১৯৯০ এর এরশাদের পতনেরপর, নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে আইন ও আদালতে বিচার অনুযায়ী এরশাদের সাজা হয়। জেলে নিক্ষেপ করে এরশাদকে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া এরশাদকে জেলে পাটিয়েছে সেটি বড় কথা নয়। বড় কথা হলো শৈরচারী ও অবৈধ ক্ষমতা গ্রহণের দায়ে এরশাদকে খালেদা জিয়া সাজা দিলেও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যাস্থা নেয়নি খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আমলে এরশাদের জন্য জেল খানায় রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারী বাবদ বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ টাকা। রমজানে মাসে রাতের খাবার বরাদ্দ হলেও সেহেরীর জন্য অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ হত না । ফলে রাত্রে খাবর তুলে রাখাতো এরশাদ সেহেরীর জন্য। রাত্রের খাবর হিসাবে বরাদ্দ হত দুই চা কাপ ভাত এর এক বড় চামচে ঝুল সহ তরকারী। বিচানার জন্য বরাদ্দ ছিল একটি বালিশ ও পাতলা একটি চাদর। শীতে একটি পাতলা কম্বল দেওয়া হত যা একজন বয়ষ্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট ছিলনা। সেভ করা আর চুল কাটার সুব্যাবস্থ ছিলনা। টয়লেট ও গোসলা খানা ছিল জেলখানার সাধারণ কয়েদিদের সাথে। অমানবিক নিষ্টুরতা আর মারাত্বক কষ্টের মাধ্যেমে এরশাদ জেলখানায় সময় পার করেছিল। এখন কোথায় যাবে খালেদা জিয়া।? আগামীতে আসতেছে নতুন রুপে এরশাদ। হয়তো এমন একটি দিন আসবে এরশাদ আবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যাবে এর সাধারণ এক শৈরচারী সেনা শাসকের স্ত্রী ও র্দুনীতিবাজ সন্তানের মা হয়ে ঘরে বসে বসে দিন যাপন করবে খালেদা জিয়া, এর টিভিতে বসে বসে দেখবে এরশাদ সংসদে বিরুধী দলের আসনে বসে বক্তব্য দিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