ছুডুবেলায় একবার সিনেমায় অভিনয় করছিলাম।মার এক বান্ধবীর হাজবেন্ড ছিলো প্রডিউসার,ডিরেক্টর।উনি একদিন মা কে বললো,আপনার ছেলেকে দেন সিনেমায় অভিনয় করাই।সিনেমায় অভিনয়ের কথা শুইনা আমি খুশিতে গড়াগড়ি খাইতে লাগলাম।কয়েকদিন পর এফডিসিতে গেলাম মার সাথে।আমার প্রথম সীন ছিলো শাবানা আন্টির সাথে।উনি আমারে জড়াইয়া ধইরা গান গাবে আর কানতে থাকবে।সিনেমার লোকজন আমারে আধময়লা একটা কাপড় পরাইয়া শাবান আন্টির কোলে উঠায় দিলো।ডিরেক্টর অ্যাকশন বলতেই শাবানা আন্টি আমারে জড়াইয়া ধইরা অভিনয় শুরু কইরা দিলো।অভিনয়ের সময় ইমোশনের চোটে উনি এমনভাবে আমারে জড়ায় ধরছিলো যে চাপের চোটে চোখমুখ উল্টায়া আমার দম যায় যায় অবস্থা।শাবান আন্টি আমারে কোলে নিয়া গান গায়াই চলতেছে আর এদিকে আধময়লা পোষাকের ভিতরে ছারপোকা না উকুন জাতীয় পোকার কামড়ে আর উনার শরীর থেইকা আসা ঘামের গন্ধে আমার মইরা যাওয়ার অবস্থা।কিছুক্ষন পর ডিরেক্টর কাট বলতেই আমি একলাফে ঊনার কোলের থেইকা নাইমা দৌড়ায়া মার কোলে উঠলাম।একটু পর গানের আরেকটা সীবের জন্য আমারে ডাক দিলে আমি আর মার কোলের থেইকা নামি না।সবাই আইসা আমারে নেওয়ার জন্য টানাটানি শুরু কইরা দিলো।শেষে শাবান আন্টি আইসা কইলো কি হইছে বাবু?আমি উত্তর দিলাম আপনের বগল থেইকা ঘামের গন্ধ বাইর হইতেছে আপনে নোংরা গোসল করেন না,আমি আপনের সাথে অভিনয় করবো না।আমার একথা শুইনা ইউনিটের সবাই তব্দা খায় দাড়ায় থাকলো।ডিরেক্টররে দেইখা মনে হইতেছিলো উনি যে কোনসময় উনি হার্টফেল করতে পারেন।এই ঘটনার পর আমারে আর অভিনয়ের জন্য ডাকে নাই।পরে শুনছিলাম শাবানা আন্টি নাকি এই ঘটনার পর দুইদিন শুটিং এ আসেন নাই।
একবার আমার এক খালাতো ভাইয়ের জন্ডিস হইছিলো।জন্ডিসের জন্য সারাক্ষন বাসায় শুয়ে থাকতো।স্কুল,পড়াশোনা সব বাদ ছিলো।এইটা দেইখা আমি ভাবলাম আমারও যদি জন্ডিস হইতো তাহলে আমারও পড়াশোনা করা লাগতো না।আমি জন্ডিস হওয়ার উপায় খুজতে লাগলাম।এদিকে খালাতো ভাইয়ের জন্ডিস বেড়ে যাওয়াতে শরীর পুরা হলুদ হয়ে গেছিলো।আমি ভাবলাম আমার শরীর যদি হলুদ হয়ে যায় সবাই মনে করবে আমারও জন্ডিস হইছে।এসব ভাবনা চিন্তা করে স্টোররুমে রঙ্গের ডিব্বা থেইকা হলুদ রং নিয়া শরীরে ঢাইলা দিলাম।তারপর ব্রাশ দিয়া ঘইষা ঘইষা পুরা শরীর হলুদ কইরা ফেললাম।