
‘বিহাইন্ড ফটোগ্রাফ’ একটি অসাধারণ প্রজেক্টের নাম। এর ব্যাপ্তি অন্যান্য প্রজেক্টের চেয়ে একটু আলাদা। ‘আনসাং হিরো দের গান গাওয়া’ র মতোও বলতে পারেন অনেকটা। জগদ্বিখ্যাত অনেক ছবিই আমরা চিনি, যেমন ধরুন তিয়েনআমেন স্কয়ারের সেই ট্যাংক-মানবের ছবি, কিংবা আফগানিস্তানের সেই কিশোরীর ছবি। কিন্তু এর পেছনের কারিগরদের আমরা অনেকেই চিনি না, তারা ঝলমলে জগতে রয়ে যান বাতির সলতের নিচেই।
ঠিক এমনই কিছু মানুষদের নিয়ে কাজ করছেন ফটোগ্রাফার টিম ম্যান্টনি। তিনি ফটোগ্রাফি করেন ফটোগ্রাফারদের নিয়ে। অর্থাৎ তিনি ছিবি তোলেন তাদের, যারা শুধুই ছবি তোলে। এমনই একটা প্রজেক্টের নাম ‘বিহাইন্ড ফটোগ্রাফ’। কিছুদিন আগে বিখ্যাত কিছু ফটোগ্রাফারকে তিনি অনুরোধ করেন তাদের তোলা সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি নিয়ে মডেল হতে। নিচে দেখুন সেরকম কয়েকটি ব্যাতিক্রমধর্মী ছবি।
.
.
.
ফটোগ্রাফার জেফ ওয়াইডেনার ধরে আছেন ১৯৮৯ তে তোলা চীনের তিয়েনআমেন স্কয়ারে তোলা, সকল বাধা বিপত্তিকে তুচ্ছ করে ফলের বাক্স হাতে সাধারণ এক মানুষের ট্যাংকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর ছবিটি। পরবর্তীতে আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি সাহসী এই লোকটির।

.
.
.
‘বিটলস’ এর স্বর্ণযুগের প্রথম দিককার ছবি এটি। তাদের ম্যানেজার এইমাত্র জানালেন, আমেরিকান টপচার্টে বিটলস এখন নাম্বার ওয়ান। ছবিটি ধরে আছেন হ্যারি বেনসন।

.
.
.
লয়েল ওয়েরকো ধরে আছেন তাঁর তোলা ৯১১ এ অসাধারন একটি মুহূর্তের ছবি

.
.
.
এ ছবিটা ভিরাঙ্গায় (কঙ্গো) তোলা, ভিরাঙ্গা হলো আফ্রিকার প্রথম ন্যাশনাল পার্ক। এখানকার ‘সিলভারব্যাক গরিলা’ অন্যতম বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী, সারা বিশ্বে আছে মাত্র ৩৬ টি। প্রথম যখন এ পার্কটি প্রতিষ্ঠা হলো, স্থানীয় চোরাচালানকারীরা অনেকেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের করেকজন একবার কয়েকটি সিলভারব্যাক গরিলা মেরেও ফেললো। উপায়ান্তর না দেখে বনবিভাগ গরিলাগুলোকে আরও নিরাপদ কোন স্থানে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় তিনশ কেজির গরিলাকে অচেতন করে, দুর্গম আর পাহাড়ী খানাখন্দকে ভরা সেই স্থানান্তর প্রক্রিয়াতে প্রাণ যায় বেশ কিছু কর্মীর। আলোকচিত্রী বেন স্টিরটন ধরে আছেন তার তোলা সেরকম একটি চিত্র।

.
.
.
আমার সাথে কাটানো মেরিলিন মনরোর একটি সন্ধ্যা – মন্তব্য করেছেন ফটোগ্রাফার ডগলাস কির্কল্যান্ড

.
.
.
১৯৯৩ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় বিড়াল নিয়ে সিরিজ প্রকাহনার সময় তোলা ছবি এটি। শর্ত ছিল, প্রচলিত ফর্মাল কোন বিড়ালের ছবি তোলা যাবে না।
বিড়াল নাকি সবসময় ব্যালেশিল্পীর পায়ে পায়ে থাকে, দেখা গেলো, আসলেও তাই ! ছবি তুলেছেন ক্যারেন কোয়েন।

.
.
.
ঘাতকের হাতে কেনেডির মৃত্যুর ঠিক পরমুহূর্তের ছবি এটি (৫ জুন ১৯৬৮)। তুলেছেন বিল এপ্রিজ

.
.
.
দোর্দন্ডপ্রতাপ আলীর সাথে সেসময়কার আরেক সুপারস্টার বক্সার সানি লিস্টন এর বিখ্যাত ছবি। তুলেছেন নীল লীফার

.
.
.
এবং এই ছবিটি। সেভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সমস্ত শংকা, ঘৃণা আর হতাশা যেন মিশে আছে এই কিশোরিটির চোখের তারায়। ছবিটি তোলা হয় ১৯৮৪ সালে। শরবত গুলা নামের এই কিশোরীকে তারপর ১৮ বছর পরে আবার খুঁজে পান ফটোগ্রাফার স্টিভ ম্যাককারি।

.
.
.
.
.
সময় পেলে আরো লিখব, আজ এ পর্যন্তই
লেখাটি পূর্বে এই ব্লগেও প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২