দিন দিন রাশিয়াকে ব্যাপক আকারে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে ।তুরস্কের বিমান বাহিনী রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ভূপাতিত করেছে বলে খবর ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হুরিয়াতান এলাকার আকাশে বিস্ফোরণ ও তিনটি তুর্কি যুদ্ধবিমানের চক্কর দেয় ।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের কাছে হুরিয়াতান এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর আকাশে তুরস্কের তিনটি যুদ্ধবিমানকে চক্কর দিতে দেখা যায়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক এ বিষয়ে টুইট করেন, রাতে হুরিয়াতানে রাশিয়ার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান তুরস্কের সেখানকার সামরিক কার্যকারিতা ‘রহস্যজনকভাবে’ লক অন (এমন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম তাৎক্ষণিকভাবে অকার্যকর হয়ে যায়) করে দিলে তার জবাব দিতে থাকে দেশটির যুদ্ধবিমান। তারপরই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ‘ওয়ার মনিটর’ নিউজ পোর্টালের খবরে বলা হয়, তুরস্ক সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার দূরে আলেপ্পোর আকাশে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর ছড়িয়েছে।ওয়ার মনিটর জানায়, আঙ্কারা বা মস্কো কোনো পক্ষই এ বিষয়ে কিছু না বললেও এতে সংঘাত আরও উস্কে যেতে পারে।
যদি ঘটনা সত্য হয়, তবে রাশিয়া ন্যাটো জোটের সদস্য তুরস্কের ওপর প্রতিশোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে ন্যাটোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হতে পারে।
এর আগে তিনবার তুরস্কের আকাশসীমায় রুশ বিমান অনুপ্রবেশ করেছে যেটার প্রতিবাদও আঙ্কারা করেছে রুশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে ।ন্যাটো তো বেশ কড়া হুমকি দিছে রাশিয়াকে ।এমনকি ফাইটারকে গুলি করে ভূপাতিত করার অধিকারও রাশিয়াকে স্মরণ করিয়ে দিছিলো ।এরপরে গত পরশু রুশরা "লকঅন" প্রযুক্তি এপ্লাই করে হয়তবা তুর্কি সামরিক বাহিনীর চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে ।তুর্কিরাও ঘ্যাঁচাং করে দিছে
তুরস্ক থেকে ইতিমধ্যে আমেরিকা প্যাট্টিয়ট প্রযুক্তি সড়িয়ে নিতেছে প্রতিস্থাপনের নাম করে।যদি সত্যিকার অর্থেই প্যাট্টিয়ট প্রযুক্তি সড়িয়ে নেয় ,তবে রাশিয়ান ফাইটারগুলো বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে তুরস্কের জন্য ।
রাশিনান বিমান ভূপাতিত করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ইতিহাস কারো জন্য মোটেও সূখকর নয় ।এর আগে ১৯৬৭সালে জর্দানে সরবরাহ করা F-21 যুদ্ধবিমান জর্দানের পাইটলদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে দুটি ইসরাইলি ফাইটারকে ধ্বংস করে ।পরেই ইসরাঈলি বিমানবাহিনী রাশিয়ান পাইলটসহ তিনটি ফাইটার ধ্বংস করে ।পাল্টা জবাবে তত্কালিন সোভিয়েত রাশিয়ার পাইলটরা বেপরোয়া হয়ে ২দিনে ১৭টি ইসরাঈলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ।ইসরাঈল ভয় পেয়ে যায় এবং সোভিয়েতের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয় ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পুতিনের উপর এখন অনেক কিছু নির্ভর করছে ।দেখা যাক কিভাবে পুতিনের রাশিয়া বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় ।