somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্মান্ধ নবজাতকের দৃষ্টি ফিরে এলো স্টেম সেলের মাধ্যমে

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্টেম সেলের মাধ্যমে জন্মান্ধতা সহ চোখের ছানি পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু, ত্রুটিপূর্ণ লেন্স ইত্যাদির চিকিৎসা হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে নবজাতক ও খরগোশের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এমনটাই বলছেন। স্টেম সেল হচ্ছে দেহের বিশেষ ধরনের কোষ, যারা প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো কোষে রূপান্তরিত হতে পারে।

ঠিকঠাক ও ত্রুটিহীনভাবে দৃশ্য দেখতে হলে চোখের লেন্স ও লেন্সের উপরের টিস্যুর আবরণ কর্নিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে। স্বচ্ছতায় ঘাটতি দেখা দিলে পরিষ্কারভাবে দেখতে সমস্যা হয়। যাদের চোখের লেন্স বা কর্নিয়ায় অস্বচ্ছতা আছে তাদের এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য কৃত্রিমভাবে ইমপ্ল্যান্ট করতে হয় নয়তো কারো দান করা চক্ষু প্রতিস্থাপন করতে হয়। এই দুই প্রক্রিয়াই একে তো কিছুটা বিপদজনক তার উপর এগুলো সবচেয়ে ভালো সমাধানও নয়- এমনটাই বলেন গবেষকেরা।

নতুন গবেষণায় গবেষকেরা ২ বছরের নিচের ১২ টি শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা করেন। এদের সবাই জন্ম থেকে চোখের ছানি সম্পন্ন। এই ছানি শিশু বয়সে অন্ধ হয়ে যাবার প্রধান কারণ। গবেষকেরা সার্জারির মাধ্যমে শিশুদের ছানি সরিয়ে খুব সতর্কতার সাথে লেন্স এপিথেলিয়াল স্টেম (lens epithelial stem cells) নামে কিছু কোষ ছড়িয়ে দেন। এই স্টেম কোষেরা পরবর্তীতে পরিবর্তিত ও পুনরুৎপাদিত হয়ে চোখের লেন্স গঠন করে।


স্টেম কোষ প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন কোষে রূপান্তরিত হতে পারে। ছবিঃ উইকিমিডিয়া কমন্স এর সৌজন্যে।

গবেষকদের হিসাব মতে এই চিকিৎসায় নবজাতকেরা ১ মাসের ভেতরেই সুস্থ হয়ে ওঠে। এই স্টেম কোষ সার্জারির ফলে ছানি পড়া চোখের তুলনায় ২০ গুণ পরিষ্কার স্পষ্ট দেখতে পায়।

এর আগে কখনো স্টেম কোষের মাধ্যমে চোখের লেন্স পুনর্গঠন করা হয়নি। প্রথমবারের মতো এমন একটি চমৎকার কাজ করে গবেষণার প্রধান ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. কাং ঝাং বলেন “আমরা আমাদের শরীরের প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের কোষ উৎপাদন করতে নিজেদের শরীরের স্টেম কোষ ব্যবহার করতে পারি।” চোখের জন্য প্রয়োজন হলেও ব্যবহার করা যায়।

প্রতিদিন বিজ্ঞান বিষয়ক আপডেটেড খবর পেতে বিজ্ঞান পত্রিকা পড়ুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×