তোকে না লিখলে ভুলে যাব মেঘলায় লাল টিপ পদ্মফুলের কথা, আমায় নিয়ে যায় শান্তি সরোবরে। আমি তার চোখে দেখি আকাশের অবয়ব, এখানে জল স্থির, শান্ত। প্রচন্ড পাহাড় বেয়ে নেমে আসার পথে, যখন সে উড়ুক্কু নদী আর আমি বাঁশি হাতে ফিরি পথে পথে, এমনকালে তার সাথে দেখা, আমরা দেখেছি প্রতিপূর্ণিমায় সমুদ্র কী আর্তনাদে ফিরে যায় সুগভীর অন্ধকারে, ডুবন্ত চাঁদের সংগী ছিলাম একবেলা আমরাও পাশাপাশি.....
এরই মাঝে বয়ে যায় নদী, বয়ে যায় জীবনের সন্ধি-সমাস।
(তারপর কবে থেকে যেন আমি একটা গাছ, কাঁচের। ধারালো শেকড় জড়িয়ে নিচ্ছে বেঁচে থাকার কন্ঠস্বর, আমি নৈশব্দে ডুবে যাই....)
বহু পথ পাড়ি দেয়া পরে
তার শান্ত স্রোতস্বিনী বয়ে চলার পাশে
ধ্যানী সিদ্ধার্থ হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে ,
কান পেতে শুনতে ইচ্ছে করে ঐ-
বয়ে যায় আলোর সরণি...
যে জলে আমার প্রতিচ্ছবি দেখি,
হাত না ডোবাই, সে জলে আমাকে জ্বালি.…..
ধূপের গন্ধ-জ্বলা অলিতে গলিতে
আর একদিন হেঁটে যেতে চাই
দীর্ঘ প্রতীক্ষার সূত্র শিখতে হয় যদিও.....
একটা সত্যিকার গাছজন্ম দাও ইশ্বর
তার বয়ে চলা পথে ছায়া হয়ে থাকি এক দুপুর
সুদূর সুবাসিত সুর মেখে
বাঁশির ঠোট ছুঁয়ে শুন্য হয়ে যাই
সত্যিকারের একটা গাছজন্ম দাও ইশ্বর
আমি তার পায়ে পাতা হয়ে ঝরে ঝরে যাই..
*** এটা পুরনো লেখা, অনেক লেখাই হারিয়ে গেছে, হারিয়ে যায়, মাঝে মাঝে পুরনো লেখা খুঁজে পেলে ঠিক করেছি আপলোড দিয়ে রাখবো, তাতে হয়ত খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
**** ছবিটা Community Artists Group, http://www.fizdi.com থেকে নেয়া। (শিল্পীর নাম বা মেইল অ্যাাড্রেস না থাকায় অনুমতি নিতে পারি নাই)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪২