somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি স্বপ্নময় দাওয়াত

১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মল্লিক সাহেবের বাড়িতে প্রথম দাওয়াতে এসেছি। উনার সাথে অন্য আরেকটি দাওয়াতে পরিচয় । ভদ্রলোক অত্যন্ত সজ্জন, আমাদের আন্তরিকভাবে সম্ভাষণ জানিয়ে বসতে বললেন।

শুক্রবারের কাজ শেষে দাওয়াত, লং ড্রাইভ করে যাওয়া। কিছুটা ক্লান্তি লাগছে, থেকে থেকে হাই উঠছে।

বাইরের ঘরটা সুন্দর করে সাজানো। টেবিলের ওপর সাজানো ক্রিস্টালের একটি বড় শোপিস পট লাইটের আলোয় চিক চিক করছে। সামনের দেয়ালে এজটেক সভ্যতার এক বিরাট ছবি, দুই সোফাসেটের কোনায় সাইড টেবিলে এজেটেক সভ্যতার ছোট ছোট স্যুভেনির জাতীয় পুতুল। পুতুলগুলো খুবই মায়াময়, দেখলে হটাৎ করে কেমন জানি সুদূর অতীতের মায়ায় টানে।


[Diego Rivera এর আঁকা এজটেক নগর, সূত্র উইকিপিডিয়া]

বসবার পরে ফলের জুস খেতে দিলেন। ফলের জুস দেয়া ক্রিস্টাল কাঁচের গ্লাসগুলোতে চোখধাঁধানো মোহনীয় নকশা।

ক্লান্তিতে কখনো কখনো তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিলাম, আমার স্ত্রী কয়েকবার ঠেস দিয়ে সম্বিৎ ফিরিয়ে দিলো। কেমন জানি আধা জাগা আধা স্বপ্নের আবেশে জড়িয়ে রইলাম।

মল্লিক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, 'রাস্তায় কোন অসুবিধা হয়েছে?'
আমি বললাম, না, হয়নি।
‘আজকাল যে ট্রাফিক জ্যাম, বাসা চিনতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?’
‘না, কোন অসুবিধাই হয়নি।’

কথাগুলি তিনি আন্তরিকভাবেই বললেন। আমার আবারো প্রবল ঝিমুনি আসছিলো, কিন্ত সামলে নেবার চেষ্টা করলাম। আবারো সাইড টেবিলের পুতুলগুলোর দিকে চোখ চলে যায়, তাকাতেই কেমন জানি একটা টানেল ইফেক্ট অনুভব করি, চোখ বুঁজে আসে। ঠিক সেই সময় মিসেস মৃধা হালকা রাগী স্বরে বললেন, ‘আরে আরে করেন কি! যেভাবে নাড়ছেন তাতে পুতুলের রঙ নষ্ট হয়ে যাবে, এই পুতুলগুলো মেক্সিকো থেকে আনা।’
পুতুলটি কখন হাতে নিয়ে নিয়েছি খেয়াল নাই। আমি লজ্জায় লাল হয়ে যাই এবং তা যথাস্থানে রেখে দিই।

প্রথম কারও বাসায় গেলে অভ্যাসবশত আমি কথা বলার সময় সোফার টেবিলের ওপর যা থাকে তা অনেক সময় তুলে পরখ করে দেখি, টেবিলের ওপর ম্যাগাজিন থাকলে সেটা নিয়ে পাতা উলটাই প্রাথমিক অস্বস্তি দূর করার জন্য। সে অভ্যাস থেকেই পুতুলটি হাতে চলে এসেছিল।

মল্লিক সাহেব তখন মাখন মাখা গলায় স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললেন, এগুলা তোমার খালা পাঠিয়েছেন না? মিসেস মল্লিক বললেন, হ্যাঁ।
মল্লিক সাহেব বললেন, তোমার খালাদের কি যেন একটা ইন্ডাস্ট্রি আছে?
এরপর মিসেস মল্লিক তাঁর খালা থেকে শুরু করে, তাঁর বংশের কাহিনী বয়ান করলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ জমিদার ছিলেন, ঢাকাতে অনেক সম্পত্তি, চাচা, খালারা বিশাল ধনী। তাঁদের বাড়িতে বিভিন্ন কাজের জন্য আলাদা আলাদা চাকর, রান্না করে পেশাদার বাবুর্চি। আমি সাধারন ঘরের মানুষ, এসব শুনে কিছুক্ষণ আগের লজ্জায় আরও আড়ষ্ট হয়ে গেলাম, অনেকটা বৃষ্টি ভেজা কাকের মত চুপসে গেলাম।

