শীতবস্ত্র কার্যক্রম উদ্যোগের বিস্তারিত আপডেট
তিস্তার চরে শীতবস্ত্র বিতরনের চুড়ান্ত প্রস্তুতি
-----------------------------------------
এই যে ভাই, শুনুন, শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় হবে কি?
ইচ্ছে হলেই আপনি এই পোস্টটি কুইট করে যেতে পারেন যেমনিভাবে আমরা অহরহ রাস্তার পাশে আর্তনাদরত মানুষগুলোকে অবজ্ঞার দৃস্টিতে পাশ কাটিয়ে যাই, কিংবা সমালোচনার দুটি আচড়ও রেখে যেতে পারেন যেমনিভাবে আমরা সমালোচনার বানে জর্জরিত করি ড: ইউনুস, মূসা ইব্রাহিম, কিংবা এমনিভাবে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে আপেক্ষিকভাবে সফল নাম জানা অনেকের....... আবার মানবিক দায়িত্ববোধে আমাদের এই উদ্যোগকে সার্বিকভাবেই যথেস্ট প্রান দিতে পারেন বস্ত্র, অর্থ, বুদ্ধি, অনুপ্র্রেরণার মাধ্যমে~
তাহলে একটু শুনুন:--
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই প্রতিবছরের মত ঋতুর পালাবদলে এবারও হাতছানি দিচ্ছে শীতের প্রকোপ। এ ঋতুর খেয়ালী আচরণ দারিদ্র্যের সংগে নিত্য সংগ্রামরত হাজারো মানুষের (বিশেষত নারী, শিশু, বৃদ্ধ) অসহায়ত্বকে আরও দুর্বিষহ করে তোলে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় শীতের হিমেল হাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলেই বিরূপ প্রভাব ফেলে সবচেয়ে বেশি। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠে এখানকার হতদরিদ্র অভাবী মানুষগুলোর জীবন।
নুন আনতে পান্তা ফুরায় যে মানুষগুলোর, নিত্যদিন দুবেলা খাবার জুটানোই যাদের জন্য কস্টসাধ্য, তাদের জীবনে চামড়া ভেদ করা দাপুটে শীত নতুন উপদ্রব মাত্র। এ সব নিরন্ন গরীব, অসহায়, দুস্থ ও ছিল্পুমূল শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই সময়। ব্লগার ভাইবোনদের অনেকেরই হয়ত বিশ্বাস করতেও কস্ট হতে পারে যে, উত্তরাঞ্চলের নির্দয় শীতের রাতে এমনও অসহায় হাজারো মানুষ রয়েছে, যাদের শীত নিবারনের মত একটাও শীতবস্ত্রও নেই। একটা লুঙ্গি, জীর্ণ, শীর্ণ, পুরনো কাপড়ের অভাবে বাচ্চা-কাচ্চাসহ মা-বাবা থরথরে কেঁপে কেঁপে রাতের প্রহর কাটায়।
আমাদের বিশ্বাস, কমবেশি সব ব্লগারই উত্তরাঞ্চলের হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর জীবনে শীতের তীব্রতার অসহায়ত্ব উপলব্ধি করি ধর্ম-বর্ণ-দল-মত-নির্বিশেষে। আসুন না, ব্যস্তজীবনের কর্মচঞ্চলতার ফাঁকে অসহায় মানুষগুলোর জন্য সীমিত সাধ্যে কিছু করার দায়বদ্ধতায় সমন্বিতভাবে হাত বাড়িয়ে দেই।
আমরা চাই সব মত আর বিভেদের উর্ধ্বে উঠে কেবলমাত্র মানসিক পরিচ্ছন্নতায় ঐক্যের টানে মানুষের কস্টেƒহৃদয়ের অনুভবে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন। আশার কথা হচ্ছে, ইতোমধ্যে সামহয়্যারের কিছু উদ্যমী তরুণ তরুণী এসব দুঃখপীড়িত অভাবী ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়নোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সমাজের বিত্তশালী, বন্ধুবান্ধব, নিজ নিজ আপন স্বজন সবার সার্বিক সাহায্য ও সহানুভূতি চাই কমপক্ষে ২শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই সহায়তার প্রশস্ত হাত নিয়ে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও সরবরাহের মাধ্যমে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর এই মানবিক আয়োজনে আমরা পাশে চাই আপনাকে/ আপনার রেফারেন্সে আপনার প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধবসহ সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণ।
আমাদের ইচ্ছা সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় অথবা দহগ্রামের তিস্তার চরে সিলেক্টেড দুই শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতপূর্বক এই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চালাবো।
সফলভাবে এই কার্যকদ্ধম বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে দেশের প্রতিটি জেলায় / দেশ / বিদেশের সর্বস্তরের ধনাঢ্য, বিত্তবান, শিল্কপ্পপতি, ব্যবসায়ী নির্বিশেষে সকল ব্লগার, সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা এ শীতের মৌসুমে শীতার্ত, গরিব, অসহায়, দুঃখী মানুষকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন বা পুরাতন শীতবস্ত্র / অর্থ দিয়ে অকাতরে সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসুন
