আমাকে বেধেঁছিলে তুমি
শৃঙ্খলে --
হাতে পায়ে পরিয়েছিলে অজস্র শৃঙ্খল
চোখে বেধেঁছিলে লাল , নীল হাজারো রঙিন ---
কঠোর চুম্বনে আমার নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তাই
এক শরতে লাল নীল শৃঙ্খল ছুড়ে--
হারানো নিজেকে নতুন করে চিনবো বলে --
পা বাড়ালাম এক আরব্য রজনীর দেশে ।
তোমার উঠোনে ছিলো কুয়াশার ঘ্রান তাই
চোখ বুজে সেই একটিবার ঝলকানো
খসে পড়া উল্কার পিছু পিছু ছুটে চললাম নাবিকের মতো ..........
বহু ব্যবহারে আমার অনুভূতি প্রায় ভোঁতা হয়ে গিয়েছিলো ;
ফেলে আসা পথ ও পথের প্রান্তরে
কিছু নারী , টুকটাক , বৃষ্টি - ঘ্রান আর কবিতারা
ভেসে উঠছিলো যেন ক্ষনিকের বায়োস্কোপ -----
আর আমি সেই শৈশব সঙ্গী করে পাড়ি দেই ........ আন্দামান , প্যারিস...
হিম বরফের দেশ , কিছু মরুভূমি আর --
দু ' একটা জীবন .........
এক জীবনে আমার পথের দুপাশে ছিলো -
শুধুই ভালোবাসা ,
সমগ্র আকাশ , নীল বৃষ্টি আর ঘুমপরীদের ডানায়
আমার চোখে ছিলো স্বপ্ন , জড়ানো বসন্ত আর -
কিছু ব্যক্তিগত সমুদ্র ..........
আর আমি সেই সমুদ্র অবগাহনে ক্লান্ত হয়ে
আশ্রয় নিয়েছিলাম তোমার উঠোনে
সেদিন তুমি হেটেঁছিলে অরন্যে ..........
মায়াবী হরিনের মতো তোমার ছলনায়
আবার আমি ডুবে গিয়েছিলাম নীল নির্জনে ... ।
আমার অন্য জীবনে ছিলো ধু ধু মরুভূমি
আরব্য রজনীর মতো এক হাজার এক রাত্রি
পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলাম একটি মরীচিকার পিছু পিছু ;
তখন আনুবিসের মূর্তির মতো তোমার -
ক্লিওপেট্রার মায়াবী যাদু আমায়--
বিবশ করে দিয়েছিলো ক্ষনিকের জন্য .....
আর আমি সেই মরীচিকায় তোমার পিছু পিছু
হেটেঁ গিয়েছিলাম শরতে , বসন্তে তবু
হেটেঁ হেটেঁই আমার অন্য জীবন পার হয়ে গিয়েছিলো ।
আর আজ আমি এই জীবনে --
তোমার উঠোন পেরিয়ে পা বাড়িয়েছি ......
যেই উঠোনে অন্য জীবনে তুমি
অরন্যে হারিয়েছিলে মায়াবী হরিনের মতো ----
ক্ষনিকের মরীচিকার মতো ---
চকিত চাহনির মতো ----
সেই উঠোন আজ আমি মাড়িয়ে যাই একান্ত অবহেলায় ..........
অগ্রাহ্য করি ক্লিওপেট্রার যাদু , মায়াবী স্ফিংস আর
তোমার শৃঙ্খল ..........
নারী,
যদি বাধঁবেই আমায় তবে শৃঙ্খলের কী প্রয়োজন বলো ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫২