আজকে তারকাটা সিনেমা দেখতে গেসিলাম । কেমন লাগলো বলার আগে , সংক্ষেপে কাহিনি বলি , তাহলেই বোঝা যাবে অনুভুতি কি ।
আসলাম ( ফারুক আহমেদ) গ্যাং আর মুসা (ডঃ এজাজ ) গ্যাং এর মধ্যে দ্বন্দ্ব । মুসা ভাইয়ের ডান হাত হল আমাদের নায়ক ইবরাহীম ( আরেফিন শুভ)। তিনি বিশিষ্ট খুনি, আসলাম এর ভাইকে খুন করেছে। এজন্য শুভর উপর আসলাম শেখের খুব রাগ। এরপর আসলাম শেখের ভাইকে খুনের আনন্দ উদযাপন এবং প্রথম আইটেম গান "রুপে আমার আগুন জ্বলে " ।


যাই হোক , একদিন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে শুভর সাথে মীম এর পরিচয়। শুভ মীমের প্রেমে পড়ে গেল। এরপর দেখাইল শুভ গেসে স্কুলে; পড়তে না, ভাগ্নির লগে দেখা করতে। কিন্তু এইটা শুভর বড় বোন মৌসুমির পছন্দ না, কারন হেতে গুন্ডা । ফ্ল্যাশব্যাকে আগের দিনে শুভ মৌসুমির সংসার-চিত্র এবং গান । এরপর দেখাইল মীম একটা বারে গান গাইয়া সংসার চালায় এবং গান । গানে গানময় , আধা ঘণ্টায় ৩ টা গান। সবাই গান গায় ; নায়ক , নায়িকা , নায়কের বোন সবাই।


গানটান শেষ , এবার ক্লাইম্যাক্স শুরু । আসলাম শেখ শুভর ভাগ্নিরে তুইলা নিয়া গেল। শুভ গিয়া গুন্ডা পিটাই তারে উদ্ধার করল । এরপর মুসা ভাইয়ের সাহায্যে এদেশের সেরা মিউজিক ডিরেক্টর (হাসান মাসুদ) কে দিয়ে মীম কে সুপারস্টার বানাই দিল আর নিজে তেনার ম্যানেজার হয়ে গেল । এর মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাকে শুভর গুন্ডা হওার কাহিনি দেখাইল। যাই হোক, শুভর ফুল-টাইম ম্যানেজারি পার্টটাইম গোলাগুলি ভালই চলতেসিল , এর মধ্যে আসলাম শেখ ফোনে বলল সে মীমকে ধরে নিয়ে আসছে । শুভ এবারো গিয়া পিটাইপুটাই নায়িকারে উদ্ধার করল। এরপর কোনভাবে একটা রোম্যান্টিক গান খালি শেষ হইসে, আবার ফোন আসলো ; আসলাম শেখ এবার মৌসুমিকে গাপ কইরালচে। এবার শুরু হইলো দৌড় । শুভ দিল আসলাম শেখের আড্ডার দিকে দৌড়, মুসা ভাই শুভর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মীমের বাসায় দৌড়, শুভর অবদান শুনে মীমের শুভর পিছে দৌড়।
যাই হোক , আসলাম শেখ বলল বোনকে ছেড়ে দিবে, যদি শুভ গুলি খায় । ব্যাস, ঠাশ । বোন বাসায় চলে গেল, শুভ গুলি নিয়া হাস্পাতালে না গিয়া বোনের বাসার দিকে রওনা হল এবং বনের বাসায় ঢুকেই ঠাশ করে মরে গেল। মীম এসে দেখে হেতে মরি গিয়ে । শেষ দৃশ্যে দেখায় মীম কন্সার্টে গান করতেসে আর শুভর ভুত সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে এসে মীমের সাথে ২-৪ লাইন গান করে আবার চলে গেসে।
ছবিটা এক কথায় অতি অখাদ্য । নায়ক মইরা গেসে, ভিলেন বাইচা আছে ; এইটা কিছু হইলো ! জলিল বস হইলে তো ...... শুভ, ডঃ এজাজ, ফারুক আহমেদ এই তিনজনের অভিনয় আর হাতে গোনা ২-৩ টা দৃশ্য ( যেমন মীমের দৌড়াই এসে ফাল দিয়া শুভর কান্ধে উঠা ) ছাড়া দেখার কিছু নাই । গান গুলাও অত ভাল না , সবগুলার কথা সুর একই রকম।



তারপরও নিজের দেশের ছবি , উৎসাহ দেওয়ার জন্য হলেও হলে যাওয়া উচিত।



