .... আমার সঞ্চিত সব ঐশ্বর্য ....আমার ক্ষুদ্র জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ...আমার ভালোলাগা ..... ভালোবাসার সেই সব রোদমাখা মুহূর্তগুলি .... যখন পৃথিবীতে ভাববার মত খুব বেশি বিষয় ছিলো না ...... মানুষগুলি ছিল বড় আপন , অনুভূতিগুলো বড় বাঁধভাঙা .....
একটা মেয়ের জীবন .... একটা স্বপ্নকে আপন করে নেবার । তোমরা , ছেলেরা বড় বেশি অনুভূতিশূণ্য , পৃথিবীর দেনাপাওনা নিয়ে অনেক ব্যস্ততা তোমাদের , আমাদের তা নেই । আমার স্বপ্নগুলো ছিল তোমাকে নিয়ে ।
তুমি ছিলে আমার ছেলেবেলার মাটির পুতুল .... যাকে আমি সাজাতাম আমার মত , আমার প্রিয় লাল শাড়ি .... আমার সত্তার সবটুকু অনুভূতি । আমার পোষা টিয়েপাখি , আমার সবটুকু রং ; তুমিহীনা আমি বর্ণহীন , অস্তিত্বহীন ।
এতোটাই ভালোবাসতাম তোমায় , চুপিচুপি .... লুকিয়ে রাখতাম পরম মমতায় .... রাংতায় জড়িয়ে ....
সেদিনের আগ পর্যন্ত ......
সেদিন আকাশ মেঘলা ছিল , বর্ষাকাল । ১ লা জুলাই , ২০০২ । আকাশ কাঁপিয়ে ভীষণ বৃষ্টি এল হঠাৎ । মাঠ থেকে একদৌড়ে উঠে এলাম কলেজের বারান্দায় , তুমি আর আমি পাশাপাশি ।
চুল ভিজে গিয়েছিল ... আমি মাথা থেকে পানিগুলো ঝেড়ে ফেলছিলাম .... সর্দিজ্বর বাধাবার কোন ইচ্ছা ছিল না আমার ..... হঠাৎ অনুভব করলাম , কেউ একজন আমাকে দেখছে .......
আমি ঘুরে তাকালাম তোমার দিকে , আমি কখনো তোমার চোখে এমন চাহনি দেখিনি ... আমি জানতাম তুমি কিছু বলবে ...... এমন কিছু বলবে যা বজ্রপাতের মত লন্ডভন্ড করে ফেলবে আমার স্নায়ুকে ..... তোমার কাছে আজব মনে হতে পারে ভেবে কোনদিন তোমাকে বলিনি , কিন্ত কোন কারণ ছাড়াই আমার মনে হচ্ছিল আমি জানতাম , আমি জানতাম তুমি কি বলবে .....
তুমি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে .... অপলক । আমি জানিনা তুমি কি দেখছিলে .... সেই বৃষ্টিভেজা বারান্দায় আমার কানে এসেছিলো অস্ফুট কিছু শব্দ ....
" আমি তোমাকে ভালোবাসি , সেতু "
৩.
আমি কাঁদছিলাম ... বুকের সমস্ত আবেগ নিংড়ে আমি কাঁদছিলাম । বুষ্টির পানিতে ভেসে যাচ্ছিল আমার কান্না , তবুও আমি কাঁদছিলাম ।
একটি স্বপ্ন , যে স্বপ্ন সত্যি হবার জন্য একটি মেয়ে সারাজীবন অপেক্ষা করে । আমি জানতাম না কিভাবে ভালোবাসতে হয় , জানতামনা আমার মাঝে একরাশ আবেগ লুকিয়ে আছে .... আছে একজন শ্যামলা , রোগা মানুষ ... যার চোখের দিকে তাকিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়া যায় ...
সেই সন্ধ্যাটা ... আমি কখনো ভুলব না সেই সন্ধ্যাটা ।
আমার পাশে বসে নিচু গলায় একগাদা কথা বলে চলেছিলে তুমি , আমার কানে যাচ্ছিল না কিছুই .... তুমি চোখ নামিয়ে রেখেছিলে ... একসময় আলতো হাতে তুলে নিয়েছিলে আমার আঙ্গুলগুলো ....
