ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তারা খুব ভালো করেই জানে, প্রতিবার ফাইনাল পরীক্ষার সময় ফর্ম ফিলাপ করা কত বড় একটা ঝামেলার কাজ।
ফর্ম ফিলাপের প্রসেসটা হল, প্রথমে হল থেকে ফর্ম তুলতে হবে। সেই ফর্মে বিশাল তথ্যের ইতিহাস ফিলাপ করে যার যার ডিপার্টমেন্টে জমা দিতে হবে চেয়ারপার্সনের সিগনেচারের জন্য। সিগনেচার হয়ে গেলে আবার হল এ জমা দিতে হবে প্রোভোস্টের সিগনেচারের জন্য। এরপর টাকা আর ফর্মটা জমা দিতে হবে ব্যাংক এ। এতো গেলো একটা ঝামেলা।
এরপরে পরীক্ষার ডেট পড়ার পর, এ্যাডমিট কার্ড তুলতে গিয়ে শুরু হয় আরেক ফ্যাসাদ। গত তিন বছর পরীক্ষার এ্যাডমিট কার্ড তুলতে গিয়ে তিন রকম কান্ড ঘটলো। 1st year final এ কার্ড তুললাম হল থেকে। 2nd year এ হল এ গিয়ে শুনি কার্ড আসেনাই, যেতে হবে register building। ওখানে যাবার পরে তারা আর কার্ড খুজে পায়না, উল্টা আমাকেই বলেকি, "তুমি আসলেই ফর্ম জমা দিছোতো?" পরে অবশ্য অনেক খুজাখুজি করে পাইছে। নাও পেতে পারতো, তখন বলতো আমিই ফর্ম জমা দেইনাই। 3rd year final এর সময় দেখি কার্ড আসছে ডিপার্টমেন্টের অফিসে। এবারের নিয়ম কি আল্লাহ্ জানে! এই admit card টাও আসে পরীক্ষার তিন-চারদিন আগে, সেইসময় একেতো পরীক্ষার চিন্তা, আর সেখানে কার্ড যদি খুজে না পাওয়া যায়, তখন কেমন লাগে?
ফর্ম ফিলাপের কাজটা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ চাইলেই সহজ করতে পারতেন কিন্তু আমাদেরকে উনারা এ্যাতো ভালোবাসেন যে একটু ঝামেলাতে না ফেললে কি হ্য়? হয়তো এখানে আমরা কম টাকায় পড়ি বলে, ঝামেলা একটু বেশীই করতে হয়
