রিলিফের আশায় অপেক্ষমান মানুষ।
আইলার ভয়াল গ্রাসে ভিটাচ্যুত অসহায় মানুষের বাধের উপর মানবেতর জিবন-যাবন
ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা
পলিথিনের আচ্ছাদন দেয়া ঘর। রাতের বাতাসে উড়ে গেছে তাও। কোন প্রকার ছাউনি ছারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস।
খড়ের ঘর।
একে কি কোন ভাবেই ঘর বলা যায়???
ছোট এই বালিকার দৃষ্টিতে ছিলোনা কোন অভিব্যক্তি।
একে কি বলবো?
বৃষ্টি হলে এই ব্রিজের নিচে নিতে হয় আশ্রয
আমাদের সংগঠন।
নিস্ফল দৃষ্টি।
ঝড়ের রাতে আঘাতপ্রাপ্ত।
অপেক্ষমান মানুষের দীর্ঘ সাড়ী।
সেই ভয়াল রাতে ঘড়ের খুটি গায়ের উপর পড়লে বা হাত ভেংগে যায় এই কিশোর ছেলেটির। তারপর ১ মাস যাবত কোন প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই শুধু কাঠি বেধে রাখা হয়েছে। নদী পার হয়ে শহরে যেয়ে যে চিকিৎসা করাবে সামান্য সে টাকা টুকুও নেই। আর গত ১মাস এ সেখানে আমরা বাদে আর কোনো রিলিফ দল বা চিকিৎসা দল ও যায়নি।
শাড়ী বিতরন।
আইলার ১ সপ্তাহ পরে জীবিকার তাগিদে এই লোকটির মেয়ে জামাই গি্যেছিল সুন্দর বনের ভিতর। তারপর আর ফিরে আসতে পারেনি। আইলার হাত থেকে বেচে গেলেও বাচেনি বাঘের হাত থেকে।
এত প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষ বেচে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালায়। আমরা খুজে পেয়েছিলাম সেরকমই কিছু মুহুর্ত।
বিস্তারিত
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