সুমাইয়ার বয়স ৮ বছর। চন্দ্রিমা উদ্যান এর পাশের রাস্তায় তাকে প্রায়ই দেখা যায়। ভাগ্যের দোষে সে ফুল বিক্রি করে।ফুলের মতো সুন্দর হওয়ায় জন্মের পর শখ করে তার বাবা নাম রেখেছিল ফুলপরী।ফুলপরী না হলেও অবশেষে জীবনের একটা বড় অংশ আজ ফুলের সাথে জড়িয়ে আছে।
ফুলপরী আর নেই সেই ফুলপরী। পরিবেশ মানুষকে বদলে দেয়।চেহারার সেই গৌর বর্ণ আর নেই, তাইতো তাকে আর কেউ আদর করে ফুলপরী ডাকে না। সুমাইয়া নামেই তাকে ভালো মানায়।
সুমাইয়ার ফুল বিক্রি করতে ভালই লাগে।আগে বিরক্ত লাগতো। কোন কাজ বারবার করলে তা ভালো লাগতে শুরু করে। আজকাল আর আগের মতো ফুল বিক্রি হয় না। তাই সুমাইয়ার মন খারাপ থাকে। তখন ভাবে যদি সে পড়াশোনা করতে পারত। কিন্তু তার আশা হোল ফুলের পাপড়ির মতো, একসময় ঝরে পরে। কিন্তু সেই ঝরে পড়া পাপড়িকে ধরে রাখার কেউ নেই।
সুমাইয়া কি জানে আজকাল মানুষের ভালোবাসা আর ফুলের ভিতর সস্তা ভালবাসায় সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পরেছে বহুদূর। এখন ভালোবাসা মানে হোল , কে এফ সি তে যাওয়া, বসুন্ধরাসিটি থেকে শপিং করা, আই ফোন গিফট, শারীরিক সম্পর্ক করা ইত্যাদি। ফুলের মতো পবিত্র ভালোবাসা আজ হয়েছে অপবিত্র। আজকাল সস্তা পাঁচ টাকার ফুলের, পবিত্র প্রেম চলে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