পাদুয়া-বড়াইবাড়ির সীমান্ত যুদ্ধে বিডিআরের কাছে ইন্ডিয়া প্রায় ২৬৫ জওয়ান হারিয়েছিল ।ভারত তার সরকার পতনের ভয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬জন বলেছিল ।প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রবণ মূখার্জী এই ঘটনার বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ।২০০৯ সালের ২৫ই ফেব্রুয়ারীতে সেই প্রতিশোধ তারা নেয় ।প্রশিক্ষীত এক ডজন কমান্ডো পাঠিয়ে ৫৭ জন কর্ণেল ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যা করে ।
RAB-1 এর অল্প কয়েকজন সদস্য সেদিন পিলখানার গেটের বাহিরে উপস্থিত ছিল ।সকাল ৮.৩০ মিনিটে RAB ঘটনাটা আঁচ করতে পারে এবং সেনাবাহিনীর কাছে অভিযান চালানোর জন্য চারবার ফোন করে ।কাঁন্না করেও সেদিন রহস্যজনকভাবে অনুমতি মিলেনি ।
যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় দেখে ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১সালে এদেশের বুদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করে পাকিস্থানের সেনারা ।এটি ছিল যুদ্ধের মধ্যেকার একটি ঘটনা ।
২৫ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আমাদের তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এদেশের সীমান্তের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য ৫৭ জন কর্ণেলকে হত্যা করে ।ঘাতকদেরকে নির্দেশ দিয়েছিল 'লালব্যাজ' ধারি কর্ণেল ও তদোর্দ্ধ কর্মকর্তাকে কাছ থেকে গুলি করার জন্য ।
চল্লিল বছর পরে হলেও একাত্তরের রাজাকারগুলোর বিচার হইতেছে ।আরো কিছু বাকি আছে তাদেরও হইবে ।
বিডিআর বিদ্রোহে যারা জড়িত তাদের বিচারও কোন একদিন হবে ।এই বাংলার মাটিতেই হবে ।হয়তবা কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে ।সেসময় ইন্ডিয়ার চল্লিশ হাজার সেনা ,এক ডজন এয়ারক্রাফট ও ছয়টা হেলিকপ্টার নিয়ে বিডিআর বিদ্রোহে সেনা অভ্যূথান ঘটলে তোমাদের উদ্ধার করার মতো গোপন চুক্তি করেও পার পাবে না ।দেশকে যারা বিক্রি করতে সন্ধি করে ,তাদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০