somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট গল্প ''ফেরা''

১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেরা


তুই? তুই যাবি আনতে? হে...

অবজ্ঞার একটা হাসি দিয়ে কথাটা বলল সজিব।

বেশি ভাব মারিস না। আচ্ছা ঠিক আছে, আমি এনে তোকে দেখাচ্ছি।


এ কথা বলেই সজিবকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হনহন করে হাঁটতে লাগলো আকাশ। সজিব আকাশের পিছু নিলো। আকাশ যতোটা দ্রুত হাঁটে সজিব তার চেয়ে দ্বিগুণ ধীরে আকাশের পিছনে পিছনে হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে আকাশ ঠিক ঐ জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। শহরের রেল স্টেশনের সামনের ডিভাইডার দেয়া প্রশস্ত রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আকাশ কাউকে যেন খুঁজছে। সজিব রাস্তার ঠিক উল্টো পাশে নিরাপদ দূরত্বে নিজেকে লুকিয়ে রেখে আকাশের কর্মকাণ্ডের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। আকাশ এর আগেও বেশ কয়বার ঐ জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তখন সজিব ছিল সাথে। আজও সজিব আছে তবে হয়তো লুকিয়ে। আকাশকে আজ একা একা সফল হতে হবে।


আকাশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সে জায়গাটা মোটামুটি ফাঁকা। প্রশস্ত ফুটপাতে আজ কোন হকার্স নেই। মানুষজনও কম। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে আকাশ তার চারপাশটা পরীক্ষা করে নিচ্ছে। পথচারীদের দিকে বেশ সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে পথচারীর চোখের ভাষায় কিছু খুঁজছে। কিন্তু কেউই একবারে বেশি তাকাচ্ছে না। আকাশের উৎসুক দৃষ্টি আশেপাশের মানুষগুলোর পিঠে গিয়ে বিঁধছে। ঠিক যেন হলুদ বোলতা। পিঠে হুল ফুটিয়ে দিচ্ছে। পোষক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর যন্ত্রণা বিদ্ধকারীকে খুঁজছে।


এই দৃষ্টি নিক্ষেপ চলার মাঝেই একজন ২৫/২৬ বছর বয়সী মহিলা আকাশের গা ঘেঁষে কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে ফুটপাতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে বাঁকা চোখে চেয়ে রইলো। আকাশ বেশ বিরক্ত হয়ে ঐ মহিলার দিকে তাকাল। মহিলা দেখতে বেশ ফর্সা। সিঁথিতে লাল টকটকে সিঁদুর আর কপালের মাঝখানে দু ভ্রুর সংযোগ সরল রেখার মধ্যবিন্দুর কিছুটা উপরে বড় গোল একটা সিঁদুরের টিপ। হাতে সাদা শাঁখা, নোয়া। পশ্চিমা ইন্ডিয়ান মহিলাদের স্টাইলে শাড়ি পড়া। মুখে মনে হয় পান। একটু পর পর কি যেন চিবুচ্ছে আর রাস্তায় পিচ করে থুথু ফেলছে। মহিলার আচরণ দেখে আকাশের মেজাজ সপ্তমে উঠে গেল। কিছু বলতে যাবে এমন সময় সে তার প্রয়োজনের কথা ভেবে নিজেকে সংবরণ করলো। প্যাকেট খুলে সিগারেট ধরাল। ধোঁয়া ছেড়ে মহিলার দিকে তাকাতেই মহিলাও সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামিয়ে অন্য পাশে তাকিয়ে রইলো। যেন সে কিছুই দেখেনি। ভাব এমন যে দরকার শুধু আকাশের, তার না। আরে এই টাকা দিয়েই তো তোদের সংসার চলে। কোথায় কাস্টমারদের সম্মান দেখাবি তা না উল্টা ভাব মারে!


আকাশ রাগত ভঙ্গিতে হেঁটে গেল মহিলার কাছে। কোন ভূমিকা না করে ২০ টাকার একটা নোট গোল করে পেঁচিয়ে রোল করে মহিলার দিকে বাড়িয়ে ধরল। মহিলা একটু হেসে বলল- টাকা দিচ্ছেন ক্যা? আপনে কে?


মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে যায় আকাশের। সে দাঁতে দাঁত চেপে বলে, আমি কে এটা জানার কোন দরকার নেই। একটা পুরিয়া দিয়ে দেন, চলে যাই।


এ কথা শুনে মহিলা বলে, শেষ। নেহি হে। মাল নেহি হে।


আকাশের চোখ লাল হয়ে যায়। সে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মহিলার দিকে। বলে, যেখান থেকে পারেন ব্যবস্থা করে দেন। এতো ভাব দেখান কেন?


