somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়কর সর্ম্পকে প্রথম বেসরকারীভাবে গণসচেতনা বৃদ্ধি এবং Online free consultancy - ২৫

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আয়কর সর্ম্পকে প্রথম বেসরকারীভাবে গণসচেতনা বৃদ্ধি এবং Online free consultancy দিচ্ছে গোল্ডেন বাংলাদেশ এবং গোল্ডেন এসোসিয়েট্স

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ:

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা -২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নে বর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসেব করতে হবে, যথা:
(ক) বেতন
(খ) সিকিউরিটির উপর সুদ
(গ) গৃহ সম্পত্তি হতে আয়।
(ঘ) কৃষি আয় ।
(ঙ) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়।
(চ) মূলধনী আয়।
(ছ) অন্যান্য উৎস্য হতে আয়।

(ক) বেতন থেকে প্রাপ্ত আয়
(১) আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-21 মোতাবেক কোন আয় বৎসরে করদাতা বা এসেসী কর্তৃক নিয়োগ কর্তার নিকট হতে প্রাপ্য বেতন, নিয়োগকারী অথবা তার প হতে সম্পূর্ণ আয় বৎসরে জন্য সংশ্লিষ্ট করদাতাকে প্রদত্ত বেতন যদি তা পরিশোধিত হয় বা অগ্রীমও হয়, নিয়োগকর্তা কর্তৃক বা তার পে আয় বৎসরে করদাতাকে প্রদত্ত বা অনুমোদিত বকেয়া বেতন যদি তাতে পূর্ববর্তী বৎসরের আয়কর ধার্য করা না হয়ে থাকে তা করদাতার বেতন খাতের আওতায় আয় হিসাবে চিহিৃত করে গণনা করতে হবে।
(২) কোন আয় বৎসরের আয় করদাতা বকেয়া বা অগ্রীম যেভাবে প্রাপ্ত হয়েছেন, সে পরিমাণ আয় যদি কোন আয় বৎসরের মোট আয়ের অন্তর্ভূক্ত করা হয়ে থাকে, তবে তা পরবর্তী কোন বৎসরে তার আয়ের সঙ্গে যোগ হবে না।

(৩) মূল বেতন, উৎসব ভাতা, পরিচারক ভাতা, সম্মানী ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা, বিভিন্ন পারকুইজিটস (সুবিধা), বিশেষ বেতন, মহার্ঘ ভাতা, ছুটি ভাতা বেতনখাতের করযোগ্য আয়।
ধারা- 45 অনুযায়ী পারকুইজিট বলতে কি বুঝায়
(ক) যে কোন প্রকার অর্থাদি প্রদান যা নিয়োগকারী কর্তৃক কর্মচারীকে নগদে অথবা অন্যভাবে প্রদান করা হয়। তবে এর মধ্যে মূল বেতনের উৎসব বোনাস, উৎসব বোনাস সম্পর্কিত আয় বছরের ঘোষিত মূনাফার শতকরা ১০ ভাগ অতিক্রম কাজ বাবদ প্রদত্ত অর্থ ব্যাতিরেকে ; এবং
(খ) মঞ্জুরীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত অবসর তহবিল, অনুমোদিত পারিতেষিক তহবিলে এবং অনুমোদিত অতিবয়স্কতা তহবিলে দান ব্যতীত, নিয়োগ কর্তা কর্তৃক কর্মচারীকে প্রদত্ত যে কোন প্রকার সুবিধা-যা অর্থে রূপান্তরিত হোক বা না হোক এবং তা যে নামেই হোক।

(খ) সিকিউরিটির উপর সুদ খাতে আয়
আযকর অধ্যাদেশের ধারা-২২ মোতাবেক সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ড বা সিকিউরিটিজ ( যেমন টি এন্ডটি বন্ড, ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ইত্যাদি) এবং ডিবেঞ্জার হতে অর্জিত সুদ এ খাতের আয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এই সিকিউরিটিজ বা ডিবেঞ্জার কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হলে ঋণের সুদ সিকিউরিটিজ হতে অর্জিত সুদ আয় থেকে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে (ধারা-২৩) । একজন ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে ডিবেঞ্জার সুদ ২০,০০০/- টাকা পর্যন্ত এবং সরকারী সিকিউরিটিজের সুদ ৫,০০০/- টাকা পর্যন্ত করমুক্ত হবে। তবে উভয় খাত থেকে সুদ আয় থাকলে এই করমুক্তির সুবিধা সর্বোচ্চ ২০,০০০/- টাকার বেশী হতে পারবে না।

