রোমান সাম্রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সম্রাট ছিলেন লিসিনাস । আর ৩১০ খ্রিষ্টাব্দে মিলভিয়ান ব্রিজ যুদ্ধ জয় করে রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চল এর সিংহাসনে আরোহন করেন ১ম কনস্ট্যানটাইন । সে সময় রোমে দুটি ধর্মের প্রচলন ছিল । একদিকে রাজকীয় ধর্ম ছিল সূর্য পূজা বা অদৃশ্য সূর্যের ধর্ম (সল ইনভিকটাস) । অন্য দিকে যিশু খ্রিষ্টের মৃত্যুর ১০০ বছর পর খ্রিষ্ট ধর্মের প্রভাব এবং অনুসারীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছিল । খ্রিষ্টান ও প্যাগানরা ক্রমে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং এই দ্বন্দ্ব যুদ্ধে রূপ নেওয়া শুরু করে । এই সংঘর্ষের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি ছিল রোমান সাম্রাজ্য জুড়ে একাধিক ধর্মের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও রোম সাম্রাজ্য খন্ডবিখন্ড হয়ে যাওয়া ।
কনস্ট্যানটাইন ও লিসিনাস সাম্রাজ্যকে একতাবদ্ধ রাখার জন্য এক ঈশ্বর,এক রাজ্য ,এক ধর্ম নীতি গ্রহন করেন ।এই নীতির আলোকে যে কোন একটি ধর্মই রাজকীয় ধর্ম হিসাবে গ্রহন করার সুযোগ ছিল । সেই সময় খ্রিষ্টানরা সংখ্যায় কম হলেও তারা ছিল ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের ছিল একটি বিস্তৃত সাংগঠনিক কাঠামো । চতুর কনস্ট্যানটাইন নিজে প্যাগান হয়েও বিজয়ী ঘোড়ার উপর বাজি ধরার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং খ্রিষ্টান যাজকদের সাংগঠনিক কাঠামোকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে পরিণত করেন । এক্ষেত্রে প্রথম ধাপ ছিল যাজকদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনের ব্যবস্থা করা । তার এই নীতি একই ভাবে অনুসরন করেন পশ্চিমাঞ্চলের সম্রাট লিসিনাস । পরবর্তীতে লিসিনাসকে পরাজিত করে অবিভক্ত রোম সাম্রাজ্যের সিংহাসন দখল করেন কনস্ট্যানটাইন । সিংহাসনে আরোহন করে তিনি আগের মতো খ্রিষ্টান যাজকদের অধিকতর ক্ষমতা প্রদান করে তাদের নিয়ে গঠন করেন একটি যাজক পরিষদ যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় council of Nicaea নামে । এর সদস্য ছিলেন খ্রিষ্টান যাজক ও প্রভাবশালী রোমান নাগরিকেরা ।
তখন পর্যন্ত খ্রিষ্ট ধর্ম একটি অপরিবর্তনীয় কট্টর ধর্ম ব্যবস্থায় পরিণত হয়নি ।কনস্ট্যানটাইন যাজক পরিষদে ভোটের মাধ্যমে ভবিষ্যতে খ্রিষ্টানদের অনুকরণীয় আদর্শগুলো নির্বাচন করেন । একই সাথে বাইবেলের গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলো সংগ্রহ করা হয় এবং সেই দলিলগুলো থেকে যাজক পরিষদের ভোটের মাধ্যমে একটি ধর্মগ্রন্থ দাড় করানো হয় ।একই সময় ভোটের মাধ্যমে আর্চবিশপ নির্বাচন এর প্রথা চালু করা হয়। ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্ট পিটার চার্চ । আর্চ বিশপ ছিলেন এই চার্চের প্রধান এবং আধ্যাত্নিক নেতা । । এই চার্চটিকে ভ্যাটিকান এর প্রথম আধ্যাত্নিক কেন্দ্র বলা হয় ।
