সমকামী মাহফুজ স্থানীয় একটা থ্রি স্টার হোটেলের সেফ। সন্ধ্যার পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খদ্দের খুঁজতে দেখা যায়। আজকাল খদ্দের পাওয়া খুব সহজ। সমাজে তাদের জগতের বাসিন্দা খুব একটা কম নয়। হাত বাড়ালেই যদি কাঙ্ক্ষিত বস্তুর দেখা মেলে, তবে হাত বাড়াতে দোষ কি।
সুদর্শন ছেলেপেলেরাই তার মূল লক্ষ্য। মেয়ে দেখলে একজন পুরুষের যে রকম অনুভূতি আসে, মাহফুজের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। মেয়েদের প্রতি তার অনুভূতি শূন্য। এখন তার সব অনুভূতি ছেলেদের প্রতি। একটা ছেলেকে দেখলে সে ঠিক থাকতে পারে না।
আজকাল আমাদের সমাজে এই সমকামিতা ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। টিন-এজরা এই কাজে বেশি জড়িয়ে পরছে। অনেকের কাছে সমকামিতা ফ্যাশন। আবার অনেকেই প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি একটা তীব্র ঘৃণার জন্ম হয়ে ফলে সে এই কাজে লিপ্ত হয় । রাত ১০ টার পরে যদি আপনি ফার্মগেট পার্কের ভিতরে জান, অনেক সুদর্শন ছেলে থেকে শুরু করে, বুড়া, তরুণ, জুয়ান, সব ধরনের সমকামীদের মিলন-মেলা, তাছাড়াও রমনা পার্ক, ১০ নং ওভার ব্রিজ ইত্যাদি স্থানেও তাদের দেখা পাওয়া যায়।
আর এই সমকামিতা শুধু ছেলেদের ভিতরে নয়। আজকাল মেয়েদের ভিতরেও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা সমকামী, তারা আরও ১০ জনকে সমকামী বানায়, না পারলেও চেষ্টা করে। আর একবার এই পথে যে যায় সে আর ফিরে আসতে পারে না। এটা অনেকটা নেশার মত।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?? যদি কারও মহিলা হোস্টেল,পুরুষ হোস্টেল,মিশনারি স্কুল, মাদরাসা ইত্যাদি স্থানে খুব পরিচিত ক্লোজ কেউ থেকে থাকে তবে আপনি এই সমকামিতার সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।
এখন ছোট ছোট ছেলেরাও নিরাপদ নয়। আজকাল ধর্ষণ হচ্ছে বাচ্চা ছেলেরা সহ বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা। আমাদের সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে, আমাদের উচিৎ সমাজের এই কীট গুলি থেকে বিরত থাকা, একমাত্র সচেতনতাই পারে এইসব বিকৃত যৌনাচার থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩১