কয়েকদিন আগে বিজ্ঞানীরা ইদুরের উপর একটি গবেষণা করেন। একটি ইদুরকে দুই বছর যাবত ৬-১৫ পিপিএম মাত্রার ফরমালিনযুক্ত খাবার দেয়া হয় এবং ফরমালিনের সংস্পর্শে রাখা হয়। দুই বছর পর দেখা যায় ইদুরটির নাসারন্ধ্রে ক্যান্সার হয়েছে।
ঢাকার প্রবেশমুখ গুলোতে ফরমালিন চেকপোষ্ট গুলোতে লিচু পরীক্ষা করে এতে ১২৫ পিপিএম পর্যন্ত ফরমালিন পাওয়া গেছে। বেঁচে থাকাটাই এদেশে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এই ফরমালিন চেকিংয়ের প্রতিবাদে আমাদের ফল বিক্রেতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাদের এক দফা এক দাবী , ফলে ফরমালিন মেশানো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই তারা ঘোষণা দিয়েছে যে যতদিন এই চেকিং বন্ধ না হবে ততোদিন তারা ফল বিক্রি করবেনা।
তো এই ব্যাপারে জনৈক ফল বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হলো,
-এতদিন দোকান বন্ধ রাখলে, দোকানের ফলগুলো পঁচে যাবেনা?
-কেন ফরমালিন দিয়ে রেখে আন্দোলন করবো।
যখন এদেশে প্রথম চা আসলো , তখন চা পান করলে এদেশের মানুষের মাথা ধরতো, অস্বস্থি বোধ করতো। তারপর দেখা গেলো চা না পান করলে তাদের মাথা ধরে , অস্বস্থি বোধ হয়। ফরমালিনের ব্যাপারটাও অনেকটা এরকমই হয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর পর আমরা ফরমালিন ছাড়া চলতেই পারবো না। তখন আমরা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ফরমালিন এবং রাতে এক গ্লাস ফরমালিন খেয়ে ঘুমুতে যাবো।
যাই হোক, তারপরও কিছু আশার কথা শোনা যায়,
মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই
ফরমালিনযুক্ত খাবার সনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন কৃষি বিজ্ঞানী ফারুক
বিন হোসেন ইয়ামিন।
আর এতে খরচ
হবে মাত্র এক টাকা।
খাদ্যে ফরমালিন
সনাক্ত করার
পদ্ধতি ১ টিউব পরিমাণ পানি নিয়ে তার মধ্যে মাছ, ফল, সবজি ধুয়ে ফেলুন। এরপর ১ ফোঁটা ফরমালিন
টেস্টার (দ্রবণ) মিশিয়ে ৫ সেকেন্ড ঝাঁকুন। দ্রবণের রং হলুদ বা বর্ণহীন হলে বুঝতে হবে ফরমালিন আছে। আর দ্রবণের রং সবুজ বা নীল হলে ফরমালিন নেই বলে প্রামাণিত হবে।
এই এক ফোঁটা ফরমালিন
টেস্টার বা দ্রবণটির দাম পড়বে মাত্র ১ টাকা।
প্রকৃত পক্ষে খাদ্যে
ফরমালিনের কোনো সহনশীল মাত্রা নেই। তাই
ফরমালিনযুক্ত খাবার না খাওয়াটাই ভালো।
খাদ্যে ফরমালিনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠুক সামাজিক আন্দোলন।