খ্রিষ্টান ধর্মকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পর কনস্ট্যানটাইন তার অধীনে সাম্রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন । কিন্ত প্রথম বাধাটি আসে মহলের ভিতর তার প্যাগান পরিবারের মধ্য থেকে । সম্রাট সহিংসভাবে তাদের দমন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন । নিজ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেন নৃশংসভাবে গলা কেটে , দড়িতে উল্টো ঝুলিয়ে । জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়া হয় অনেককে । রানীকে হত্যা করা হয় ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিয়ে । একই সাথে মহলের বাইরে যাজকরা খ্রিষ্টানধর্ম প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাষ্ট্রীয় খরচে । ধর্মপ্রচারের ক্ষেত্রে বল প্রয়োগের বৈধতা প্রদান করা হয় ।বল প্রয়োগের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে প্যাগান মন্দিরের পুরোহিতদের পোষাকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এর মধ্য দিয়ে । রোমে স্থাপিত তাদের প্রাচীন পবিত্র আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয় । এভাবে খ্রিষ্টধর্মের আনুষ্ঠানিক ও রাজকীয় অভিষেক করে ৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যবরন করেন । তার মৃত্যুর পর ৩৪০খ্রিস্টাব্দে শহরে এবং ৩৪২ খ্রিষ্টাব্দে পুরো রাজ্যে প্যাগান পূজা ও বলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় । ৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে প্যাগান বলির শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড ধার্য করা হয় । ৩৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্যাগান সম্রাট জুলিয়ান রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন । কিন্তু যুদ্ধে তিনি পরাজিত হওয়ার পর প্যাগানদের পক্ষে আর কোন সংগঠিত শক্তি অবশিষ্ট রইলনা । এই যুদ্ধের পর প্যাগানদের উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে ।
৩৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহন করেন থিওডসিয়াস । তিনি ছিলেন পূর্বতন সম্রাটদের তুলনায় আর ও বেশি নৃশংস । ৩৮০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই মর্মে ডিক্রি জারি করেন যে
“রাজ্যের প্রতিটি প্রজাকে হলি ট্রিনিটির উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে । অবিশ্বাসীরা উন্মত্ত ও পাগল বলে বিবেচিত হবে এবং তাদের যথাযথ বিচার করা হবে যার শাস্তি প্রথমত ঈশ্বরবিরোধিতার জন্য প্রহার এবং স্বর্গীয় আইনানুসারে তার জন্য নির্ধারিত হবে যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যৃ”।
তার এই আদেশ পালনের জন্য কালো আলখাল্লা পরিহিত যাজকদের নেতৃত্বে অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করা হয় । এসকল অভিযানে প্যাগানদের অবশিষ্ট প্রাচীন মন্দিরগুলোকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় । ৪৯০ সালে লিবিনাস কতৃক রচিত দলিলে এই অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়:
“কালো পোষাক পরিহিত মানুষগুলো (যাজকদের বুঝানো হয়েছে) মন্দিরগুলোর উপর পাথর , বর্শা , লাঠি ও গাছের গুড়ি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে । মন্দিরের ছাদগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয় ও দেয়ালগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় । বাধা দানকারী যাজকদের নির্বিচারে হত্যা করা হয় মন্দির প্রাঙ্গনে” ।
