কিছু পাশ্চাত্য দেশে সুইঙ্গিং ক্লাব আছে!
যেখানে সাধারণত বিশেষ একশেনীর উচুতলার বা বিত্তশালী কাপল বা দম্পতিরা ক্লাবের সদস্য হন।
ক্লাবে তারা স্বেচ্ছায় এবং সমঝোতার ভিক্তিতে অন্য কোন কাপল এর সাথে সঙ্গীকে বিনিময় করে যৌনসুখ উপভোগ করে থাকেন, যাকে সহজ বাংলায় অদল-বদল বলে।
তাদের মতে- এতে তাদের জীবন আরো উপভোগ্য ও দাম্পত্য সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়!
যদিও তাদের সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি এখনও গ্রহনযোগ্য নয়, তারা এটিকে ট্যাবু বলে থাকেন।
অদল-বদল বা দলবদল আমাদের দেশেও বিদ্যমান!
শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট লীগেই নয়, রাজনীতিতেও এটি বেশ পরিচিত।
রাজনীতির মাঠে এরা পল্টিবাজ নামে অভিহিত হলেও সব দলেই কম-বেশি এদের কদর বিদ্যমান।
তবে, এবারের জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক মেরুকরণটা একটু ভিন্ন।
একটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মা-ছেলের সোয়া দুই বারের ক্ষমতা উপভোগকালীন ব্যাপক দুর্ণীতি ও এতিমের অর্থ লুটপাটের মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী প্রমানিত হয়ে মা পুরনো নাজিমুদ্দিন রোডে কারান্তরীন আর ছেলে চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশে পলাতক। দলও যখন তার নেতাদের মতই কোমর ভাঙ্গা বিধ্বস্ত অবস্থায় তখন সামনে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় নির্বাচন।
আগের নির্বাচন বয়কট করে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য দেশব্যাপী জ্বালাও পোড়াও করে যে ভুল তারা করেছে তা পুষিয়ে নিতে যে করেই হোক এবার নির্বাচনে জিতে সাজাপ্রাপ্ত দুর্ণীতিবাজদের আবার ক্ষমতায় পুনর্বাসন করতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা কিছু পেয়িং পতিত পল্টিবাজ নেতাদের দ্বারস্থ হলেন। নীতিভ্রষ্ট এসব নাম সর্বস্ব নেতারাও হয়ত এমন সুযোগের অভাবে কাঙালের মতই বসে ছিলেন। তাই তাদের কফিনেও আবার নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হল, শুরু হল লম্ফ-ঝম্ফ!
মুখে তারা গনতন্ত্র, সুশাসন, দুর্ণীতি বিরোধী নানা মুখরোচক বুলি আওড়ালেও যে দলটিতে এসবের ন্যূনতম অস্তিত্বও নেই, সেখানে জড়ো হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের নামে যেকোন উপায়ে শেখ মুজিবের কন্যাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন!!
যাদের সোজা হয়ে একা হাটার সাম্যর্থ নাই, শেষ পর্যন্ত রেল লাইনে দৌড়ানোর শক্তিও নাই তারা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ আর শেষ বয়সে কিছু পাবার লোভে সম্পূর্ণ নীতিহীন ও নিজেদের আদর্শ বিরোধী শিবিরে স্বেচ্ছায় প্যান্ট খুলে সব উজার করে দিয়ে আসার নাম কি অদল-বদল?
এটা কোন পল্টিবাজি??
ছবি - অন্তর্জাল
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