আজ হঠাৎ সাপ সর্ম্পকে জানার ইচ্ছা হল , তাই বিভিন্ন ওয়েব সাইট ঘেটে কিছু তথ্য পেলাম । এগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
সাপ কি :
সাপ বা সর্প হাতপাবিহীন এক প্রকার সরীসৃপ। বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী, Animalia (প্রাণী) জগতের, Chordata (কর্ডটা) পর্বের, Vertebrata (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের, Sauropsida (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর (শল্ক বা আঁশযুক্ত), Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের, Serpentes (সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়।অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়। এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। এদের আকার খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বচ্চো ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানওবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা। বিষধরদের জন্য বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি হয়। কিছু মারাত্মক বিষধর সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি বা মৃত্যুর কারণ ঘটায়।
সর্পদংশন :
সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। ব্যাতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোনো কিছু আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো। বর্ষার পানি মাটির গর্তে ঢুকলে বেঁচে থাকার জন্য সাপ বের হয়ে আসে এবং মানুষকে দংশন করতে পারে। বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে। আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্খ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাঁচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে।
পৃথিবীর ১০ টি ভয়ংকর সাপ :
=============================================
১নং : তাইপান সাপ (Taipan sanek ) :
এ টি পৃথিবীর ১ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।তাইপান সাপ সাধারনত ওলিভ ও ব্রাউন রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১.৮ থেকে ৩.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এটি সবচেয়ে বেশি অস্টলিয়ায় পাওয়া যায়।
=============================================
২নং : কমেন ক্রাইট (comman krait) :
এ টি পৃথিবীর ২ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটি সাধারনত কালো রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ৯০ সে.মি থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এটি ভারত , শ্রীলংকা ও পাকিস্তানে পাওয়া যায়।
=============================================
৩নং : ফিলিপাইনি কোবড়া ( philippne cobra) :
এ টি পৃথিবীর ৩ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটা সাধারনত ব্রাউন রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১০০ সে মি মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি ফিলিপাইনে পাওয়া যায়।
=============================================
৪নং : কিং কোবড়া ( king cobra ) :
এ টি পৃথিবীর ৪ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।কিং কোবড়া সাধারনত ব্লাক , গ্রিন , ব্রাউন রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ৩.৫ মিটার থেকে ৫.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এটি ভারত, চিন , ফিলিপাইনে , মালোইসিয়া সহ বাংলাদেশে ও পাওয়া যায়।
=============================================
৫নং : রুসেলস ভিপার (Russell Viper) :
এ টি পৃথিবীর ৫ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটি সাধারনত ব্লাক , ব্রাউন রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১ মিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এটি সুইডেন্ , শ্রীলংকা, ভারত, চিন , ফিলিপাইনে , মালোইসিয়া পাওয়া যায়।
=============================================
৬নং : ব্লাক মাম্বা (Black Mamba) :
এ টি পৃথিবীর ৬ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটি সাধারনত কালো রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ৪.৫ মি মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায় পাওয়া যায়।
=============================================
৭নং : বথ্রপ্স এসপার (Bothrops Asper ) :
এ টি পৃথিবীর ৭ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটি সাধারনত কালো , ব্রাউন রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১.৪ থেকে ২.৪ মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি সুইডেন , মেক্সিকো, দক্ষিন আফ্রিকায় পাওয়া যায়। এটি দেহের যে জায়গায় দংশন করে সে জায়গা পচে যায়।
বথ্রপ্স এসপার (Bothrops Asper ) এর দংশনে এ ছেলে পচে যায় পা।
=============================================
৮নং : মাল্টিবেন্ডেড ক্রাইট (Multibanded Krait) :
এ টি পৃথিবীর ৮ নাম্বার ভয়ংকর সাপ।এটি সাধারনত কালো রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১.৮ মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি সুইডেন , চিন ।ফিজি পাওয়া যায়।
=============================================
৯ নং টাইগার সাপ (Tiger Snake):
এ টি পৃথিবীর ৯ নাম্বার ভয়ংকর সাপ। এটি সাধারনত হলুদ বা অলিভ রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ১.২ থেকে ১.৮ মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি অস্টলিয়া , গ্রিস , পাওয়া যায়।
723595445 d47a02debb সাপ কি , সাপ কেন দংশন করে এবং ১০ টি ভয়ংকর সাপ সর্ম্পকে জানুন (যাদের হার্ট দূর্বল তাদের না দেখাই ভালো) | Techtunes
=============================================
১০ নং জারারাকুসু (Bothrops Jarararcussu ):
এ টি পৃথিবীর ১০ নাম্বার ভয়ংকর সাপ। এটি সাধারনত লাইট বা কালো সবুজ মিশ্রত রঙ এর হয়ে থাকে। এটি সাধারনত ৩ মিটার লম্বা হয়ে থাকে । এটি সবচেয়ে বেশি আর্জেন্টিনা , ব্রাজিল , পেরাগুয়ে তে বেশি পাওয়া যায়।
=============================================
=====================০০০======================
তথ্যসুএ : উকিপিডিয়া , ও বিভিন্ন ওয়েব সাইট
=====================০০০======================
ধন্যবাদ সবাইকে......
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৬