৩৬ নাম্বার বাস। এক মহিলা বাস এ উঠছে, হেল্পার তুলতে চায় নাই, কোন সিট খালি নাই দেখে। দাঁড়াইয়া আছে, আজকাল আর কেউ সিট ছেঁড়ে দেয় না। বাস এর হেল্পার সবাইকে জিজ্ঞাসা করতেছে কে কোথায় নামবে, সিট ফাঁকা হলে মহিলাকে বসতে দিবে। বাস এর মাঝখানের এক যাত্রী সামনেই নামবে। অনেক কষ্ট করে হেল্পার তাকে মাঝখানে নিয়ে বসাল। মহিলা ২০ টাকার ভাড়া দিল ১০ টাকা। সে নাকি স্টুডেন্ট!!
একবার হয়েছে কি, এক লোকাল বাস এ প্রচণ্ড ভীর, মানুষ উঠার জায়গা নাই, তারপরও হেল্পার সবাইকে তুলতেছে, এমন অবস্থা যে আর উঠার জায়গা নাই। পরে নাকি হেল্পার নিজেই উঠতে পারে নাই।
একবার কলেজ গেঁট থেকে বাসে উঠার সময়, পা পিছলে পরে যাওয়ার সময় হেল্পার আমার হাত টা ধরে ফেলে, সেদিন যদি উনি আমার হাত না ধরত, আজকে আমার হয়তো ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হতো।
তারপর থেকে বাস এর হেল্পারদের প্রতি, আমি কখনো রাগ দেখাতে পারি নাই।
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, বাস থেকে নামার সময় কিন্তু হেল্পার আপনাকে সতর্ক করে, বা পা আগে দেয়ার জন্যে। ভুল করে আমার ফ্রেন্ড একবার ডান পা দিয়ে ফেলায়, একটুর জন্যে বড় কিছু হয় নাই। ১৫ দিন হাঁসপাতালে ছিল।
...হেল্পার শব্দের অর্থ হোল সাহায্যকারী, তারা আমাদের সাহায্য করার জন্যে জীবনের রিস্ক নিয়ে বাস এর গেঁট এ দাঁড়াইয়া থাকে।
অথচ তাদের প্রতি আমাদের কোন সম্মান নাই, দুই টাকার জন্যে তাদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা-বোধ করি না। যা মুখে আসে তাই বলে ফেলি। দুই টাকা কম দিতে পারলে আমরা গর্বিত বোধ করি।
আমরা ভুলে যাই তাঁরাও কিন্তু মানুষ।