(গ) গৃহ সম্পত্তি হতে আয় খাতে কর
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-24 মোতাবেক করদাতাকে তার মালিকানাধীন দালান কোঠা ও জমির বার্ষিক মূল্যেও উপর গৃহ সম্পত্তি হতে আয় খাতে কর প্রাদান হবে। তবে এ রূপসম্পত্তি নিজস্ব ব্যবসা বা পেশার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং উক্ত ব্যবসা বা পেশা থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর অধ্যাদেশের আওেতায় কর প্রদান করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত অংশের জন্য এই খাতে কোন কর প্রদানযোগ্য হবে না ।

ধরা যাক মোঃ আব্দুল কাদেরের একটি চারতলা আবাসিক বাড়ী রয়েছে। ঐ বাড়ীর নীচতলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। তিনি বাকী তিনটি তলা আবাসিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিয়েছেন, প্রতিটি তলার মাসিক ভাড়া ১২,০০০/- টাকা। এ বছর তিনি পৌরকর বাবদ ১৬,০০০/ টাকা, ভূমির খাজনা বাবদ ৯০০/- টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদ বাবদ ২২,০০০/- টাকা পরিশোধ করেছেন। জনাব আব্দুল কাদের গৃহ-সম্পত্তি হতে আয়ের হিসাব নিম্নে দেয়া হলঃ
মাসিক ভাড়া ১২,০০০/- x ৩টি তলা x১২ =৪,৩২,০০০/-
বাদঃ অনুমোদনযোগ্য খরচ
১. মেরামত ব্যয় (ভাড়ার ২৫%) ১,০৮,০০০/-
২. পৌর কর ১৬,০০০/-
৩. ভূমি রাজস্ব ৯,০০/-
৪. গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদ ২২,০০০/-
=১,৪৬,৯০০/-
গৃহ-সম্পত্তি থেকে নীট আয় = ২,৮৫,১০০/-

অতএব গৃহ সম্পত্তি থেকে নীট আয় ২,৮৫,১০০/- হিসেবে কর প্রদান করতে হবে।

(ঘ) কৃষি আয় এবং বিয়োজন সমূহ
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা-26 অনুযায়ী কৃষি খাতে আয় নিরূপণ করতে হয়। যে সকল করদাতার কৃষি ছাড়া আর কোন আয় নেই সে সকল করদাতার কর মুক্ত আয়ের সাধারন সীমার অতিরিক্ত আরও ৫০,০০০/- টাকা পযন্ত করমুক্ত থাকবে অর্থাৎ (১৬৫,০০+৫০,০০০) = ২,১৫,০০০/- টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোন আয়কর পরিশোধ করতে হবে না । মহিলা করদাতা, ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতার যদি কৃষি ছাড়া আর কোন আয় না থাকে তাদেও করমুক্ত আয়ের সীমা হবে (১,৮০,০০০ + ৫০,০০০ ) = ২,৩০,০০০/- টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার যদি কৃষি ছাড়া আর কোন আয় না থাকে তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা হবে (২,০০,০০০ + ৫০,০০০ ) = ২,৫০,০০০/- টাকা।

(ঙ) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা-24 অনুযায়ী ব্যবসা বা পেশা হতে আয় হল নিম্নরূপ:
০১. কোন ব্যবসা বা পেশা অর্জিত বা অনুমিত লাভ ও আয়;
০২. যে কোন বাণিজ্যিক বা পেশাগত বা এরূপ সংঘ বা এ ধরণের অন্য কোন সংঘ থেকে আয়;
০৩. পেশা পরিচালনার মাধ্যমে বা ব্যবসা হতে উদ্ভূত যে কোন সুবিধা বা প্যারকুইজিট;
০৪. ব্যবসায়িক দায় ও সুবিধার মূল্যের পরিমাণ অর্থ;
০৫. 19 (16) এবং 19 (18) ধারায় উল্লেখিত অতিরিক্ত আয়;
০৬. 19 (20) ধারায় উল্লেখিত বিক্রয় কার্যক্রম প্রাপ্ত অর্থ
০৭. 10 (23) ধারায় অধীনে প্রাপ্ত আয়;
০৮. যে কোন বীমা ব্যবসা হতে লাব বা মুনাফা;
০৯. পেট্রোলিয়াম (প্রাকৃতিক গ্যাসসহ) পদার্থ অনুসন্ধান ও উৎপাদন থেকে লাভ ও মুনাফা।