মহিলার তৎক্ষণাৎ জবাব, এ লে, শেষ হো গেয়া। আপনে বাংলা কথা বুঝেন না? দাঁড়ায় দাঁড়ায় কাম নাই, যান এখান থেকে। বলেই মহিলা সামনের দিকে হাঁটতে লাগলো।


হিন্দি আর বাংলার মিশ্রণে অদ্ভুত এক ধরনের ভাষায় কথা বলছে মহিলাটা। এদেরকে সাধারণত পৌরসভার পরিষ্কার কর্মী বলা হয়। অনেকে ডোম বলে থাকে। আজ এই ডোমের কাছেই আকাশের প্রয়োজন পড়েছে। মহিলার জেদি কথা শুনে আকাশ এবার রাগ সামলাতে না পেরে অশ্লীল একটা গালি দিল। গালি শুনে মহিলা আকাশের দিকে এগিয়ে আসছে দেখেও আকশ থামল না। বলল, সব শালা মেয়েরা এক রকম। সব গুলা ফাউল।


আকাশের অবজ্ঞার কথা শুনে মহিলাও চুপ করে না থেকে বলল, আপ পুরুষ লোগণে ক্যায়া অলগ কিসিম কে হোতে হো?


আকাশ মহিলার কথা শুনে একটু অবাক হল। বেশ জ্ঞানী একটা কথা। অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আকাশ বলল, বিয়ে তো করেছেন, জানেনই তো পুরুষ মানুষ কেমন।


হ, জানতি হু। বাপ মা জনম দিল এরপর বড় হবার আগেই সাদির জন্য জামাই খোঁজা শুরু করে দিল। দেখতাম পাড়ার মেয়েদের সাদির পর বাচ্চা নিয়া বাপের ঘর ঘুরতে আসতো। আমার সাদির পর একটা বাচ্চার জন্য স্বামীকে বলেছি তো সে আমাকে এমন মেরেছে, এই দেখেন না হাতের তালুতে রশির দাগ অভিভি হ্যায়। বান্দে মেরেছে সে আমাকে।


আকাশ অবাক হয় খুব। জানতে চায় বাচ্চার জন্য মহিলার স্বামী তাকে মারবে কেন?


আছে না বাবু পাড়া পাড়া ঘুরে ঘুরে মানুষজনকে একটার বেশি বাচ্চা নিতে মানা করে। দুইটার বেশি বাচ্চা হলে ওরা বলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে; ঐ মানুষগুলাই আমার স্বামীর মাথা খেয়েছে। বলেছে সাদির দুই বচ্ছর বাদ বাচ্চা নিতে। আমার ভোলাভালা স্বামী ওদের কথা বিশ্বাস করেছে বাবু। আমি রাগ করে ঝগড়া করেছি বলে আমাকে অনেক মেরেছে। এই রকম তো কভি শুনিনি বাবু যে দুইটা বাচ্চা হলে পুলিশ ধরবে। আমার ভাই বোন তো আট জন বাবু। আমার বাপকে পুলিশ থোরাই ধরেছে রে বাবু?


আকাশ চুপচাপ শুনছিল। স্বর্ণালিও একটা বাচ্চা চেয়েছিল। আকাশ এতো দ্রুত চায়নি। হুট করে বিয়ে হয়ে যাবার পর আকাশ নিজের অবস্থান একটু শক্ত করতে চেয়েছে। এর পর একটা বেবি এলে খুব সুন্দর একটা দিন আসতো তাদের। কিন্তু স্বর্ণালি বিয়ের দু বছরের মাথায় বেবির জন্য আকাশকে চাপ দেয়ায় আকাশ স্বর্ণালির সাথে খারাপ ব্যাপহার করেছিল। বিস্তর ঝামেলা নিয়ে অফিস শেষে আসায় পৌঁছেই দেখে স্বরনালী মুখ গোমরা করা রেখেছে। আকাশের কথার জবাব দিচ্ছে না। চা করে দিল ঠিকই কিন্তু সে নিজে খেলো না। আকাশের সামনে নাস্তার প্লেট রেখে বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো। রাতেও খেলো না। তার না কি মাথা ব্যাথা। আকাশকে খাবার বেড়ে দিল। আকাশ জোর করেনি। সারাদিনের কাজের চাপে সে বিপর্যস্ত। অফিসে নতুন একটা প্রোজেক্টের কাজ আকাশ পেয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে আজ এই শাখা অফিস আবার প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট দাতাদের সাথে মিটিং, তাদের চাহিদার কথা শোনা এবং কোম্পানির নিজের চাহিদা জানানো এবং টেকনিক্যালি নিজের কোম্পানির সুবিধার দিকে খেয়াল রাখা খুব সহজ কাজ না। এর মাঝে স্বর্ণালির নিত্য দিনের এই গোমরা মুখ দেখতে আকাশের একদম ভাল লাগছে না। খাওয়া শেষে চুপচাপ শুয়ে পড়েছে আকাশ কিন্তু স্বর্ণালির কোন খোঁজ নেই। সে কি আজ থেকে আলাদা ঘুমাবে বলে ঠিক করেছে? প্রচণ্ড রাগ হয় আকাশের। রুম থেকে বের হয়ে স্বর্ণালিকে গেস্ট রুমে আবিষ্কার করে। দরজা লাগিয়ে মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। আকাশ দরজায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পর রুদ্র মূর্তিতে স্বর্ণালি বের হয়ে আসে রুম থেকে। স্বর্ণালির থমথমে মুখের দিকে তাকিয়ে আকাশ ভাষা হারিয়ে ফেলে। কি বলতে চায় স্বর্ণালি? তাদের এমন সুখের সময়গুলো কি খুব দ্রুতই হারিয়ে গেলো? এই কি টিএসসির সেই স্বর্ণালি? হলুদ পাড়ের লাল শাড়িতে বসে বসে স্বর্ণালি গাল ফুলিয়ে অপেক্ষা করছে আকাশের জন্য। প্রায় ১ ঘণ্টা দেরি করে আসার পর আকাশকে দেখে চুপ করে বসে আছে। রাগ করে কোন কথাই বের হচ্ছে না স্বর্ণালির মুখ থেকে। কিন্তু যখন আকাশ তার বুক পকেট থেকে বেলি ফুলের মালাটা বের করে স্বর্ণালির হাতে দিল তখন স্বর্ণালির সেই গভীর রাগ কোথায় যে মিলিয়ে গেলো! আর আজকের রাতের এই অচেনা স্বর্ণালি কে? একে আকাশ চেনে না।


কি হল? এভাবে অভদ্র মানুষের মতো দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিলে কেন? কিছু বলার থাকলে বল নতুবা রুমে যাও। ঘুমাও গিয়ে। সকালে অফিসে যেতে হবে। রাত অনেক হয়েছে। এখন না ঘুমালে সকালে অফিস যেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে তোমার।


স্বর্ণালির কথায় এমন একটা অবজ্ঞার আভাস ছিল যা আকাশকে পীরিত করে। নিজেকে শান্ত রেখে বলে, স্বর্ণালি এভাবে আলাদা ঘুমানোর মানে কি? চল, রুমে চল।


স্বর্ণালির দিকে এগিয়ে আসা আকাশের হাত এক ঝটকা দিয়ে ফেলে দিয়ে গেস্ট রুমে এগিয়ে যেতে উদ্যত হয়। আকাশ এবার নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে পিছন থেকে স্বর্ণালিকে টেনে ধরে। জাস্ট এনাফ স্বর্ণালি। এভাবে বাচ্চাদের মতো আচরণ করবে না আমার সাথে।


বাচ্চাদের মতো আচরণ আমি করছি? দেখো আকাশ চিৎকার করবে না। তোমার ইচ্ছে হয় ঘুমাতে যাও, ইচ্ছে না হলে সারারাত টো টো করে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াও। আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। তোমার সাথে কথা বলার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে এখন আমার নেই।


ধরাম করে দরজা লাগিয়ে দেয় স্বর্ণালি। আকাশ কি করবে বুঝতে না পেরে চুপচাপ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে বন্ধ দরজার সামনে।
সকালবেলা ঘুম ভেঙ্গে দেখে সে ড্রইং রুমে বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে এবং এভাবেই সারারাত কেটে গেছে, টেরও পায়নি। কিন্তু দুর্ঘটনার কথা তখনো আকাশ বুঝতে পারেনি। গেস্ট রুমের দরজা খোলা দেখে উঁকি মেরে দেখে রুমে স্বর্ণালি নেই। পুরো বাড়ি খুঁজে কোথাও স্বর্ণালিকে পেল না আকাশ। মুঠোফোন বন্ধ। গেস্ট রুমে এসে খাটের উপর বসতেই দেখল আকাশকে দেয়া পহেলা ফাল্গুনের একটা কবিতার বইয়ে একটা চিঠির মুখ উঁকি দিচ্ছে। অনেকদিন পর বইটা দেখে হাতে তুলে নিলো আকাশ। চিঠি বের করে দেখে স্বর্ণালির চিঠি। আকাশকে লিখেছে।