*আপনি নিজে স্বেচ্ছাশ্রমে যোগ দিন।
*অর্থ / বস্ত্র সংগ্রহ ও সহযোগিতায় নিজে অংশগ্রহণকরুন।
*নিজ পরিবার, বন্ধুসজন পরিচিতজন অন্যকেও উত্সাহিত করুন।
আপনার একটু সময় ও শ্রম অনেক শীতার্ত মানুষকে শীতের অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক হতে পারে।
============================================= বি:দ্র:-
ব্লগারদের কাছে প্রথমেই আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি সময় মত ফ্লেক্সিলোড নাম্বার প্রদান না করতে পারার ব্যার্থতার জন্য~
সংক্ষেপে:- আমারা আমাদের সর্বোচ্চ শ্রম / চেস্টা দিয়ে যাচ্ছি এই উদ্যোগকে সফল করার জন্যে~
১. ব্যাক্তিগতভাবে ব্যাবহৃত জিপি / বাংলালিংক / টেলিটক নাম্বারে জমাকৃত ফ্লেক্সিলোডের পয়েন্ট টাকায় ফেরত পেতে বড়জোড় হাজার খানেক কিংবা ২, ৩ হাজারের মধ্যে হলেও ফ্লেক্সিব্যাবসায়ীদের দিয়ে সম্ভব~ এই সিস্টেমে দেশব্যাপী ব্লগারদের অভূতপুর্ব সাড়া দেখে আমরা আনন্দিত~ আবার আশংকিত এই ফ্লেক্সিপয়েন্ট ১৫০০০-২০০০০ কিংবা তার চেয়ে বেশী হলে কিভাবে পয়েন্ট ভাংগানো সম্ভব তা নিয়ে।
এর সমাধান কল্পে আমরা জিপি এবং বাংলালিংকে যোগাযোগ করেছি~ উনারা ব্যাক্তিকে এধরনের কোন সুবিধা দিতে এগ্রি নয়~
আমরা সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জিপির সাথে (সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতকল্পে সামহোয়্যারের মাধ্যমেই) আলোচনা করেছি ~ [--------------------] পজিটিভ হলে যথাশীঘ্র জানাবো ইনশাআল্লাহ
২. ব্যাংকের সুইফট কোডের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রস্তাবে আমরা ব্যাংক কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি~ উনারা (বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিংয়ের ঝামেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন কারন দেখিয়ে) বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সোর্স থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে জমাকৃত টাকা কিছুতেই গ্রহনে রাজি নয়~
এ ক্ষেত্রে প্রবাসী ব্লগার বন্ধুদের কাছে আন্তরিক অনুরোধ আপনারা উল্লেখিত ব্যাংক একাউন্টে অথবা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে আমাদের জানিয়ে দিলে আমরা বাধিত হব~
এছাড়া যে কোন স্থান থেকে টাকা / কাপড়চোপড় এস.এ.পরিবহনের মাধ্যমে নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠিয়ে আমাদের জানিয়ে দিলে বাধিত হব-
মোঃ জাকারিয়া
১৯১/বি, থার্ড ফ্লোর,
গুলশান-তেজগাঁও লিঙ্ক রোড
তেজগাঁও, ঢাকা
মোবাইল -০১৭৩০০০৪৭৮৬
জিয়াউদ্দিন সাইমুম
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আমার দেশ
কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
মোবাইল -০১৭১৮০১৪৩৫৪
আপনাদের সবার সমন্বিত আন্তরিক অংশগ্রহনে আমরা এবারের উদ্যোগ যে কোন মুল্যে সফল করবই ইনশাআল্লাহ~
=============================================
সরাসরি অর্থ পাঠানোর জন্য :-
ZIA UDDIN SAIMUM,
SAVINGS ACCOUNT NO 15549,
ISLAMI BANK, MOUCHAK BRANCH, DHAKA.
অথবা
MD ZAKARIA,
A/C NO. 02834001696 (SAVINGS ACCOUNT) MOHAKHALI BRANCH,
BANK ASIA LIMITED.
মৈত্রী
Kazi Moitry
EZEE 1509201815168001
BRAC BANK
-------------------------------------------
পেপাল একাউন্টস এর মাধ্যমে কেউ পাঠাতে চাইলে
[email protected]
একাউন্টে পাঠিয়ে প্লিজ আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন~
-------------------------------------------
যে কোন ধরনের ( বস্তু / অর্থ পাঠাতে ) যোগাযোগের জন্য :-
১. সাইমুম
মোবাইল ০১৭১৮০১৪৩৫৪ কারওয়ান বাজার
২. রিমঝিম বর্ষা:
মোবাইল ০১৭১২৯৫১৮১৬ মিরপুর
৩. শিপু ভাই:
মোবাইল ০১৬৭১৩২৯৫১১ খিলগাও
৪. ময়নামতি:
মোবাইল ০১৮১৮৯৪৪৩৭৭ নোয়াখালি
৫. জামিনদার
মোবাইল ০১৭৩২৬৩৯৩৭৩ চাটখিল
৬.আলীম আল রাজি
০১৭৩৪৯৯১২১২ সিলেট
৭. পাহাড়ের কান্না:-
মোবাইল ০১৬৭০৫০৫৭৫৭ যাত্রাবাড়ী
৮. মৈত্রী
মোবাইল ০১৯১৭-৩১৫৮৪২ মোহাম্মদপুর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা
৮. হুপফুলফরইভার :
মোবাইল ০১৭৩০০০৪৭৮৬ উত্তরা
প্রতিদিন নিয়মিত দুবার আপডেট জানানো আর সার্বিক স্বচ্ছতায় টোটাল কার্যক্রমের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দায়বদ্ধতা রাখি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৪