এই যে রাতের আকাশের নির্ঘুম
যাত্রীরা ...
তোদের কি আমার রোগে পেয়েছে ..?
দিগন্ত জুড়ে তোদের
বিস্তৃতি দেখে জিজ্ঞাসিতে ইচ্ছা হয় ,
তোরাও কি আমার মত
দূরে হারিয়ে যেতে চাস্ ?
দূর দিগন্তে ... দূর পাহাড়ের
পেছনে লুকিয়ে পড়বি ? আমায়
সংগী নিবি তোর একাকী পথের ?
হঠাত্ বাকশূন্য হয়ে যাওয়া হুতুম
পেঁচাগুলোয় চেয়ে দেখ্..
কষ্টের ব্যথাতুরতা নয় ...
শোকে ঠায় দন্ডায়মান স্থির উঁই
গাছটার ঝুলে পরা ডালটায়...
তাদের কথা কেহ কখনো ভাবে নি...
আমার সাথে যে অদ্ভূত অজানা মিল
বোবা পাখিগুলোর...
তারাও তীব্র কাতরতায় বাঁজখাই
চিত্কারে কেঁদে উঠতে পারেনা...
তাদের
চোঁখে রক্ত...কেউতো খুঁজে ফেরে না....
তারাও রাত জেগে কাঁটিয়ে দেয় ..
একাকী চাঁদটার দিকে অপলক
তাঁকিয়ে থাকে...মেঘের
ছুঁটে চলা অথবা রাজপথে কুকুরটার
অযথাই ডেকে যাওয়া ... কেউ খবর
রাখেনা....
ওই চাঁদটার
দিকে তাকিয়ে আরো একটি রজনী কাঁটবে...
কেউ বুঝবে না ...
অগোচরেই থেকে যাবে সব ...
ব্যাথাতুরতা...চাঁপা পড়ে যাওয়া কান্না...
একটি রক্তাক্ত গোলাপ অথবা ডায়েরীর
ছেড়া পাতার শেষ অংশটুকুন....
একজন প্রতিরাতে কেন কেঁদে যায়
তা কেউ জানবে না ...
কেউ জানতেও চাইবে না...
রাতের নিশাচরী দুঃখী চাঁদ , তুই
ঘুমিয়ে যা ...
জেগে উঠবে যে আমার প্রিয়তা ,
তোর ও কি সেই একই ব্যাথা ,
না হয় আজ নাই লিখা হল ... আমার
কষ্টের
ইতিকথা...