আকাশ,

সম্পর্কের মধুরতা হারিয়ে গেছে কোন এক ফাল্গুনের তাম্র বিকেলে। পরবর্তী ফাল্গুন আমাদের অতীত বয়ে নিয়ে আসুক। জানোই তো, দূরত্ব মাঝে মাঝে সম্পর্কোন্নয়নে বিরাট অবদান রাখে। আমি দূরে চলে গেলাম।

স্বর্ণালি


২.
প্রশস্ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে অচেনা এক মহিলার কথা শুনছিল আকাশ। তিন মাস ধরে স্বর্ণালি তার বাবার বাড়িতে। এই তিন মাসে তারা কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি এমনকি খুব কাছাকাছি থাকলেও তাদের কোথাও দেখাও হয়নি। আকাশ ভাবত মেয়েরা বুঝি সব এক রকমের হয়। জেদি, অবাস্তববাদী আর অনেকটা অভিমানি। কিন্তু সব ছেলের মাঝেও যে একধরনের মিল আছে আকাশ সে বিষয়ে ভাবেনি কখনো। এই পশ্চিমা গাঁজা ব্যাবসায়ি মহিলা আর তার স্বামীর সাথে তাদের এতো বেশি মিল থাকতে পাড়ে তা আকাশের ভাবনারও বাইরে ছিল। উচ্চ শিক্ষিত মানুষ রাস্তার নোংরা পরিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষের মন লালন করে তাদের সুউচ্চ দালানের সৌন্দর্য মণ্ডিত ফ্লাটের এসির বাতাসে। হয়তো কে জানে নোংরা মানুষগুলো তাদের ভাঙ্গা ঘরে লালন করে উচ্চ শিক্ষিত মন।


কি বাবু, আপনার পুরিয়া লাগবে না?


আকাশ মহিলার চোখের দিকে তাকায়। এই চোখ যেন স্বর্ণালির চোখ। স্বর্ণালি সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। আকাশ আর দেরি করে না। পুরিয়া নিয়ে হাঁটতে থাকে। সুযোগ বুঝে সজিব আড়াল থেকে বের হয়ে এসে আকাশের সামনে দাঁড়ায়। কি রে, এক মাল আনতে গিয়ে দেখি রোম্যান্টিক আড্ডায় মেটে উঠলি। কাহিনী কি মামা?


সজিব হাসতে হাসতে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় আকাশের দিকে। আকাশ সজিবের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে সজিবের ডান হাত টেনে তুলে তাতে ২০ টাকা দিয়ে কেনা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে সামনের প্রশস্ত রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে। সজিব জোরে একটা ডাক দেয়, আরে আকাশ কৈ যাস?


ততক্ষণে আকাশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। পেছনে ঘুরে শুধু বলল, স্বর্ণালির বাড়ি যাচ্ছি ওকে ফিরিয়ে আনতে।


হতভম্ব সজিব কি বুঝল বোঝা গেলো না। অবাক হয়ে কি করবে ভেবে না পেয়ে একবার হাতে থাকা গাঁজার পুরিয়ার দিকে তাকায় আর একবার দূরে মিলিয়ে যাওয়া আকাশের দিকে তাকায়। সজিবের যে আজ মন অনেক খারাপ। ভেবেছে আকাশকে সাথে নিয়ে আজ ভাবের জগতে ঘুরে বেড়াবে। যে আকাশের টিকি খুঁজে পাওয়া যায় না তাকে আজকে রাস্তায় পেয়ে গেলো আচমকা এবং সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় আকাশকে গাঁজার কথা বলায় আকাশ সানন্দে রাজি হয়ে গেলো। কিন্তু এখন? একা একা কি ভাবের রাজ্যে ঘুরে বেড়ান যায়? অন্তত একজন তো প্রয়োজন যে কি না শব্দের যথাযথ না হলেও গৃহীত শব্দের কিছুটা ফেরত দেয়। আজ মনে হয় তাকে একাই নেশার রাজ্যে হারাতে হবে। আজ সজিবের অনেক বেশি মন খারাপ। এই প্রথম স্বর্ণালি গতকাল রাতে সজিবের সাথে ফোনে খুব বাজে ব্যাবহার করেছে।




২য় পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে তবে জানি না কবে লিখবো।
৪৮টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×