"শান্তিতে নোবেল পুরস্কার"
বিষয়টি নিয়ে নানা বিতর্ক ও বিভিন্ন সময়ে উক্ত পুরস্কার প্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের বিষয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।
তাই এ বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক সংবাদ শিরোনাম ও সংবাদের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল, যাতে প্রস্তাবনা ও বাস্তবতার কিছু খন্ডচিত্র হয়ত উঠে এসেছে !
"নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিবাদমান ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চুক্তির আওতায় আনতে মধ্যস্থতা করার জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন নরওয়ে পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-জিজেডে।
১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর তৃতীয় আরব রাষ্ট্র হিসেবে গত ১৩ আগস্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দেশের টেলিফোন যোগাযোগ সচল করার পাশাপাশি নিয়মিত বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে।
চুক্তিতে ভূমিকা রাখায় আগামী বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেন ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই মনোনীত হওয়া উচিত।’
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় অংম নেওয়ার কারণেও তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।
মার্কিন যুদ্ধে ২০ বছরে অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধ' কয়েক কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়েছে। একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধের কারণে গত ২০ বছরে ৮টি দেশে কমপক্ষে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ‘কস্ট অফ ওয়ার প্রজেক্ট’ এর আওতায় ৩০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক ওয়াশিংটনের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড ভাইন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, “এই দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে এনেছে, ভয়াবহরকম ধ্বংসাত্মক হয়েছে।”
‘ক্রিয়েটিং রিফিউজিস: ডিসপ্লেসমেন্ট কজড বাই দ্য ইউনাইটেড স্টেটস পোস্ট ৯/১১ ওয়ারস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের কবলে থাকা ৮টি দেশকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে: আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, লিবিয়া ও সিরিয়া।
সীমিত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম চালু থাকা বুরকিনা ফাসো, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, শাদ, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালি, নাইজার, সৌদি আরব ও তিউনিশিয়ার পরিস্থিতিকে প্রতিবেদনে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তাদেরকে হিসেবে নিলে প্রকৃত বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।"
৯/১১ হামলায় নিহতদের স্মরণ
করোনার চেয়ে ট্রাম্পকে বেশি ভয় পায় জার্মানরা
বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। তবে দুনিয়াজুড়ে তাণ্ডব চালানো এ ভাইরাসের চেয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেশি ভয় পায় জার্মানরা। ৫৩ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এমনটাই উঠেছে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে জার্মানরা যতটা উদ্বিগ্ন করোনার প্রভাব নিয়েও তারা ততটা উদ্বিগ্ন নয়। ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ট্রাম্পের রাজনীতি বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।"
ছবি ও তথ্যসূত্র- বাংলা ট্রিবিউন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২