ব্যবসা বা পেশাগত আয় হতে বিয়োজনসমূহ
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা-29 মোতাবেক ব্যবসা বা পেশা হতে আয় খাতে আয় নির্ধারণের সময় নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বিয়োজনযোগ্য বা বাদযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবেঃ
০১. যে স্থানে ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা করা হয় তার জন্য প্রদত্ত ভাড়া;
০২. ব্যবসা বা পেশা পরিচালনার জন্য ভাড়াকৃত মেরামত খরচ;
০৩. ব্যবসা বা পেশার জন্য গৃহীত মূলধনের উপর প্রদত্ত সুদ বা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকের েেত্র লাভের অংশ;
০৪. কোন ব্যাক্তি যদি লাভ-তির অংশীদারমূলক হিসাবে পরিচালনাকারী অথবা, ইসলামী শরীয়ানুযায়ী মুনাফা বন্টননীতিতে পরিচালিত কোন
ব্যাংকের সহিত ডিপোজিট পরিচালনা করে থাকেন, তবে উক্ত ব্যক্তিকে ঐ সূত্রে কোন অর্থ পরিশোধ বা প্রদান করা হলে সে পরিমাণ অর্থ[;
০৫. সরকার কর্তৃক বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠন কর্তৃক মোট আয়ের অনধিক শতকরা দশভাগ বিশেষ রিজার্ভে স্থানান্তরিত
হলে সে পরিমান অর্থ । এ রিজার্ভ ফান্ডের সমষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের অতিরিক্ত হতে পারবে না ;
০৬. ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্য ব্যবহৃত বাড়ী, যন্ত্রপাতি, স্থাপনা বা আসবাবপ্র চলতি মেরামতের জন্য ব্যয়িত অর্থ;
০৭. ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বা আংশিক ব্যবহৃত দালান, যন্ত্রপাতি, স্থাপনা বা আসবাবপত্র, ষ্টক বা ষ্টোরেজ তি, ধ্বংস বা য়-
তির রিরুদ্ধে নিরাপত্তা বীমা বাবদ পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ বা আনুপাতিক হারে অর্থ;
০৮. ব্যবসা বা উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত করদাতার নিজস্ব সম্পত্তি, দালান, যন্ত্রপাতি, স্থাপনা আসবাবপত্রের অবচয় ইত্যাদি বিষয়ে তৃতীয় তফসীল
অনুসারে অনুমোদিত হাবে অর্থ;
০৯. তৃতীয় তফসিলের অষ্টম অনুচ্ছেদ অনুসারে বিশেষ অবচয় ভাতাভোগী প্রধানতঃ আভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন করে এমন জাহাজ মাছ ধরার ট্রলারের েেত্র, যে বৎসর জাহাজ ট্রলারকে জনসাধারেণের ব্যবহারের জন্য প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে সেই বৎসরে উক্ত জাহাজ বা ট্রলারের প্রকৃত খরচের শতকরা বিশ ভাগ বিনিয়োগ সুবিধা;

১০. কোন আয় বৎসরে করদাতার ব্যবসায় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোন ভবন যন্ত্রপাতি অথবা স্থাপনা ধ্বংস, বিধবস্ত অথবা বাতিল হয়ে গেলে অথবা এরূপ কোন সম্পত্তি বিক্রয় বা বিনিময়ের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হলে অথবা বাধ্যতামূলকভাবে আইনগত কর্তৃপ কর্তৃক অধিগ্রহন করা হলে অথবা বাংলাদেশের বাইরে কোন আয় বৎসরে তা রপ্তানি করা হলে, সেেেত্র উক্ত আয় বৎসরের জন্য তৃতীয় তফসীলের দশ অনুচ্ছেদ অনুসারে অকেজো (obsolescence) ভাতা প্রদান;

১১. করদাতার ব্যবসায়িক বা পেশার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত যে কোন পশু, যা ব্যবসায়ের পশু নয় যদি তা মারা যায় অথবা সেই উদ্দেশ্যে স্থায়ীভাবে অর্কমণ্য হয়, ত্রে অনুসারে করদাতার নিকট পশুটির প্রকৃত মূল্য থেকে বিক্রয় করার পর কোন মূল্য উদ্ধার করা হলে তার অথবা মাংস হস্তান্তরের মাধ্যমে যে অর্থ পাওয়া যায় তার পার্থক্যের সমপরিমাণ অর্থ;

