বরফ-মাখন খাইতেছিলাম, প্রায় শেষ হইয়া গিয়াছে। এমন সময় একটা ছোকরা আসিয়া বেগার ধরিল, সে বরফ-মাখন খাইবে। আজকালকার ছোকরা-গন বড় বিরক্ত করিয়া বেড়ায়, তাহাদের জ্বালায় একটু শান্তিমত খাইতেও পারা যায় না।
আমার খাওয়া প্রায় শেষ হইয়া গিয়াছে, বিধায় ছোকরাকে বিদায় করিলাম। ছোকরা পাশেই বসিয়া পড়িল, বসার কি কারণ থাকিতে পারে তাহা বুঝিয়া উঠার আগেই আমার মুঠোফোন বাজিয়া উঠিল।পুরাতন বন্ধু আমাকে স্মরণ করিয়াছে।
বরফ-মাখনের এর কৌটা ফেলিয়া, বন্ধুর সাথে আলাপে মগ্ন হইলাম, এবং আর চোখে লক্ষ্য করিতে লাগিলাম ছোকরা কি করে।
ছোকরা খালি কৌটা লইয়া সে অতি সাবধানের সহিত প্রস্থান করিল, এবং সে এমন ভাবে প্রস্থান করিয়াছে যেন তাহাকে কেউ দেখিতে পায় নাই। আমার ছোট মাথায় বোধগম্য হইল-না যে, ইহা লইয়া তাহার কি কাজ রহিয়াছে।
আমিও কম যাই না, দূরে থাকিয়া তাহাকে লক্ষ্য করিতেছি, সে কিছু দূরে যাইয়া একটা গাছের নিচে বসিয়া পড়িল এবং খালি কৌটা চাটিয়া-পুটিয়া খাইতে লাগিলো। ইহা দেখিয়া আমি বরই মর্মাহত হইলাম, সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব ক্ষুধা নিবারণ করার লাগিয়া এই সকল কাজ আমি মানিয়া লইতে পারিলাম না। নিজেকে অপরাধী মনে হইতে লাগিলো। একটা বরফ-মাখনের কৌটা কিনিয়া ছোকরার হাতে ধরাইয়া দিয়া, অতি দ্রুত প্রস্থান করিলাম, ছোকরার চোখের দিকে তাকানোর মত ক্ষমতা আমার ছিল না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