
‘ঈদ’ অর্র্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা। আর ‘মীলাদ’ ও ‘নবী’ দুটি শব্দ একত্রে মিলিয়ে ‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলা হয়। ‘মীলাদ’-এর তিনটি শব্দ রয়েছে- ميلادমীলাদ, مولد মাওলিদ ও مولود মাওলূদ। ميلاد‘মীলাদ’ অর্র্থ জন্মের সময়, مولد ‘মাওলিদ’ অর্র্থ জন্মের স্থান, مولود ‘মাওলূদ’ অর্র্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান। আর النبى ‘নবী’ শব্দ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনাকে বুঝানো হয়েছে।
অর্র্থাৎ আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফকে বুঝানো হয়ে থাকে। সুতরাং ﻋﻴﺪ ميلاد النبى ‘ঈদু মীলাদিন নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করাকে বুঝানো হয়েছে আর পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে ﻋﻴﺪ ميلاد النبى ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা, উনার পুতঃপবিত্র জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনা করাকে বুঝানো হয়।
এক কথায় ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ অর্থ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ‘বিলাদত শরীফ’ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করা। অর্থাৎ খুশী প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ মাহফিলের ব্যবস্থা করা, উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা আলোচনা করা, ছলাত-সালাম পাঠ করা।
বি:দ্র্র: ঈদ, মীলাদ ও আননাবী তিনটি শব্দই আরবি। যেগুলো ফার্সী ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়। শব্দ তিনটি একসাথে আরবীতে বললে এভাবে বলতে হবে: “ঈদু মীলাদিন নাবী” আর ফার্সীতে বললে হবে: “ঈদে মীলাদিন নাবী”। আর এ শব্দগুলো আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে “ঈদে মীলাদুন নবী” রূপে।