এছাড়া প্রাচীন পদ্ধতিতে জন্ম নিয়ন্ত্রনের অপরাধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় । আলেকজান্দ্রিয়ার একটি বিশাল লাইব্রেরিতে আগুন দেয়া হয় । আগুনে পুড়ে যায় ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলো । এসকল দলিলের স্থানে যাজকদের রচিত দলিলগুলো স্থান পায় ইতিহাসের পাতায় যা ছিল যাজকদের ভোটে চূড়ান্তভাবে গৃহিত । ভ্যাটিকানের নির্দেশে থ্যামালোনিয়ার গভর্ণর তার রাজ্যের প্রায় ৭০০০ মানুষকে ভোজ সভায় আমন্ত্রণ জানিয়ে হত্যা করেন প্যাগান হওয়ার অপরাধে । ৩৯৪ খ্রিষ্টাব্দের প্যাগানরা আবার বিদ্রোহ করে । বিদ্রোহ দমন করার জন্য এবার পোপ গ্ল্যাটিয়টরদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী বাহিনী প্রেরন করেন । তার নির্দেশে হাজার হাজার প্যাগান নারী ,পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে জীবিত পুড়িয়ে মারা হয় । যারা প্রাণে বেচে গিয়েছিল তাদের ধরে এনে ক্রুশে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয় । এভাবে দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছরে প্যাগানদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয় শহর ও গ্রামগুলো থেকে । তাদের স্থান হয় বন জঙ্গলে । পরবর্তীতে প্যাগান নারীদের ডাইনী এবং পুরুষদের ঈশ্বরের শত্রু বলে যেখানে পাওয়া যায় সেখানে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয় । তাদের মন্দিরগুলো ছিল প্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন । কিন্তু মন্দিরগুলো ততদিনে এমনভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে যেন তাদের অস্তিত্ব কখনও ছিলনা ।
রোমান সাম্রাজ্যের উপর একক প্রভাব বিস্তারের পর ভ্যাটিকান সমগ্র ইউরোপে চার্চের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় এবং অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করে । এর মধ্যে ৭৮২ সালে প্রায় ৪৫০০ স্যাক্সনকে হত্যা ,২৭/৫/১২৩৪ সালে চার্চ কতৃক আরোপিত কর না দেওয়ায় জার্মানীর অলটাসনক ও তার আশেপাশের প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার জার্মান কৃষক হত্যা করা হয় । ১০৯৫ সালে পোপ দ্বিতীয় আরবান এর আদেশে ৬/২৪/১২৯৬ তারিখে হান্ঙ্গেরীর সেমলিনে , ৬/১২/৯৬ হাঙ্গেরীর ওয়াইসিলবার্গের হাজার হাজার গ্রাম বাসীকে হত্যা করা হয় । ৮/১২/১০৯৯ তারিখ থেকে প্রায় দুই লক্ষ হিথিয়ানবাসীকে ঈশ্বরবিদ্রোহের অভিযোগে হত্যা করা হয় । বর্তমান তুর্কীর জেরোডন ও এন্টিওশিয়ার হাজার হাজার গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয় একই অভিযোগে । । ১৫/৭/১০৯৯ সালে জেরুজালেম এর ষাট হাজার মুসলমান ও ইহুদীকে হত্যা করা হয় । ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাল্টিক প্রুশিয়ান জাতিকে গণহত্যার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয় এবং ফ্রান্সের প্রায় অর্ধেক মানুষকে হত্যা করা হয় । সংখ্যাটি ছিল আনুমানিক দশ লক্ষ । বোহেমিয়াতে গণহত্যার পর মোট গ্রামের সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে ছয় হাজারে নেমে আসে এবং নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ মিলিয়ন । এভাবে পোপ তার স্বর্গীয় ক্ষমতাবলে ফ্রান্স ,জার্মানী ,স্পেন ,পর্তুগাল , ইংল্যান্ড , আয়ারল্যান্ড ভূখন্ডে আধিপত্য বিস্তার করে ।৫০০ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্যের পর সমগ্র ইউরোপ জুড়ে অন্ধকার যুগের সূত্রপাত হয় যা ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয় ।