আয়কর সর্ম্পকে প্রথম বেসরকারীভাবে গণসচেতনা বৃদ্ধি এবং Online free consultancy দিচ্ছে গোল্ডেন বাংলাদেশ এবং গোল্ডেন এসোসিয়েট্স
কর নির্ধারণ
সাময়িক কর নির্ধারণ
আয়কর অধ্যাদেশের ১৯৮৪ এর ধারা 81 এর আওতায় সাময়িক কর নির্ধারণের বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। যে বৎসর কর নির্ধারণ সম্পন্ন হবে সে বৎসরের ১লা জুলাই তারিখের পর যে কোন সময় সংপ্তি পদ্ধতিতে করদাতার পরিশোধযোগ্য কর সাময়িক ভাবে নির্ধারিত হতে পারে।
করদাতার সঠিক রিটার্ন ভিত্তিতে কর নির্ধারণ
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর 82 এর আওতায় করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত সঠিক রিটার্নের ভিত্তিতে কর নির্ধারণের বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি কর্তৃক রিটার্ণ দাখিল করা হলে ঐ ব্যক্তির উপস্থিতি এবং প্রমাণাদি ছাড়া কর কর্মকর্তা রিটার্ণটি সঠিক এবং সম্পন্ন বলে মনে করে এবং করদাতার মোট আয় নির্ধারণ করা হয়। এরূপ নির্ধারণের ভিত্তিতে তার প্রদেয় কর নির্নয় করে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে করদাতার নিকট পাঠানো হয়।
সহজ পদ্ধতির অধীনে কর নির্ধারণ
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা 82A এর আওতায় সহজ পদ্ধতির অধীনে কর নির্ধারণ করা হয়। পাবলিক কোম্পানি ছাড়া কোন করাদাতা কোম্পানী যার ১৯৯৫ সালের ৩০ জুন অথবা তৎপূর্বে সমাপ্ত পূর্ববর্তী যে কোন সময়ের কর নির্ধারণ যদি কর নির্ধারণী বৎসর যা ১৯৯৫ সালের ১লা জুলাই বা তারপর থেকে শুরু হয়ে ১৯৯৭ সালের ৩০ শে জুন এর মধ্যে শেষ হয়, এরূপ নির্ধারণী বৎসরের সাথে সামঞ্জস্য প্রদর্শণ করে আয় বৎসরের আয়েল বিটার্ণ দাখিল করা হয় এবং এরূপ প্রদর্শনকৃত আয় যদি পূর্ববর্তী বৎসরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে দশ শতাংশের বেশী হয় এবং যে বৎসরের জন্য কর নির্ধারণ করা সম্পন্ন হয়নি উক্ত বৎসরের পূর্ববর্তী প্রতিটি নির্ধারনী বৎসরে নূন্যতম দশ শতাংশ হারে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, তবে করদাতার দাখিলকৃত রিটার্ণ সত্য ও সম্পূর্ণ বলে গণ্য হবে এবং উক্ত রিটার্ণের উপর ভিত্তি করে কর নির্ধারণ করা হয়।
সর্বজনীন স্ব-নির্ধারন পদ্ধতির অধীনে কর নির্ধারন-ধারা ৮২বিবি
(১) যেেেত্র কোন করদাতা সত্য ও সম্পূর্ণ আয়ের রির্টান দাখিল করিবেন, উপকর কমিশনার এইরূপ রির্টান নিজে গ্রহণ করিবেন অথবা তাঁর মতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে গ্রহণ করাইবেন এবং এইরূপ রির্টান গ্রহণের রশিদ ইস্যু করিবেন এবং অনুরূপ রশিদটি কর নির্ধারনী আদেশ হিসাবে গণ্য হইবে, যে কর বর্ষের জন্য রির্টান দাখিল করা হইয়াছে।
(২) রির্টানটি সম্পূর্ণ বলিয়া গন্য হইবে যদি ইহা ৭৫ ধারার উপধারা (২) বিধান অনুসারে দাখিল করা হয় এবং ৭৪ ধারার বিধান অনুসারে কর প্রদান করা হইয়া থাকে।
(৩) যাহাই থাকুক না কেন উপধারা (১) এবং ৯৩ ধারায় বোর্ড বা বোর্ডের অধিনস্ত যে কোন কর্তৃপ যদি বোর্ড তাহাকে মতা প্রদান করিয়া থাকে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে উপধারা (১) এর অধীনে দাখিলকৃত রির্টানের একটি অংশ নির্ধারন করিবেন এবং নিধারীত রির্টানসমূহ উপকর কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবেন নিরীার জন্য এবং উপকর কমিশনার তখন অগ্রসর হইবেন যদি প্রয়োজন হয় ৮৩ ধারা অথবা ৮৪ ধারার অধীনে কর নির্ধারনের জন্য (উক্ত ধারাটি অর্থ অধ্যাদেশ ২০০৭ দ্বারা সন্নিবেশন করা হইয়াছে এবং বন্ধনীর শব্দসমূহ অর্থ অধ্যাদেশ ২০০৮ দ্বারা বিলুপ্ত করা হইয়াছে)
(৪) সর্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতির আওতায় নতুন করদাতাদের দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে ব্যবসা/ পেশা আয়ের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত মূলধনের
নূন্যতম ২৫% আয় প্রদর্শন করে বিধি মোতাবেক কর পরিশোধ করলে প্রদর্শিত মূলধন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হবে না।
(৫) সর্বজনীন স্বনির্ধারনী পদ্ধতির আওতায় নতুন করদাতা কর্তৃক গৃহীত মূলধনী সুবিধার অংক অর্থাৎ প্রদর্শিত মূলধন পরবর্তী পাঁচ বছরের