ভালোবাসা বজ্রপাতের মত আচ্ছন্ন করে মানুষকে , আমি জেনেছিলাম সেদিন ।
আমার ছোট্ট জীবনে আমি খুব বেশি মানুষের সাথে মিশিনি ... অনেক রং ... অনেক স্বপ্ন আমার এখনো দেখা বাকি .... অনেক কথা এখনো বলা হয়নি ...
কথাগুলি বলার মত একজন মানুষ আমার ছিল , তুমি ।
আমাদের সারাদিন কাটত এই পুরনো শহরে .... আমরা রিক্সা নিয়ে ঘুরতাম ... কোথায় যাচ্ছি জানা নেই ... আমরা নদীর পাশে বসে স্বপ্ন দেখতাম ...
আমার কোলে একসময় ঘুমিয়ে পড়তে তুমি শিশুর মত ....
ঘুমুলে তোমাকে দেখতে কি যে সুন্দর লাগে , তুমি যদি জানতে ...
একবার শহরে আগুন লাগল ... আমাদের বাসার পাশে ... উদভ্রান্তের মত দৌড়ে এলে তুমি ... আমাকে দেখে বোকার মত হাসলে .....
আমাদের প্রিয় জায়গাগুলি ... আমাদের সেই টিলা .... সেই পুরনো অশ্বথ আর মেঠো পথটি .... আজও চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই তাদের ।
স্বপ্নের মত কেটে যাচ্ছিল সময়গুলি । কলেজ শেষ হয়ে আসল দেখতে দেখতে । বুঝিনি কখন ..... স্বপ্ন শেষ যেন না হয় , এ প্রার্থনার মুখর ছিল দুটি ব্যাগ্র হৃদয় ।
বাসায় আমার বিয়ের কথা শুরু হল ।
তোমাকে বললাম । কি যে অসহায়ের মত আমার দিকে তাকিয়ে রইলে ... আমি কি বলব , ইচ্ছা করছিল তোমাকে বুকে টেনে নিই , বলি , তুমি কোন চিন্তা করোনা , আমি তোমার .... আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না ... কখনো না ....
তোমার চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু হল .... মা কে জানালাম তোমার কথা ... ফলশ্রুতিতে বন্ধ হয়ে গেল বাইরে যাওয়া ।
খবর পেয়ে পাগলের মত এলে তুমি , শুকিয়ে গিয়েছিলে .... চোখের নিচে কালি পড়েছিল তোমার ।
কতদিন দেখা হয়নি আমাদের... দুদিন ... দুই বছরও তো এত দীর্ঘ হয় না।
আমার হাত ধরে বসে ছিলে তুমি .... কোন কথা বলার প্রয়োজন ছিল না ।
কখনো নৈঃশব্দ্য শব্দের চেয়ে বেশি কথা বলে ।
আমি জানতাম আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই । কিন্তু করার মত কোন কাজ ছিল না ..... অপেক্ষা , কি যে অসহ্য এই অপেক্ষা .... আমি ছাড়া আর কেউ কি জানে ?
কি এক অনিশ্চয়তার স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলাম আমরা খড়কুটোর মত । রাতে ঘুম আসত না .... কি ভীষণ অন্ধকার আমাদের চারপাশে ।চারপাশের চেনা সব মানুষ বদলে যেতে থাকল । বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করলেন .... আমি জানতাম , আমি জানতাম আমার কোন উপায় ছিল না ।
১ লা মার্চ ,২০০৯ । সেই কুৎসিত , রংচটা নীল শার্টটা পরে এলে তুমি .... আমাদের লুকিয়ে দেখা করবার সেই অন্ধকার গলিতে । তোমার মুখে হাসি ।
"চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সেতু , শুনছ ? "
৪.