১২. করাদাতার ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জমির অথবা অংশবিশেষের জন্য প্রদেয় যে কোন পরিমাণ ভূমি উন্নয়ন কর অথবা খাজনা, স্থানীয় কর অথবা পৌর কর;

১৩. কোন আয় বৎসরে কাজ করার জন্য কর্মচারীকে বোনাস অথবা দন্তুরী দেয়া হলে যেেেত্র ঐ পরিমাণ অর্থ মুনাফা বা লভ্যাংশ হিসেবে প্রদেয় না হলে যদি উহা বোনাস বা দস্তুরী হিসাবে প্রদত্ত না হয় এবং যুক্তি সংগত কারণে, উৎসব বোনাস হিসাবে প্রদান যুক্তিসঙ্গগত এ জন্য যে-
(ক) এরূপ ব্যবসা বা পেশার েেত্র সাধারণ নিয়ম;
(খ) ঐ বৎসরে ব্যবসা বা পেশার লাভ , এবং
(গ) কর্মচারীর চাকুরীর বেতন এবং অন্যান্য শর্তাদি অন্তর্ভূক্ত

১৪. যে পরিমাণ ঋণ বা তার অংশবিশেষ অনাদায়ী হিসাবে স্থির থেকে যায় এবং আয় বৎসরে করদাতার হিসাবের খাতায় তা সত্যিকার ভাবে অবলোপিত হয়ে যায়, যদি সেই আয় বৎসরে বা পূর্ববর্তী আয় বৎসরে ঐ ঋণ বা তার অংশ বিশেষ করদাতার আয় নির্ধারণের েেত্র , এবং ব্যাংকিং কোম্পানী বা লগ্নী ব্যবসার েেত্র করদাতার ব্যবসার অংশ েেত্র করদাতা কর্তৃক হিসাবকৃত উক্ত অনাদায়ী অর্থ:

১৫. কোন আয় বৎসরে করদাতার হিসাবের খাতায় যে পরিমাণ ঋণ বা তার অংশবিশেষ অনাদাযী হিসাবে অবলোপন করা হয়েছে কিন্তু তা সম্পূর্ণ অনাদায়ী হয় নাই বিবেচনা করে উক্ত অবলোপনকে অনুমোদন করা না হয়, সেেেত্র সে পরিমাণ ঋণ বা তার অংশ বিশেষ পরবর্তী আয় বৎসরে অনাদায়ী হিসাবে প্রতীয়মান হলে সেই আয় বৎসরে তা বাদযোগ্য হবে;

১৬. যখন কোন আয় বৎসরে করদাতা তাঁর হিসেবের বহিতে যে কোন ধরণের ঋণ বা তার অংশবিশেষ অনাদায়ী হিসেবে অবলোপন করেন এবং উপ-কর কমিশনার এ মমে সন্তষ্ট হন যে উক্ত ঋণ বা তার অংশবিশেষ পূর্বের আয় বৎসরের পূর্ববর্তী কমপে চার বৎসর পূর্বে অবলোপিত হয়েছে, তার সেক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশে যা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-কর কমিশনার উক্ত ঋণ বা উহার অংশবিশেষকে পূর্বের আয় বৎসর হতে বিয়োজনের জন্য বা বাদ দেয়ার জন্য অনুমোদন দিতে পারেন, যদি এক্ষেত্রে করদাতা উপ-কর কমিশনারের এরূপ অনুমোদন এবং করদাতার উক্ত পূর্ববর্তী আয় বৎসরের মোট আয় পূনঃনির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করেন এবং সেক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব 173 ধারার বিধান অনুসারে উক্ত আয় নির্ধারণের জন্য ঐ ধারার (4) উপধারায় বর্ণিত চার বৎসরের হিসাব করতে হবে এবং যে বৎসরে কর নির্ধারণ করা হয়েছে তার শেষ হতে যে আয় বৎসরে ঋন বা অংশবিশেষ অবলোপন করা হয়েছে;

