ঘটনা : ১
এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কিছু বখাটে ছাত্র পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বোনের হাহাকারে ছুটে আসা এক ভাইকে। আদরের ছোট বোনটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অশ্লীল গালি-গালাজ করে এবং মারধোর করার হুমকি দেয় ! মেয়েটি মোবাইল ফোনে তার ভাইকে আসতে বলে... সাহায্যকর্তা ভাই ঘটনাস্থলে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শয়তানের বাচ্চারা রিকশার চেইনের মতো শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় তার চামড়া... বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
আশ্চর্যের বিষয়... প্রিয় ( ! ) পুলিশ বাহিনী এখানেও দারুণ সততা আর সাহসিপনা দেখিয়েছে ! আহত ভাইয়ের কেস পর্যন্ত নিতে তারা নারাজ... সমান তালে মদদ দিয়ে চলছে ধর্ষক পুলিশ... অপরাধীদের, অপরাধকে !
আরও একটা ব্যাপার... এশিয়ান ভার্সিটির সামনে টহলরত পুলিশেরা এগিয়ে আসেনি... নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়েছিলো... কেউ এগিয়ে আসেনি... নপুংসক পুরুষের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশে !
হাসানকে সবশেষে উদ্ধার করেন একজন "নারী" ।
ঘটনা : ২
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের ছাত্র এহতেশাম আল জিয়াদকে ( মৃণাল) কী কারণে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, পুলিশ ও নিহতের পরিবার সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।
খবরের কাগজে মৃণালের নিষ্পাপ ছবিটা দেখলে চোখে পানি চলে আসে... সেটাই স্বাভাবিক। মর্মান্তিক ব্যাপার, মৃণালকে 'মোবাইল চোর' উপাধি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ষড়যন্ত্রকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্ররা ! মৃণালের হত্যার সাক্ষী এসএম হলের ১৪২ নম্বর কক্ষ... হলের ২০-২৫ জন ছাত্র লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মৃণালকে সবার সামনে... নপুংসক ঢাবির ছাত্রদের সামনে !
নপুংসকতার বিশ্লেষণ :
অনেক বখাটের ধারণা : মেয়েদের উত্যক্ত করা, মোবাইলে অনুমতিহীনভাবে ছবি ধারণ করা, যৌনতার জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়াই হলো - পুরুষত্ব !
তাহলে যে হাসান তার আদরের ছোটবোনকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলো ক্রোধান্বিত বাঘের মতো... সে কেমন পুরুষ ? সে-কি মৃত্যুঞ্জয়ী অমর বীর নয় ? সে কি দেশমাতার আদর্শ সন্তান নয় !
যারা মৃণালকে পিটিয়ে হত্যা করলো- তারা কেমন বাবা-মায়ের সন্তান ?
ধিক্কার ছাত্র নামের, পুলিশ নামের নপুংসকগুলোকে...