আমার আব্বুর চাকরির সুবাধে বিভিন্ন জেলায় ঘুরা লাগে। তাই কমলাপুর ট্রেন স্টেশনও বহুবার গিয়েছি। আমরা গুলিস্থান থেকে ঢাকা টু দাউদকান্দি বাসে চরে ভবেরচর যাই। এখন কথা হচ্ছে কমলাপুর এবং গুলিস্থানে শিশুদের নেশা করতে দেখি। একটি পলিথিন নিয়ে তারা নেশা করে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অফিসারেরা এসবের বিরুদ্ধে কোন অভিযানই নিচ্ছে না। কিন্তু আমাদের ট্যাক্স এর টাকা থেকে বেতন নিচ্ছে ঠিকই। শরম করেনা আপনাদের?
আপনারা ছিলেন গরিব। আপনার আব্বু ক্ষেতে কাম করে, রিক্সা চলিয়ে আপনাদের পড়ালেখা করাইছে। কষ্ট করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াইছে। আপনি আপনার কাজে ফাকি দিয়ে আপনার পিতার শ্রম কে অপমান করছেন। যেদিন এসব মাদক এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন সেদিন আপনার বাপের প্রতিটি ফোটার ঘামের মূল্য দিতে পারবেন।
দোষ শুধু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর একা না। এখানে পুলিশ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ও দোষ আছে। যে সব শিশু নেশা করছে তারা অধিকাংশ এতিম। হয় তাদের বাপ নাই। অথবা মা নাই। কারো কারো বাপ মা কেউ নাই। এদের পুর্নবাসন করার দয়িত্ব সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়িত্ব। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অফিসারেরা কাজে ফাকি দিয়েছেন।
এসব শিশুরা হাত বাড়ালেই নেশা করার বস্তু পায়। এদের কে সাপ্লাই দেয়? এই সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।