আপনারা হয়ত ইতিমধ্যে জেনে থাকবেন যে বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে অস্বচ্ছ জায়গা হলো ভাইভা, পরিক্ষার্থীর সেই ভাইভায় প্রাপ্ত নম্বর উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ।। এখানেই বহু যোগ্য প্রার্থীর ভাগ্য বেইমানি করে, অযোগ্য প্রার্থীর ভাগ্য অগ্রহনযোগ্য লেনদেনের বিনিময়ে খুলে যায়।
সেই বিতর্কিত ভাইভা নম্বরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে প্রার্থীর ভাগ্য ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের হাতে আসে ৩০ তম বিসিএস থেকে। সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির মতামতকে উপেক্ষা করে পিএসসির সদস্যরা ভাইভার পুর্নমান ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ নম্বরে উন্নীত করে। এরপরই অযোগ্য পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায়। সেই ভাইভা নম্বর তথ্য কমিশনের রায়ে এখন উন্মুক্ত হবে।
দীর্ঘ দুই বছরব্যাপী ভাইভা নম্বর উন্মুক্ত করনের সেই আইনি লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিল না। শীঘ্রই সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে আপনাদের কাছে আসছি। সেখানে জানতে পারবেন, পিএসসিতে আদৌ মেধাতালিকা তৈরি হয় কিনা, আপনারা যে তালিকা পত্রিকায় দেখেন তা কি সঠিক? যারা নিয়োগ পায় তারা কি যোগ্যতায় নিয়োগ পায়? যোগ্য প্রার্থী যারা বাদ পড়ে তারা কেন বাদ পড়ে? এতদিন শুনে এসেছেন লোকমুখে তথ্য প্রমান ছাড়া। এবার পিএসসির কর্মকর্তাদের মুখেই শুনতে পাবেন সেই কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১