১৭. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কর্ম সংস্থান ব্যাংক, ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুসৃত বিধান অনুসারে খারাপ ঋণ এবং সন্দেহজনক ঋণ ও তার সুদসহ মোট অনাদায়ী ঋণের শতকরা এক ভাগ অথবা করদাতার হিসাবের খাতায় উল্লেখিত প্রকৃতপে অনাদায়ী এবং সন্দেহজনক ঋণ ও তার সুদ, এই দুই পরিমান অর্থের মধ্যে যেটি কম হয় সেই অর্থ;
১৮. করদাতা কর্তৃক পরিচালিত কোন ব্যবসা যা বাংলাদেশ বৈজ্ঞানকি গবেষণায় ব্যবহারের জন্য ব্যয়িত অর্থ, যা মূলধনী ব্যয় নয়;
১৯. করদাতা কর্তৃক পরিচালিত ও বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সম্পর্কিত ব্যয়িত মূলধনী ব্যয়;
২০. করদাতার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংস্থা, স্থাপিত সংস্থা, এসোসিয়েশন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরী স্কুল অথবা গবেষণার জন্য অন্য কোন সংস্থাকে প্রদেয় অর্থ;
২১. এসেসী বা করদাতার কর্মচারীদের সুবিধার্থে স্থাপিত শিামূলক প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালের জন্য অথবা শিল্প কারখানার শ্রমিকদের প্রশিণের জন্য ব্যয়, যা মূলধনী প্রকৃতির মত ব্যয় নয;
২২. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রশিণের জন্য গৃহীত প্রকল্প বাবদ খরচকৃত যে কোন ব্যয়;
২৩. সরকার কর্তৃক স্পন্সরকৃত বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য করদাতা কর্তৃক ব্যাক্তিগত বা মূলধন জাতীয় খরচ ব্যতীত নন্যান্য ব্যয়;
২৪. বাণিজ্যিক সংুগঠন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (১৯৬১ সনের ৪৫ নং অধ্যাদেশ) এর অর্থাধীনে কোন রেজিষ্ট্রীকৃত ব্যবসায় সংগঠন অথবা এই উদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পেশাগত প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সদস্য চাঁদা বাবদ;
২৫. করদাতার ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্যে খরচকৃত যা কোনভাবেই মূলধন জাতীয় খরচ নয়;

(ঙ) মূলধনী লাভ হতে আয়
আয়কর অধ্যাধেশ এর ধারা-31 অনুযায়ী মূলধনী লাভ-
অনাবাসী করদাতার পাবলিক কোম্পানীর স্টক বা শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে অর্জিত কোন মুনাফা এবং লাভের উপর কর প্রদেয় হবে না, যদি তিনি নিজ দেশে ঐরূপ অব্যহতির অধিকারী হন।

আয়কর অধ্যাধেশ এর ধারা-32 অনুযায়ী মূলধনী লাভ নির্ণয়-
(১) মূলধনী লাভ খাতে আয়ের সম্পত্তি হস্তান্তরের ফলে অর্জিত মূল্য কিংবা তার ন্যায্য বাজার মূল্যে, এর মধ্যে যেটি বেশি হয় তা হতে নিম্নোক্ত েেত্র বিয়োজন করে মূলধনী লাভ খাতে আয় নির্ণয় করতে হবে, যথা-
(ক) কোন মূলধনী সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য যে কোন প্রকার ব্যয়;
(খ) মূলধনী সম্পদ অর্জন করার ব্যয় এবং তা উন্নয়নের জন্য অন্যান্য ব্যয় ব্যতীত যে কোন মূলধনী ব্যয়;
(গ) 23, 29, এবং 34 ধারার আওতায় বাদযোগ্য সুবিধা পাবার ত্রেসমূহে প্রযোজ্য হবে।

(২) মূলধনী সম্পত্তির অর্জন ব্যয় বলতে বুঝায়-
করদাতর কর্তৃক ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তার প্রকৃত অর্জন, খরচ, উপহার, ইচ্ছাপত্র দ্বারা প্রদত্ত বা দান পত্রের মাধ্যমে অথবা বাতিলযোগ্য বা অবাতিলযোগ্য ট্রাস্ট-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত হয় অথবা কোম্পানী বিলোপ সাধনের ফলে মূলধনী সম্পত্তি বন্টনের মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়।