এর পরে আরও দুটি পরিবার আসলো, তাঁদের কাউকেই চিনি না। পরিচিতি পর্বের পর আমি আর কোন কথা খুঁজে পাই না। বাকি দুটো পরিবার উনার সঙ্গে আলাপে মশগুল হয়ে গেলেন, ইনারা মিসেস মল্লিকের পূর্ব পরিচিত, তিনি যা কিছুই বলেন সেগুলোতে তাঁরা সাগ্রহে সাঁয় দেন এবং কেমন করে যেন সবকিছুতেই তাঁর সাথে মিল খুঁজে নেন। যেমন একজন ভাবী বললেন, তখন ধানমন্ডি মহিলা কলেজে পড়তাম, কলেজে সকালে যাবার জন্য রাত থেকেই সুখ চিন্তা শুরু হয়ে যেত, কি চমৎকার তখনকার দিনগুলো ছিল!
তক্ষুনি মিসেস মল্লিক বললেন, ও আচ্ছা, কি যেন কলেজটার নাম বললেন?
ধানমন্ডি মহিলা কলেজ।
'সেই কলেজে তো সব খারাপ ছাত্রীরা পড়ে!'
অপর মহিলা তৎক্ষণাৎ বললেন, হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, সেটা জানার পরে আব্বা অন্য ভালো কলেজে ভর্তি করে দিলেন।

আমার এরই মধ্যে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। তিন মহিলার গল্প চলতে থাকে, আমার স্ত্রী স্বল্পভাষী, মনোযোগী শ্রোতা। তিন পুরুষের গল্প এ প্রান্তে জমে উঠে, আমি ক্লান্তি আর মাথা ব্যথা নিয়ে চুপ হয়ে থাকি, কোন প্রসঙ্গে যোগ দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি, মাঝে মাঝে ঘড়ির কাঁটা দেখি আর ভাবি আর কতক্ষণ ভদ্রতা করে থাকতে হবে।

মিসেস মল্লিক রান্না ঘরের ওদিকটাই কাজে ব্যস্ত, হটাত হটাত মল্লিক সাহেবকে চাকর ডাকা সুরে ডাকেন, এই মল্লিক, এই মল্লিক। ভদ্রলোক হাসিমুখে যান, বলেন, ভাই এক্ষনি আসছি, কিছুক্ষণ পর কাজ সেরে আসেন কিন্ত মুখটা মলিন হয়ে থাকে।

মল্লিক সাহেব সকলকে খাবার নেবার জন্য অনুরোধ করেন। খাবার নিয়ে বসলাম, একজন বললেন, ভাবী, একটা বোনপ্লেট দিন। তিনি ঝাঁঝালো গলায় বললেন, ‘এই মল্লিক এখানে বোনপ্লেট দাওনি কেন! একটা কাজ যদি ঠিকমত করতে পার।‘ এই বলে তিনি আরও কিছুক্ষণ গজগজ করতে লাগলেন।

সবাই মিসেস মল্লিককে খাবার নিতে অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন, খিদে সহ্য করতে পারেন না, তাই আগেই খেয়ে নিয়েছেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, গেস্টের আগেই হোস্টের খাওয়ার এরকম বিরল নজির এর আগে কখন দেখিনি, বিরল প্রজাতির হোস্ট।

খাওয়া শেষে বোতল থেকে কোমল পানিয় ঢালতে যেয়ে ড্রিংকসসহ কাপটি মেঝেতে পড়ে গেলো। আমি বেশ একটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম। মিসেস মল্লিক চিকন ধারালো গলায় বলে উঠলেন, ‘এই মল্লিক, এদিকে নানছান হয়ে গেলো। তুমি কোথায়? মল্লিক সাহেব তাড়াতাড়ি ছুটে আসলেন, মেঝের দিকে তাকিয়ে কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে দাঁড়িয়ে পরলেন। মিসেস মল্লিক রেগে বললেন, ‘সঙ সেজে দাঁড়িয়ে আছো কেন! পরিস্কার করো’ মল্লিক সাহেব শান্তভাবে মেঝে পরিস্কার করতে লাগলেন। মিসেস মল্লিক এবারো গজ গজ করে কিসব বললেন তা বোঝা গেল না। সবার গল্প কথা হারিয়ে গেল কিছুক্ষনের জন্য, পিনপতন নীরবতা। কিছুক্ষন আগে যে ছোট ছেলেমেয়েরা গল্পে খেলায় উল্লাস করছিল তাঁরাও শান্ত হয়ে গেছে।

