কয়েক সপ্তাহ আগে বারাক ওবামা বিশ্বনেতাদের কাছে আইএস নিমূলে সাহায্য প্রার্থনা করেন ।তখন পুতিন প্রসাশন পরিস্থীতি পর্যবেক্ষন করতেছিল অত্যন্ত নিবিড়ভাবে ।আমেরিকা জোট কিছুতেই আইএসকে দূর্বল করতে পারছিল না বিশ্বের শক্তিশালী এয়ারফোর্স থাকার পরেও।সেজন্য নিরূপায় হয়েই হাত পেতেছিল ।
এরপরে হঠাত্ করেই পুতিনকে প্রভাবিত করলো ইরান ।ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট নতুন করে মধ্যেপ্রাচ্যের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে
আমেরিকা অস্ত্র দিয়েছে বিদ্রোহীদেরকে আসাদকে ক্ষমতাচূত্য করে রাশিয়াকে খোঁচা দেয়ার জন্য ।আসাদের পতন হলে মধ্যেপ্রাচ্য থেকে রাশিয়াকে লেজ গুটিয়ে চলে আসতে হবে এটা পুতিন বুঝতে পেরেছে ।সেজন্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিল ।
বিমান হামলার আগে থেকেই রুশরা তলে তলে ঠিকই বাশারকে সহায়তা করে গেছে অনেকটা বাধ্য হয়েই।কারন দেশের বাহিরে একটা নৌবহর আছে সিরিয়ায় যেটা সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটলে আমেরিকা কিছুতেই থাকতে দিবে না ।
রাশিয়া শুধুমাত্র আমেরিকার সুঁড়সুড়িতে যুদ্ধে জড়ায়নি ।অনেকটা বাধ্য হয়েই মাঠে নামছে ।কাস্পিয়ান সাগর থেকে মিসাইল ও রকেট এবং যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলে আইএসের "গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা" ধ্বংস করতেছে ।এখনো স্থল অভিযান শুরু করেনি ।তবে দরকার পড়লে আসাদ বাহিনীর সাথে যৌথভাবে রুশ সেনারাও নেমে পড়বে ।
পুতিন এভাবে জড়িয়ে পড়বে সিরিয়ায় এটা CIA আঁচ করতেও পারেনি ।এটি বারাক ওবামা প্রশাসনের জগদ্বিখ্যাত CIA এর চরম ব্যর্থতা ।
আমেরিকা যদি রাশিয়ার মতো করে সিরিয়ায় হামলা করে ভূলক্রমেও রাশিয়ার কোন ফাইটারকে এটাক করে এবং পুতিন যদি তুরস্কে হামলা না করে ,তবে নিঃসন্দেহে ভিয়েতনামের মতো পরিণত হবে আমেরিকার ।