-তোমার চোখে কয়টা পাপড়ি আছে?
-মানে কি?
-মানে কিছুনা আসো দেখিত তোমার চোখে কয়টা পাপড়ি!
-কিসব পাগলামি করতেছো?
-আমি কোন পাগলামি করছিনা।
নিতিকা আমার চোখের পাপড়ি গুনতে লাগলো। কি অদ্ভুত ব্যাপার চোখের পাপড়ি কেউ গোনে নাকি? এইসব পাগলামি শুধু নিতিকা কে দিয়েই সম্ভব।
-তোমার চোখে পাপড়ি বেশী! গুনতে যেয়ে আমার চোখ ব্যথা করতেছে।
-কয়টা কয়টা?
-আগে আইসক্রিম খাওয়াও তারপর বলব।
-বুঝতে পেরেছি! আইসক্রিম খাওয়ার ফন্দি!
-তুমি আসলেই একটা কিপ্টা।
-জানো তোমার জন্য একটা জিনিশ এনেছি।
-কি এনেছ?
-এই নাও।
নিতিকা একটা মানি ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিলো।এর ভিতর কি যেন আছে, তা যত্নকরে রাখতে বলল। পরে দেখলাম টিস্যু-পেপারের ভিতর ওর চোখের পাপড়ি। আমি অতি তুচ্ছ সহকারে যত্নের সহিত মানিব্যাগের কোনায় ফেলে রাখলাম।
মানিব্যাগটা খুঁজে পাচ্ছিনা। নির্ঘাত পকেটমারের কাজ।আমার জীবনে এই প্রথম মানিব্যাগ হারাল।কি আর করা, মনের দুঃখে গান গাইতে গাইতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর ভাবছি, মানিব্যাগ এতো বেশী টাকা ছিলনা তারপরও মন এত খারাপ কেন? কি যেন নেই, কি যেন নেই মনে হচ্ছে!
ওহ মানিব্যাগটা তো নিতিকা আমাকে দিয়েছিল। যদিও আমার কাছে ভালো লাগেনি মানিব্যাগটা, তবুও নিতিকার ভালোবাসা আমাকে মানিব্যাগটাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিল।
না থাক! যা যাবার তাতো যাবেই।তাকে ধরে রাখা যায়না, যাবেনা। মানিব্যাগের সাথে হারিয়ে গেলো শেষ অতীত... শত পুরানো শেষ অতীত।।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১