(৩) করদাতা কর্তৃক হস্তান্তরিত কোন মূলধনী সম্পত্তির েেত্র হস্তান্তরের দিন উপ-কর কমিশনারের মতানুযায়ী উহার ধার্য মূল্যে করদাতা কর্তৃক ঘোষিত সম্পূর্ণ মূল্যের চেয়ে কমপে পনের শতাংশ কম হয়, সেেেত্র পরিদর্শন যুগ্ন কমিশনারের পূর্ব অনুমোদন সাপেে উক্ত মূলধনী সম্পত্তিটির ন্যায্য বাজার মুল্য নির্ধারণ করতে হবে।

(৪) যেখানে উপ-কর কমিশনার অভিমত প্রদান করেন যে, করদাতা কর্তৃক হস্তান্তর তারিখে কোন মূলধনী সম্পত্তির ন্যায্য বাজার মূল্য করদাতা কর্তৃক ঘোষিত মূল্যের চেয়ে পঁচিশ শতাংশ বা তার চেয়ে কম তবে সেেেত্র সরকার নির্ধারিত নিয়মে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করা জন্য প্রস্তাব দিতে পারবেন।
(৫) যেখানে মূলধনী সম্পত্তি হস্তান্তর হতে মূলধনী লাভ অর্জিত হয়, তা যদি হস্তান্তর তারিখের অব্যবহিত পূর্বে করদাতা তাঁর ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকেন এবং করদাতা যদি র্পর্ববর্তী এক বৎসর বা এ সময়ের পরে ব্যবসা বা পেশার উদ্দেশ্যে নতুন কোন মূলধনী সম্পত্তি ক্রয় করে থাকেন, তখন মূলধনী আয়কে হস্তান্তরিত বৎসরের আয় হিসেবে দেখানোর পরিবর্তে যদি করদাতা কর নির্ধারণের পূর্বে লিখিতভাবে ইচ্ছা ব্যক্ত করেন, উপধারার নিম্নোক্ত বিধান অনুসারে নির্বাচন করেন, যেমন-
(ক) মূলধনী আয়ের পরিমাণ যদি নতুন সম্পত্তির অর্জন ব্যয় অপো অধিক হয় তবে মূলধনী আয়ের পরিমাণ এবং নতুন সম্পত্তির অর্জন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য অনুসারে আয় বৎসরে আয় হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তৃতীয় তফসীল অনুসারে কোন সুবিধা নতুন সম্পত্তি গণনা করার েেত্র অথবা হস্তান্তরের ফলে যদি কোন মূলধনী আয় অর্জিত হয় তবে, ত্রে বিশেষে, উক্ত অর্জন ব্যয় বা লিখিত মূল্যে শূন্য হবে, এবং
(খ) মূলধনী আয়ের পরিমাণ যদি নতুন সম্পত্তির অর্জন ব্যয়ের সমান বা কম হয় তবে ধারা-৩১ এর আওতায় মূলধনী আয় ধার্য্য করা যাবে না এবং তৃতীয় তফসীল অনুসারে কোন নতুন সম্পত্তির বাদযোগ্য সুবিধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অথবা ১৯ (১৬) ধারা অনুসারে কোন আয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অথবা হস্তান্তরের ফলে কোন মূলধনী আয় অর্জিত হলে উহার অর্জন ব্যয় বা লিখিত মূল্যেকে, যেখানে যা প্রযোজ্য, মূলধনী আয় দ্বারা হ্রাস করা হবে।

(চ) অন্যান্য উৎস হতে আয়সমূহ
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী বেতন, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ, গৃহ সম্পত্তির আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা বা পেশার আয়, মূলধনী লাভ এ কয়টি আয়ের খাত ছাড়া অন্য যাবতীয় আয় অন্যান্য সুত্রের আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ, লভ্যাংশ, লটারী, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় থেকে পাওয়া মুনাফা, যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে আয়, বক্তৃতা বা লেখার সম্মানী ইত্যাদি অন্যান্য সূত্রের আয়ের কয়েকটি উদাহরণ। ব্যাংক সুদ বা লভ্যাংশ আয় থেকে
উৎ সে কেটে রাখা আয়কর করদাতার জন্য অগ্রিম পরিশোধিত কর হিসেবে বিবেচিত হবে যা আয়কর মামলা নিষ্পত্তি পর্যায়ে সৃষ্ট কর দাবীর বিপরীতে সমন্বয় করা যাবে।

আয়কর সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা যথা সাধ্য দ্রুত চেষ্টা করব সমাধান দিতে।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×