আজকে সারার জন্মদিন। ওঁকে কিছু একটা কিনে দিতে হবে। হাতে বেশি টাকা নেই । যা কিনতে হবে তা অল্প কিছু টাকার মধ্যে কিনতে হবে, অল্প দামে ভালো কি পাওয়া যাবে! তা নিয়ে চিন্তা করছি, আর মাঝ দুপুরে রাস্তায় হাঁটছি। চিন্তা করে লাভ নেই, চিন্তা করে জীবনে কেউ কখনো বড় হতে পারে নাই। চিন্তার খাঁচা আমার সবসময় শূন্য। চিন্তা করে বাস্তব জীবনের সমস্যার কোন সমাধান হয় না। মাঝে মাঝে ভাবি যদি কল্পনার মত আমাদের জীবন সুন্দর হোতো?
আমার দাদা বলতেন , “মেয়েদের চেয়ে পুরুষের ভালবাসা বেশি, কেননা ভালবাসা প্রকাশিত হয় হৃদয়ের প্রসরটার উপড়ে, সে ক্ষেত্রে মেয়েদের হৃদয় পুরুষের তুলনায় ছোট”
আমি যখন বড় হই তখন ব্যাপারটার সত্যতা উপলব্ধি করতে পারি, আসলেই বৈজ্ঞানিক ভাবে পুরুষের হার্ট থেকে নারীর হার্ট ছোট। আর হার্ট দিয়ে যদি ভালবাসা পরিমাপ করা যায় তবে তো নারী থেকে পুরুষ এগিয়ে।
সারা তার বয়-ফ্রেন্ড এর সাথে সম্পর্ক ব্রেকআপ করলো সিম্পল কারণে, আগেও যে মেয়ে আমাকে বলেছিল, ও ওর বয় ফ্রেন্ড কে ওর জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসে, বিয়ে নাকি করে ফেলবে খুব তাড়াতাড়ি, “তুই সাক্ষী দেখিস।” আমি বলেছিলাম “আমার মতো বড় সাক্ষী আর কোথায় পাবি?” আমাকে কথাগুলি বলেছিল কত আবেগ নিয়ে, নাকি আমার বোঝার ভুল ছিল? আমি সেদিন বড় অবাক হয়েছিলাম, যেদিন দেখলাম সারা আমার বন্ধু শিমুল কে নতুন বয়-ফ্রেন্ড বানাল। শিমুল কে দেখি এখন বাইক নিয়ে সারা কে স্কুল এ দিয়ে আসে, আবার মাঝে মাঝে নিয়ে আসে।
শিমুলের ভাগ্য খারাপ নাকি ভালো তা নিয়ে বন্ধুদের মাঝে কত সময় নষ্ট হয়। নতুন গার্ল ফ্রেন্ড হয়েছে বলে, বন্ধুরা মিলে মজা হয়, পার্টি হয়, হয় আরও কত কিছু। অথচ যে ছেলেটা ভালবাসা পেল না, পাঁজর ভাঙ্গার কষ্ট নিয়ে যে প্রতিটা দিন পার করে তার খবর কেউ নীল না। দুইদিন পরে দেখা যাবে, ছেলেটা গাজা আর সিগারেটের কল্যাণে ধ্বংস করবে নিজের ফুসফুস,নিজের জীবন, ধ্বংস হবে একটি পরিবার। পরিত্যক্ত এই সুখের জীবন থেকে মানুষের একটা সময় আসে বুঝতে পারার, কান্না করার, তখন হাজার কান্না করলেও চোখের জল শেষ হয় না। যে সবার শেষে হাঁসতে পারে, সেটাই সুখের হাসি, এবং প্রকৃত সুখী।।