১২/সি , তাজমহল রোড , মোহাম্মদপুরে শুরু হল তোমার আমার সংসার ।
ছোট্ট দুইরুমের বাসা , সাজালাম মনের মত করে ।
আমাদের কারো পরিবার মেনে নেয়নি আমাদের । বয়েই গেছে তাতে । তোমার চোখে আমি আজও দেখি আমার সব স্বপ্নের স্ফূরণ , আমি ফুলদানীতে পানি দিই ... টবের গাছের পরিচর্যা করি , দুটো টিউশনি করি .... একটু একটু করে টাকা জমাই .... ভাবি , আগামী শুক্রবারে আশুলিয়া বেড়াতে যাব ।
আছে অনেক অনুযোগ , অনেক অভাব ... আর, আর অনেক ভালোবাসা ।
সারাদিন প্রাণান্ত পরিশ্রম করো তুমি । আরও অনেক কালো হয়ে গেছ । প্রতিরাতে ক্লান্ত পশুর মত ফিরে আস .... শিশুর মত ঘুমিয়ে পরো ....
আজকেও প্রতিদিনের মত শুয়ে পড়েছ ... এইতো আমার পায়ে কাছে তোমার একরাশ এলোচুল .....
কি যে সুন্দর লাগে তোমাকে দেখতে , যখন তুমি ঘুমিয়ে থাক ..... তুমি কোনদিন জানবেনা । এ আনন্দ আমার , একান্ত আমার ।
এখন রাত ৩:৪৬ বাজে । আমি জানি , অনেক রাত হয়ে গেছে , আমারও এখন ঘুমিয়ে পড়া উচিৎ , তোমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে তুমিও রাগ করবে জানি ।
একটা কথা তোমাকে বলতে চাইছি আজ সকাল থেকে .... বলতে পারছিনা কিছুতেই ..... লজ্জা লাগছে ভীষণ .... এত লজ্জা কখনো পাইনি ।
আমাদের স্বপ্নগুলো আজ পূর্ণতা পেয়েছে , বোকা রাব্বি । সেই নীলশার্ট পরা , কমলা রংয়ের কাঠি আইসক্রিম চোষা বুড়ো খোকা .... রাব্বি ,
তুমি বাবা হতে চলেছ ।
আর কিছুদিন পরেই আমি যখন তখন আঁতকে উঠব নিজের ভেতরে কোন দস্যির লাথি খেয়ে ... আমাদের ছোট্ট সংসারে ছোট ছোট পা ফেলে হাঁটবে কোন দেবশিশু .... তার আধো আধো কথায় মুখরিত হবে আমাদের চারপাশ ।
তুমি ঘুমিয়ে থাকো , আমি দেখি তোমাকে । আজ রাতে আমি ঘুমুব না .... আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রাত এটি .... আমি অপেক্ষা করব .... কখন তুমি ঘুম থেকে উঠবে ... আর আমি তোমায় জানাব .....
তুমি ঘুমোও রাব্বি ....আমি অপেক্ষা করি তোমার জন্য । আমার সঞ্চয়ে একটি অমর রাত্রি থাকুক , পৃথিবীর তাতে কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না , বাজারে শেয়ারের দামও বেড়ে যাবে না .... আমি সামান্য এক মেয়ে , একটি রাত্রি থাকুকনা আমার অধিকারে ; এ রাতটি আমার ।
একান্তই আমার ।
৫.
[ যারা পড়ছেন , তাদের বলছি :
গল্পটা বানানো , কিন্তু এই শহরে সত্যি রাব্বি আর সেতু নামের দুজন মানুষ থাকে , আমার বন্ধু । সারাদিন মান-অভিমান , তবুও অদ্ভুত এক ভালোবাসা তাদের ঘিরে থাকে । আর কিছুদিন পরে সম্ভবত দুজনেই প্রবাসে পাড়ি জমাবে ....
আমি অনেক মিস করব । অনেক অনেক মিস করব ।
আমার এ সামান্য গল্পটি তোমাদের দুজনের জন্য । তোমরা যেখানেই থাক , যেন ভালো থাকো ... এ আমার প্রার্থনা ]
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ১১:২৫