আগের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম সাধারণত কোন তিনটি উপায়ে হ্যাকাররা ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে থাকে।
তিনটি উপায় যথাক্রমে:
১. ফিশিং পেজ
২. কী লগার
৩. লো সিকিউরিটি
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমি এখন আপনাদেরকে ফিশিং পেজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো।
(ফেসবুক হ্যাক নিয়ে আমার ভূমিকা পর্বটিঃ যেভাবে হ্যাক হতে পারে আপনার ফেসবুক আইডি )
তো চলুন,শুরু করা যাক।
ফিশিং পেজ কী?
ফেসবুক হ্যাকারদের কাছে ফিশিং পেজ একটি লোভনীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে একাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকে। বড় থেকে ছোট-খাটো হ্যাকাররা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই লুফে নিতে পারে আপনার আইডি পাসওয়ার্ড।
ফিশিং পেজ কীভাবে কাজ করে?
হ্যাকার আপনার কাছে একটি ফিশিং ওয়েব পেজ পাঠাবে কিংবা আপনি নিজেই অনুপ্রাণিত হয়ে হ্যাকারের ফিশিং পেজে যাবেন। সেই পেজটি হুবহু ফেসবুক লগইন পেজের মত হবে। সেখানে আপনার ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে। আইডি পাসওয়ার্ড দিলেন তো মরলেন! কারণ আপনার দেয়া আইডি পাসওয়ার্ড সাথে সাথেই পৌঁছে যাবে হ্যাকারের কাছে।
ফিশিং পেজ কীভাবে চিনবেন?
ফিশিং পেজ চেনার প্রধান উপায় হচ্ছে ব্রাউজার এড্রেসবারের লিংকটি যাচাই করা।
সেই পেজটি আর যাই হোক facebook.com এর লিঙ্কে হবেনা।
নিচের দুইটি চিত্র লক্ষ্য করুন।
প্রথমটির এড্রেসবারে দেখা যাচ্ছে প্রাইমারী লিঙ্ক facebook.com।
কিন্তু দ্বিতীয়টি sangdewadewa.hyperphp.com যে লিঙ্কের সাথে ফেসবুকের বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই।
দ্বিতীয় পেজে ভিন্ন অন্য যে কোন লিংক থাকতে পারে। যেমন, dkfjgd.wap.mobi ; dogihg.net ইত্যাদি..
চিত্র ১ এর এড্রেসবারের এড্রেসই বলে দিচ্ছে এটি ফিশিং পেজ নয়
এবং-
চিত্র ২ এর এড্রেসবারের এড্রেসই বলে দিচ্ছে এটি ফিশিং পেজ
তার মানে দ্বিতীয় পেজ চিত্রটি ফিশিং পেজ। এই পেজে আপনার আইডি পাসওয়ার্ড দিলে তা মুহূর্তের মধ্যে চলে যাবে হ্যাকারের কাছে।
এই অবস্থার পেজগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হবে আপনার জন্য মঙ্গল।
সুতরং, সাবধান।
আজ এ পর্যন্তই। এই সম্পর্কিত পরবর্তী পোস্ট “কী লগার” । যা খুব গোপনেই আপনার সব কিছু হ্যাক করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
পোস্টটি প্রথম প্রকাশিত এখানে