লেখকঃ ফরিদুজ্জামান স্বাধীন
FJ shadin
পার্টঃ ২
কালরাত ঝুম বৃষ্টি হয়েছে,
সিনেমা-গল্পের মত আজ সকালে প্রখর রোদ হবে ,জানালার ফাঁক দিয়ে রোদ এসে আমার ঘুম ভাঙ্গাবে।
কিন্তু তেমনটা হল নাহ,
উল্টো আজকের আকাশ আরো বেশি মেঘলা, না মেঘলা বললে হবেনা আরো বেশিকালো, সন্ধ্যে নেমে আসার মত অবস্থা। আমারচোখে ঘুম নেই, তবুও চোখ বুঝে সুয়ে থাকার মাঝে এক আলাদা মজা কাজ করে, ছোটবেলায় যেসব অলসলোকের রুপকথার গল্প শুনেছি ওই রকম আরকি,
|
অলসেরলোকের গল্পের সাথে মিলে গেল যাক,
তবুও ওঠা যাবে না, সুয়ে থাকতে হবে,
এখানে মা-বাবার ডাকাডাকি নেই,
মাঝেমধ্যে বুয়াএসে রান্নার জন্য ডাকে, আজ বুয়াও আসেনি।
যাইহোক, ভালোই হয়েছে বুয়ার রান্না থেকে নিজে রান্নার করতেই বেশভাল লাগে। ভার্সিটি নাই আর তেমন কাজ-টাজও নেই ,
আজকাল নিজেকে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে।
|
আহা সে কি ঘুম,
মাঝেমধ্য ঘুমের উপরে একটা কোর্স খোলার শখ জাঁগে,
এখানে ঘুমকে সুখকর করার জন্য ক্লাস নেওয়া হবে, অবশ্য আল্লাহ দিলে ঢাকাতে ছাত্রছাত্রীর অভাব হবে না, ধনীব্যক্তিদের প্রধান সমস্যা ঘুম।
এই কোর্সে তাদের পাওয়া যাবে নিশ্চিন্তে।
তাদের ঘুম সমস্যার সমাধান দিতে পারলে মিলবে মোটা অংকের টাকার সাথে, দু-চারটা ভন্ড পীরের মত "ঘুমের পীর" মর্যাদাও পাওয়া যাবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ।কিন্তু চিন্তাটা মন্দ নয়।
|
সে আর যাই হোক, ঘুমের এই সময়টা (শেষের অংশটা) গোল্ডেন পিরিয়ডও বলা চলে,
এখানে নিজের ইচ্ছে মত স্বপ্ন দেখা যায় ,
অবশ্য চালাক প্রকৃতির লোকজন এসব পারে,
তবে,আমার মত নিম্মশ্রেণীর প্রানীদের জন্য এসব প্রযোজ্য নহে।
তবে হাল ছাড়িনি চালিয়ে যাচ্ছি চেষ্টা।
একদিন নিজের ইচ্ছায় স্বপ্ন একটা হলেও দেখব, ইনাশাল্লাহ।
অবশ্য ভাবনায় আছি কি স্বপ্ন দেখা যায়!
ইচ্ছার প্রথম স্বপ্ন বলে কথা।
|
ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ২ টা বাজেঁ,।
ওঠার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই, কিন্তু কোমন জানি, একটা ছটফটানি কাজ করছে।
আমার ব্রেন সিগনাল দিচ্ছে ওঠার জন্য।
মোবাইল নামক যন্ত্রটি কাঁপনি আর চিল্লানী একসাথে দিচ্ছে।
আধঁখোলা চোখটা মোবাইলে পড়তেই দেখি,সে ম্যাসেজ দিয়েছে
"তোমাকে একটু পরে
ফোন দিব, ঘুম থেকে ওঠ"
ভাবলাম অহ একটু পর যেহেতু আর একটু ঝিমিয়ে নেই,
|
সপ্তাহ-খানেক কথা না বললে যা হয় আরকি!
অবশ্য ওর সাথে কথা বলেছি,
আমার নিজেস্ব যোগাযোগব্যবস্থায়,
একাআলাপনে।
"একাআলাপন" শব্দটি অনেকের কাছে নতুন হলেও আমার কাছে একবারে নতুন নাহ, এটি যোগাযোগের উত্তম মাধ্যম।
এটা মহা পুরুষরা ব্যবহার করতে পারে।
আগে এটার ব্যবহার ছিল ব্যাপক,
এখন নেই, তবুও যখন সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়,
তখন এই মাধ্যম দিয়ে কথা বলতে হয়।
পদ্ধতিটা বেশ ভালো টাকা পয়সা কাটে না ইলেক্টিক বিল চার্জের ঝামলাও নেই।
ফ্রিতে প্রিয় মানুষটাকে ম্যাসেজ দেওয়া যায়।
এটা হৃদয়ের সংযোগ,
একাকি নির্জনে বেশ ভাল কাজ করে এটা।
কিন্তু সিস্টেমর শর্ত একটা
"ভালবাসা"
লেখকঃ ফরিদুজ্জামান স্বাধীন
পার্টঃ ২
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৫২