মধ্যে কোন ভাবেই (ধার, দান ইত্যাদি প্রক্রিয়ায়) হস্তান্তর করা যাবে না।
(উপধারা (৪) ও (৫) অর্থ আইন ২০০৯ দ্বারা সন্নিবেশন করা হইয়াছে।
আয়কর অধ্যাদেশ ধারা 82B এর পর নতুন ধারা 82BB সংযোজনের মাধ্যমে সার্বজনীন স্বনির্ধরণী পদ্ধতি ( Universal Self Assessment ) প্রবর্তনের বিধান করা হয়েছে। এ বিধানের ফলে যে কোন করদাতা নিরূপিত আয়/তি নির্বিশেষে সার্বজনীন পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। উক্ত রূপে দাখিলকৃত রির্টান সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার বা তার মতা প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/ কর্মচারী কর্তৃক গ্রহণ করে উক্ত রির্টানের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র করদাতাকে প্রদান করবেন। উক্ত প্রাপ্তি-স্বীকরপত্রই করদাতার কর নির্ধারনী আদেশ বলে বিবেচিত হবে। আয়কর অধ্যাদেশ,১৯৮৪ এর ধারা 82 এর প্রোভাইসো, ধারা 83A এবং 83AA এর আওতায় দাখিলকৃত নয়, এরূপ যে কোন রির্টান যদি ধারা 75(2) এবং ধারা 74 এর শর্ত পরিপালন পূর্বক দাখিলকৃত হয়ে থাকে তবে তা সার্বজনীন স্বনির্ধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত ও নিষ্পত্তিযোগ্য রিটার্ন হিসেবে বিবেচিত হবে।
এরূপ রির্টান আয়কর অধ্যাদেশের 75(2) ধারায় উল্লেখকৃত সময়সীমার মধ্যে দাখিল করতে হবে এবং 74 ধারায় উল্লিখিত স্বীকৃত করদায় পরিশোধিত হতে হবে। করদাতার রিটার্নে তি প্রদর্শিত হলে, রিফান্ড উদ্ভুত হলে, পূর্ববতী বছরের অপো কম আয় প্রদর্শিত হলে, এমনকি করমুক্ত আয় থাকলে অথবা দান প্রাপ্ত হলেও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে নিষ্পত্তিযোগ্য রিটার্ন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ব্যক্তি ফার্ম, কোম্পানী বা অন্য যে কোন করযোগ্য সত্ত্ব, সার্বজনীন স্বনিধারণী পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা জাতীয় রাজস্ব কর্তৃক মতা প্রাপ্ত কোন কর্তৃপ, সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত যে কোন রিটার্ন বাছাই করে নিরীার জন্য সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারকে নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার প্রয়োজনবোধে উক্ত রিটানসমূহ নিরীর পর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের 83(2) বা 84 ধারায় মামলা নিষ্পত্তি করবেন। অর্থাৎ কোন উপকর কমিশনার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কোন সম্মনিত করদাতার রিটার্ন নিরীা করতে পারবেন না। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 94 এর উপ-ধারা (2) সংশোধন করতঃ এরূপ বিধান করা হয়েছে যে, সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির যে সকল রিটার্ন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অডিটের জন্য বাছাই করা হবে সে সকল মামলার করাদেশ সংশ্লিষ্ট রিটার্ন দাখিলের মাস শেষ হওয়ার ১৫ মাসের মধ্যে প্রণয়ন করতে হবে। ধারা 75(2) এবং ধারা 74 এর উভয় শর্ত বা কোন একটি শর্ত পরিপালিত না হলে অথবা 93 ধারার আওতায় দাখিলকৃত হলে অথবা অন্যবিধ উপায়ে দাখিলকৃত হলে, রিটার্নসমূহ সাধারণভাবে নিষ্পত্তিযোগ্য রিটার্ন হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ এরূপ রিটার্ন 82BB ধারার আওতায় নিষ্পত্তিযোগ্য হবে না।
চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টের রিপোর্ট ভিত্তিক কর নির্ধারণ
ধারা83AAA এর আওতায় চার্টার্ড এ্যাকাউন্টন্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করা হয়। করদাতা কোম্পানির রিটার্ণ দাখিল করার পর যদি বোর্ড উক্ত রিটার্ণ সম্পূর্ণ বা সঠিক নয় বলে মনে করে তবে করদাতার হিসাব পরীার জন্য একজন নিবন্ধিত চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করে।
সর্বোত্তম বিচার মাধ্যমে কর নির্ধারণ
ধারা ৮৪ এর আওতায় উপকর কমিশনার লিখিত আদেশের মাধ্যমে সর্বোত্তম বিচারের ভিত্তিতে করদাতার মোট আয় নির্ধারণ করতে পারেন।
আয়কর সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা যথা সাধ্য দ্রুত চেষ্টা করব সমাধান দিতে।