দীপের কথা মনে আছে ? ঐযে বুয়টের ছেলেটা যেই ছেলেটা ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এসেছিল। যে নিজের কাধে জামাতের বিষ্ঠা পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছিল।
হ্যা তার নাম আরিফ রায়হান দীপ সে বুয়েটকে শিবিরেরর আস্তানা বানানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিল। আমাদের মত না, সরাসরি সে বজ্রকন্ঠে
রুখে দাঁড়িয়েছিল জামাত-হেফাজতের এজেন্ডার বিরুদ্ধে।
বুয়েটের ইমাম হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকারীদের জন্য খিচুড়ি রান্নার ব্যবস্থা করেছিল তখন দীপ রুখে দাড়িয়েছিল! দীপ বলেছিল
আমি শুকরের সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি! দীপের একার আন্দোলনের ফলে বুয়েট প্রশাসন তালিবানী হেফাজতে ইসলামীকে
সাহায্য দানকারী ইমামকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় আর তার কারণেই দীপের উপরে নেমে আসে নির্মম ছুরিকাঘাত
বিডি নিউজের জানায়
“ইমাম বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেইসবুক গ্রুপ ‘বুয়েটিয়ান’ এ
কিছু শিক্ষার্থী দীপকে নিয়ে আজেবাজে লেখালেখি শুরু করে দেয়। দীপকে অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় বলে পলাশ
অভিযোগ করেন।
দীপের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়, যার একটি বাম চোখের ওপর পড়ায় তা হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পিঠে এমনভাবে কোপানো হয়েছে যে ৫০টির বেশি সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।"
দীপকে আক্রমণ করা বুয়েটিয়ান মেজবাহ উদ্দিন আজ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে কিনা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, এমএস রশিদ হলে থাকেন।
মেজবাহ বলেন, “হেফাজতে ইসলামীর লংমার্চের দিন খাবার দিয়ে সাহায্য করায় ক্যাম্পাসের এক ঈমামকে লাঞ্ছিত করে দীপ। তাই তাকে মারা আমার ঈমানি দায়িত্ব ছিল।
“আমি ফরিদাবাদের হুজুর মুফতি মাওলানা আবু সাঈদের অনুসারী। দুই-তিন বছর আগে তিনি বলেছিলেন, ইসলামের ওপর আঘাত হেনে কেউ কথা বলছে তার প্রতিবাদ করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব।”
‘আমি রেগে গিয়ে মেরেছি, আমাকে ক্ষমা করে দেন’। ”
আমাদের এই তরুণদের তথাকথিত ইমানি দায়িত্ব পালনের চেষ্টাই আজও দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর শক্তি যোগায়, আজও অন্য ধর্মালম্বিদের উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলতে শক্তি যোগায়।
আজও দুর্বলের আর্তনাদে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ বাতাস।
এসব শুকর শাবকের কথা শুনলে ক্রোধে গা কেঁপে ওঠে বারবার, এই জারজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে বাংলায় জঙ্গিবাদের আস্ফালন বন্ধ করা যাবে না। সেই সাথে আজ
ছাগু নিরধনে বুয়েটের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উচিত।
আর দীপ তোমাকে সম্মান, হাজার শুকরের ভিড়ে তোমাদের সাহস করে রুখে দাঁড়ানোর ধৃষ্টতা দেখলে মাঝে মাঝে আবার বড় বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে,
কারণ জানি আমার সোনার বাংলা যে আসবেই, সেটা তোমার হাত ধরেই।
জয় বাংলা জয় জনতা