অনেক দিন আগে। সম্ভবত ২০১৩ বা ২০১৪ সালের দিকে। ২০১৩ সালে ইন্টার ফেইল করে ২০১৪ সালে আবার ইন্টার পরীক্ষা দিবো, আমার পরিস্থিতি তখন তেমন ছিলো। দুপুরের দিকে মনে হয় আমি টিভি দেখতে ছিলাম। কোন চ্যানেলের কোন অনুষ্ঠান পছন্দ হচ্ছিলো না। চ্যানেল নাড়তে নাড়তে আসলো বিভিটি। তখন তখন ছোট্ট একটি নাটক হচ্ছিল। নাটকের দৈঘ্য আট মিনিট। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইনে বসে সকল সরকারি সেবা পাওয়া যায়, এই মর্মে এই নাটকটি হয়। সেই নাটকের শিল্পীদের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। তাদের অভিনয় জায়েদ খান, হিরো আলম ও অনন্ত জলিল থেকে উন্নত।
এমনই আরেকদিনে টিভি দেখতাছি। চ্যানেল নাড়তে নাড়তে বিটিভি আসে। তখন এই নাটকটি দেখলাম।
আরেকটি নাটক দেখলাম শিল্পীদের অভিনয় আমার কাছে খুব ভালো লাগ। জায়েদ খান ও অনন্ত জলিলের মত অভার একটিং ছিলো না। আবার হিরো আলমের মত ল্যাভেন্ডিস ও ছিলো না। একদম মান সম্মত অভিনয়।
একসময় গ্রামে মুষ্ঠিমেয় কয়েক জনের বাসায় টিভি ছিলো। বাসার এন্টিনিয়ার থাকলে বুঝা যেতো তার বাসায় টিভি আছে। মাজে মাজে টিভি ঝির ঝির করলে এন্টিনিয়ার ঘুরানো লাগতো। তাহলে সচ্ছ ও পরিষ্কার ভিডিও দেখা যেতো। আমারা যারা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে যাদের জন্ম; আমাদের প্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো মিনা কার্টুন, গর্জিলা, বিশেষ করে ইত্যাদি। শুক্রবারে জুম্মা নামায ও খাবারের পরে জসিম ও ইলিয়াস কাঞ্চন এর সিনেমা। আমার নানী তো জসিম এর কষ্ট ভরা জীবন দেখে কান্না করে দিতেন। ডিশ আসার পর আমাদের জেনারেশন বিটিভির দিকে আর মুখ ফিরে তাকায় নি। এখন তো জেন ওয়াই টিভি দেখে না। ওরা ইউটুব, ওটিবি দেখে।
হানিফ সংকেত উপস্থাপনায় ইত্যাদি সে সময় সকল জেনারেশন কে আকৃষ্ট করেছিলো। এখন হয়তো জেনারেশন এক্স ও ওয়াই এর কথা করে অনুষ্ঠান সাজাবেন। বিটিভি হয়তো নতুন জেনারেশন এর কথা ভাবিয়া অনুষ্ঠান, নাটক টিভিতে সম্প্রচারিত করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