গত বুধবারে আমি কিছু জাতীয় পরিচয় পত্র পাই, যা আমি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। আমি আমি এগুলো খামে ভরে, প্রাপক কে রেজিষ্টার্ড ডাকে পাঠিয়ে দেই। এরকম আমি বেশ কয়েকবার মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র খামে ভরে পাঠিয়ে দিয়েছি। কেউ কেউ ফোন করে প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন, ফোনে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে “ধন্যবাদ” জানানোর প্রয়োজন বোধ করে নাই। আপনারা যদি রাস্তায় কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র বা এরকম গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট পেয়ে থাকলে পোস্ট অফিসে রেজিষ্টার্ড ডাকে পাঠিয়ে দিবেন। এটা সুনাগরিকের লক্ষন।
বেশ কিছু দিন আগে আমার এক পরিচিত লোককে একটি মানিব্যাগ উপহার দেই। এই মানি ব্যাগ তাকে ডাকযোগে পাঠাই। ডাক বিভাগে যে এমন সার্ভিস দেয়, সে সেটা জানতোই না।
আমি মুসলিম। তাই আমি নিয়মিত আমার বন্ধু বান্ধব, শিক্ষক, পরিচিত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকের ম্যানেজার কে চিঠির মাধ্যমে ঈদ মোবারক জানাই। গত কুরবানীর ঈদে প্রায় ২২ টির মত চিঠি লেখি। এই চিঠি গুলো আমি পোস্ট অফিসে জমা দেই। সেই চিঠি পোস্ট অফিস ডেলিবারি দেয়। ফেসবুকে ও ঈদের শুভেচ্ছা জানানো যায়। কিন্তু এতে চিঠির মত আবেগ পাই না। ফেসবুকে কোন শুভেচ্ছা পাঠালে সেটা কৃত্রিম মনে হয়।
এখন আসল কথায় আসি। সামনে হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব আসতেছে। চারজন হিন্দু বন্ধুর সাথে ভালো সম্পর্ক। তাকে শারদীয় উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে চারটি চিঠি প্রিন্ট করেছিলাম। ভয়ে আর সেটা পোস্ট অফিসে জমা দেই নাই। এখন রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ। বাহির দিক থেকে রাজনৈতিক অবস্থা ভালো মনে হলেও, রাজনৈতিক পরিবেশে ঘুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। “আমি আমার বন্ধু কে সারদীয় শুভেচ্ছা জানালাম” এটা নিয়ে হয়তো কোন ব্যাক্তি কিছু কথা বলতে পারে। সেই কথা শুনে কোন হিন্দুর হৃদয়ে ব্যাথা অনুভব করবে। সেই থেকে একটি রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টি করে, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারে। মাঝখানে আমি আর আমার বন্ধুরা বলির পাঠা হওয়া লাগবে। তাই সার্বিক চিন্তা করে পরে আর সেই চিঠি পাঠাই নি। নির্বাচিত সরকার আসলে, পরের বছর বেচে থাকলে, হিন্দু বন্ধুদের শুভেচ্ছা পত্র পাঠাবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