মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেরির তথ্যসূত্রে উল্লেখ করে কয়েকটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে যে "রাশিয়া ইতিমধ্যে আঙ্কারাকে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে ।তুরস্ক যদি সেনাবাহিনী এবং সৌদি আরব এয়ারসাপোর্ট নিয়ে সিরিয়ায় অভিযান চালায় ,তবে সিরিয়ার লাটাকিয়ায় মোতানেন রাশিয়ার নৌঘাঁটি রক্ষা করতে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে"
রবার্ট পেরি আরও বলেন যেঃ "তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য জেনেও রাশিয়া তার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রগুলো প্রস্তুত করেছে ।ন্যাটোর সাথে আসন্ন দ্বন্ধে 'পূর্ণ মাত্রার' সাহসী যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে "
রাশিয়ার বাহিরে একমাত্র নৌঘাঁটি মধ্যেপ্রাচ্য সিরিয়ার লাটাকিয়ায় অবস্থিত ।ইতিমধ্যে সেখানে ২০০০০ সেনা ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান Su-35 মোতায়েন করেছে ।তাছাড়া তুরস্ক সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরাভেনের ঐ ঘাঁটিতে মোতায়েন করা বিমানের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের চারটি মিগ-২৯ এবং অনেকগুলো অত্যাধুনিক মিগ-২৯এস বোমারু বিমান রয়েছে। এছাড়া একটি এমআই-৮এমটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে।
ঐ ঘাঁটিতে আগে থেকেই রাশিয়ার চতুর্থ প্রজন্মের নয়টি মিগ-২৯ বিমান মোতায়েন রয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মার্চে সংসদ নির্বাচন এবং রাশিয়া ,আমেরিকা ,আসাদ ও ফ্রি সিরিয়ান আমি যুদ্ধবিরতিতে রাজি রয়েছে ।সৌদি আরবও যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রশংসা করেছে ।কিন্তু আইএস ও আল নুসরাকে এর আওতার বাহিরে রাখা হয়েছে ।সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপের কয়েকজন কমান্ডার আল নুসরার অনুগত ।আল নুসরার উপর হামলা বন্ধ না করলে তারা যুদ্ধবিরতি মানবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ।সেজন্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় আছে ।
যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গেলে এবং তুর্কি-সৌদি জোট মিলে যদি সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালায় ,তবে রাশিয়া নিজেদের নেভাল বেস ও ঘনিষ্ট মিত্র আসাদকে রক্ষা করার জন্য যেকোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে বলে মনে হয় না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