রঙ্গের সাথে প্লাস্টার না কি যেন মেশানো ছিলো জানতাম না।রং করা শেষ হইলে রুম থেইকা বাইর হইয়া উঠানে আইসা ভাউয়া ব্যাঙ্গের মতো উপুর হয়া শুয়ে থাকলাম একটু পর রোদে রং শুকাইতে শুরু করলো।রং পুরাপুরি শুকানের পর দেখি আমি আর নড়তেচড়তে পারি না।আমার হাত পা সব শক্ত হইয়া আছে।আমার অবস্থা পুরা খারাপ।এদিকে কাউকে ডাকতে পরতেছি না কারন ঠোট একটার সাথে আরেকটা লাইগা আছে।একটু পর কাজের বুয়া উঠানে আইসা দেখে হলুদ রং এর কি যেন উঠানে চিৎপাত হয়ে শুয়ে আছে।এইটা দেইখা বুয়া বিকট একটা চিৎকার কইরা মাথা ঘুরাইয়া লাট্টুর মতো পইড়া গেলো।বুয়ার চিৎকারে সবাই উঠানে আইসা দেখে সে জ্ঞান হারায়া পড়ে আছে আর হলুদ মতো একটা বস্তু উঠানে ভাউয়া ব্যাং এর মতো চিৎপাত হয়া আছে।ছোটমামা কোথেইকা একটা লম্বা লাঠি নিয়া আইসা আমার ভুড়ির মধ্যে গুতাইতে লাগলো।ঠোট বন্ধ থাকায় আমি কিছু বলতে পারতেছিলাম না,নড়তেও পারতেছিলাম না আর এদিকে লাঠির গুতা খায়া আমার সুন্দর ভুড়িটা ফাইটা যাবার দশা।একসময় নানীও একটা লাঠি নিয়া আইসা আমারে গুতাগাতি দিয়া বলে এইটা তো তামিমের মতো লাগতেছে।পরে সবাই মিলে আমারে ঘরে নিয়া গেছিলো।পরে তারপুলিন না কি যেন আমার শরীরে ঘইসা ঘইষা শরীর থেইকা রং উঠাইছিলো।এই ঘটনার পর বুয়ার অনেক জ্বর হইছিলো।সে মনে করছিলো তারে জ্বীন ধইরা নিতে আসছিলো।
একবার আমার খালাতো ভাই কোথেইকা যেনো জোলাপের গুলি যোগাড় কইরা নিয়া আসছিলো।একদিন ভাইয়ার ঘর থেইকা ঐ গুলি চুরি করে ছাগলের খাবারের সাথে মিশায় দিছিলাম।দুপুরে যথারিতী নানার পেয়ারের ছাগল দুইটা রাজার মতো খাবার খায় উঠানে বইসা জাবর কাটতেছে।একটু পর বসা অবস্থাতেই ছাগল দুইটার পিছনদিক থেইকা পাতলা পায়খান বাইর হওয়া শুরু করলো।সবসময় ছাগলরে গুটি গুটি খেজুরের বিচীর মতো লাদি ছাড়তে দেখছি।ঐবার প্রথম কোন ছাগল কে পাতলা হাগু করতে দেখছিলাম।সারাদিন হাগু করতে করতে দুর্বল হয়া এমন অবস্থা হইলো যে ছাগল দুইটা আর উঠতে পারে না।বইসা বইসাই হাগু করতে লাগলো আর করুণ স্বরে ম্যা ম্যা করতে লাগলো।পরে রাতে ডাক্তার ডাইকা হাগু বন্ধ করতে হইছিলো।
চলবে......................
আমার বান্দরবেলা......১
আমার বান্দরবেলা.......২
আমার বান্দরবেলা........৩
আমার বান্দরবেলা........৪
আমার বান্দরবেলা........৫
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০০৯ ভোর ৬:৫২