রাতের খাবার শেষ করে বসেছি, এমন সময় আরেকটি পরিবার আসলো। ঢুকেই মিসেস মল্লিকের কাছে দেরী হবার জন্য কৈফিয়ৎ দিলেন, বললেন আরেকটি দাওয়াত ছিল, সেটি শেষ করে আসতে একটু দেরি হয়ে গেছে। ইনারা খুব জনপ্রিয় নেতা টাইপের মানুষ, একই সাথে একাধিক দাওয়াত থাকে, এক দাওয়াত খেয়ে এসেছেন বলে আর খেতে পারবেন না বলে জানান, বলেন, নিছক গল্প করতে এসেছেন। এরপরে বিশেষ অনুরোধে খাবার নেন, সে খাবার প্লেট উপচে পড়ে এবং গোগ্রাসে খেয়ে তৃপ্ত হোন।

এনাদের একটি পাঁচ-ছয় বছরের ছেলে দুর্দান্ত চঞ্চল, এসেই এ ঘর ও ঘরে দৌড়ে যায়, বাবা পেছন পেছন যেয়ে ধরে নিয়ে আসে, মেঝের ওপর সাজানো জুতাগুলো ছুরে মারল, বাবা সেগুলো কুড়িয়ে সাজিয়ে রাখলেন। বাবা তাঁকে ধরে রাখেন কিন্ত বেশিক্ষণ পারেন না। হটাৎ দেখলাম ছেলেটা দুই পা একসাথে চেপে কোমর এদিক ওদিক করছে। সম্ভবত বাথরুম পেয়েছে। ঠিক তাই, তাঁর বাবা তাঁকে বাথরুম করাতে গেলেন। সবাই যেন একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে সবার সামনে সে বললো, হাইগ্গ‍্য। আইলাম। সবাই শুনেও না শোনার ভান করলো। সে আবার একটু জোড়ে বললো, হাইগ্গ‍্য। আইলাম। তাঁর এই কথা শুনে সবাই মিটিমিটি হাসতে লাগলো। এরই মধ্যে লক্ষ্য করলাম সে দুই সোফার ফাঁক গলিয়ে সাইড টেবিলে গেল। পুঁতুলগুলো আগ্রহভরে দেখল এবং একটা পুতুল হাতে নিয়ে নিল। মল্লিক সাহেব আদর গলায় বললেন, বাবু পুতুল রেখে দাও। ছেলেটি কথা না শুনে দৌড়ে ওপর প্রান্তে গেল। মল্লিক সাহেব করুন সুরে বললেন, ‘ও গো, তোমার পুতুলগুলো নিলো।’
মিসেস মল্লিক ছুটে আসলেন, বাবুর পেছনে তখন মিসেস মল্লিক, তাঁর পেছনে বাবুর বাবা। চক্রাকারে এ যেন এক খেলা, অনেক দর্শকের মধ্যে আমিও একজন, মনে মনে ভাবলাম ভালোই তো খেলা চলুক না! ওদিকে এক ভাবী মনে হয় টিকটক করেন, তাড়াতাড়ি ফোনে মজার এ দৃশ্য রেকর্ড করা শুরু করলেন।

মিসেস মল্লিক অত্যন্ত নরম গলায় বলতে লাগলেন, ‘লক্ষীসোনা পুতুল দাও, সোনামনি পুতুল দাও…’
ছেলেটি কারো কোন জবাব না দিয়ে এক দৌড়ে ড্রয়িং রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং রুমের দিকে চলে গেল। মজা দেখার জন্য তখন প্রায় সবাই পিছে পিছে দৌড় দিল, টিকটক ভাবী রেকর্ডের জন্য একটা যুৎসই জায়গা বের করে ফেললেন।

তাঁর বাবা যখন কাছাকাছি পৌঁছাল সে তখন টেবিলের অন্য প্রান্তে চলে গেল। এই ছোট্ট দৌড়ে মিসেস মল্লিক হাঁপিয়ে উঠলেন, রাগে সারা মুখ লাল, ধপ করে সোফায় বসে পড়লেন।
ছেলেটির বাবা তাঁর কাছাকাছি পৌঁছা মাত্র সে টেবিলের নিচ থেকে বের হয়ে বাইরের ঘরের দিকে দৌড় দিল। কিন্ত, তিনি ছেলেটির জামা খপ করে ধরে ফেললেন, ছেলেটি সাথে সাথে পুতুলটি ছুড়ে মারে, দেয়ালে লেগে তা কয়েক টুকরো হয়ে গেলো। ছেলেটির কাণ্ডে সবাই হতবাক হয়ে যায়, কোন কোন ভাবী হাত দিয়ে মুখ ঢাকেন। মিসেস মল্লিক ধীর পায়ে এসে পুতুলের টুকরোগুলো হাতে নেন, নির্বাক হয়ে টুকরোগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন; উনার ঠোঁট থির থির করে কাঁপতে থাকে এবং তিনি মূর্ছা গেলেন। একধরণের করুন নীরবতা নেমে আসে, মল্লিক সাহেব ছুটে এসে জ্ঞান ফিরানোর জন্য স্ত্রীর মুখে পানি ছিটা দেয়া শুরু করলেন।

আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম, এতক্ষণ ছোট্ট একটা ন্যাপে ছিলাম, স্ত্রীর কনুইয়ের ঠেসে জেগে উঠলাম। স্ত্রী বললো, তুমি যে কি করো না, যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ো, চলো উনারা খাবার নেবার অনুরোধ করেছেন।
মিসেস মল্লিক আমার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললেন, "ভাই মনে হয় খুব টাইয়ার্ড, উনাকে চা এনে দেই?" আমি আকাশ থেকে পড়লাম, ইনি তো অত্যন্ত মার্জিত মানুষ, তাহলে কিছুক্ষণ আগে কোন মিসেস মল্লিক ছিলেন যিনি পুতুল হাত দেয়ায় বিরাট শঙ্কায় ছিলেন তার রং নিয়ে! আমার স্ত্রী বললো, না না ভাবী, আগে ডিনার খেয়ে নিক।

আমি দেখলাম, মাটির পুতুল সবগুলোই আছে, সেই চঞ্চল ছেলেটি নেই, তাঁর বাবা নেতা টাইপের ভদ্রলোক বা টিকটক মহিলাও নেই। আমি কোন কিছুই মেলাতে পারছি না, কোথায় ছিলাম এতক্ষণ! এখনও কেউ খাবার নেয়নি, তাহলে কিছুক্ষন আগে এজটেক পুতুল নিয়ে যে লঙ্কাকান্ড হলো সেটা কি কোন প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের ঘটনা! এই এজটেক পুতুলগুলো বড়ো মায়াময়, এদের কোন প্যারানরমাল প্রভাব ছিল কি আমার ওপর!!!



[এজটেকদের কিছু আইডল, সূত্র উইকিপিডিয়া]

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩১
১২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সরু চিকেন নেক করিডর সমস্যা এবং সমাধান

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭



সরু চিকেন নেক করিডরের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে নেপাল ও ভুটানের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্তের ব্যাপারে ভাবছে ভারত

ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশের রেল সংযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাকীত্ব: আত্মার ঘুণপোকা ও আধুনিক সমাজের অদৃশ্য মহামারী

লিখেছেন মি. বিকেল, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫



‘একাকীত্ব’ সাধারণ বিষয় নয়। একা থাকা মানে অজস্র চিন্তার স্রোত মাথায় প্রবাহিত হওয়া। একা থাকা মানে নিজের সাথে থাকা। নিজের চিন্তা ও স্মৃতির সাথে একাকীত্ব আমাদের বেশি করে পরিচয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠকানোটাই ভাল শিখেছি আমরা

লিখেছেন ফেনা, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭



এই বিশাল মহাকর্ষীয় বস্তু সবকিছু নিজের দিকে টেনে নেয়—এমনকি আলোও পালাতে পারে না। কিন্তু কৃষ্ণ গহ্বরের ভিতরে কী ঘটে? সেখানে সময় ও স্থান কেমন আচরণ করে? এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরব বিশ্বে নারীরা অপমানিত? আমার অভিজ্ঞতা বলছে ভিন্ন কথা

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬



বহুদিন ধরে একটি কথা শুনে আসছি—“নারীরা আরব দেশে অসম্মানিত অবস্থায় থাকে।”
কিন্তু আমি আরব দেশে গিয়েছি, থেকেছি, এবং প্রায় দুই মাস ধরে একাধিক জেলায় ঘুরেছি।
সত্যি বলছি—আমি সেখানে কোথাও নারীদের অসম্মানিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা : অরাজকতার পালে নতুন হাওয়া!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:০৩


বাংলাদেশে আজকাল দাবি না জানালে কেউ আর মানুষ থাকে না—ছাত্র, শিক্ষক, গৃহিণী, পুলিশ, পিয়ন, কবি, কুস্তিগির, সবাই 'অধিকার' চায়। তবে অধিকার মানে এখানে মোটেই দায় বা কর্তব্য নয়, বরং ছিনিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×