এই এক হাজার বছরে জার্মানী , ফ্রান্স , ইংল্যান্ড , আয়ারল্যান্ড স্পেন সহ সবগুলো ইউরোপীয় সাম্রাজ্যের উপর চার্চ এর একক কতৃত্ব স্থাপিত হয় । পোপ হয়ে উঠেন অপরিমেয় ক্ষমতার অধিকারী । রোমান সাম্রাজ্য পরিণত হয় হলি রোমান সাম্রাজ্যে যার প্রধান স্বর্গীয় ক্ষমতার অধিকারী পোপ । রাজ্যগুলো পরিণত হয় প্যাপাল স্ট্যাটে । কিন্তু চার্চের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রোটেস্ট্যান্টরা প্রতিবাদ করার পর আবার শুরু হয় ভ্যাটিকেন এর রক্তোধ্যায় । প্রোটেস্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ভ্যাটিকান ।ফ্রান্সের একজন প্রভাবশালী প্রোটেস্ট্যান্ট প্রোটেস্ট্যান্ট ছিলেন এডমিরাল কলিগনি । ভ্যাটিকেন তাকে হত্যার আদেশ দেয় । ফ্রান্সের ক্যাথলিক রাজা ৯ম চার্লস কলিগনির সাথে তার বোনের বিবাহ স্থির করেন । চারদিন চলে বিবাহ ভোজ সভা । চতুর্থ দিন রাত ১২ টায় সকল প্রোটেস্ট্যান্ট বাড়িগুলো ঘিরে ফেলা হয় এবং তাদের বাড়ি থেকে বেড় করে এনে হত্যা করা হয় নির্বিচারে । নিহতদের লাশগুলো রাস্তায় ফেলে রাখা হয় এবং এডমিরাল কলিগনিকে হত্যা করে তার মস্তক পাঠানো হয় পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরীর কাছে । তার দেহ ঘোড়ায় বেধে রাস্তায় প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে পাহাড়ের চুড়ায় বেধে রাখা হয় সর্বসাধারনের জন্য দৃষ্টান্ত হিসাবে । এই হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে । ফ্রান্সের প্রায় ১০ হাজার প্রোটেস্ট্যান্টকে হত্যা করা হয় এবং তাদের লাশ এমনভাবে রাস্তায় ফেলে রাখা হয় যে প্রধান সড়কগুলো রক্তে রঞ্জিত হয়ে লাল বর্ণ ধারন করে । ১৬৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে অক্টোবর ইগনেশিয়াস লয়োলার নেতৃত্বে আর একটি গণহত্যা চালানো হয় । ১৬৪১ থেকে ১৬৪২ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার আইরিশ প্রটেস্ট্যান্টকে হত্যা করা হয় ।এছাড়া শাস্তির খড়গ নেমে আসে নারীদের উপর । পোপ ২য় ইনোসেন্সের আদেশে ডাইনী হত্যার নামে প্রায় সাত থেকে নয় মিলিয়ন নারীকে পুড়িয়ে মারা হয় । এর মধ্যে ছিলেন কিংবদন্তী জোয়ান অব আর্ক । সব মিলিয়ে চার্চ প্রবর্তিত অন্ধকার যুগ ও তার আগে ধর্মের নামে কি পরিমান মানুষ হত্যা করা হয় সমগ্র ইউরোপজুড়ে তার সঠিক পরিসংখ্যান হয়তো কখনও জানা যাবেনা ।
ইতিহাসের এই মজার ব্যাপারটা বেশ চোখে পড়ার মতো । পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত যতগুলো মর্মান্তিক গনহত্যা হয়েছে তার বেশিরভাগই ধর্মীয় অনুশাসন , ধর্ম রক্ষা ও বিশ্ব শান্তি ও ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষকে সামনে রেখে । ।গণহত্যাকারীরা হয়ে গেছে ধর্মবীর ও ন্যায়শাস্ত্রের রক্ষক । আর নিপীড়িত মানুষকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে অসভ্য ও বর্বর মানুষ হিসাবে । তাই অমানবিক যুদ্ধগুলো নিয়ে কখনও আলোচনা হয়না ।কারন তা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা আইনত প্রায় সকল সমাজে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
ট্রিবিউট টু ভ্যাটিকান : একটি রক্তাক্ত অধ্যায়
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন