তুলা থেকে প্রস্তুত সুতা দিয়ে কাপড় প্রস্তুত করছে বাঙালী নারী।
আজ একটি ভয়ংকর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শাড়ি আমাদের দেশের মেয়েদের ঐতিহ্যমন্ডিত পোশাক। ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী সে শাড়িকে প্রত্যাখ্যান করে কালো বোরখার ভেতর মেয়েদের আবদ্ধ করে রাখার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। প্রতিটি গ্রাম মহল্লা পারা শহর বন্দর নগর মসজিদ মাদ্রাসা এমনকি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত ঢুকে গেছে বিষাক্ত মৌলবাদ।শাড়ি খুবই শালীন একটা পোশাক হলেও মৌলবাদীরা তার মধ্যে অশ্লীলতা খঁজে পাবেন। তাঁত শিল্পের ইতিহাস সকলের জানা। আমাদের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি এখন আর মেয়েরা পড়তে চায়না। মৌলবাদীরা ভুলভাল ওয়াজ করে তাদের বোরখা ধরিয়ে দিয়েছে। আর যারা এখনো শাড়ি ত্রিপীছ টপস কামিজ ইত্যাদি পরছেন দেখা যাচ্ছে তারা ফাকিস্তানি ও ভারতীয় ড্রেস পরছে।
অথচ আমাদের দেশীয় পন্য গুলো কেউ কিনছেনা।
বাঙালী অনুকরণ প্রিয়। ভারতীয় ও ফাকিস্তানী মুভি বা সিরিয়াল দেখে অনুকরন করতে করতে তাদের ভাষা, কালচার, ড্রেসাপ, স্টাইল পর্যন্ত কপি করে ফেলতেছে। হ্যাঁ এটা সত্য ভারতীয় মুভি বিশ্বমানের। ভন্ড মিথ্যাবাদী ছাড়া ছাড়া কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা তারা ভারতীয় মুভি, গান, আই পি এল এগুলো বর্জন করেছে। ভারতীয় পন্য বর্জনের মূল নায়করা পর্যন্ত ভারতীয় সুন্দর সুন্দর ছেলে নায়কদের গোপনে দেখে সুখ অনুভব করে।
সম্প্রতি সাইরা ঐতিহাসিক তাঁতশিল্পকে রিপ্রেজেন্ট করতে দেশী শাড়ি পরে একটা শ্যুট করেছে। নীচে সেই ফটোশ্যুট এর একটি ছবি শেয়ার করছি।
এবার আরেকটি মেয়ের ভারতীয় আদি মোহনী মোহনের শাড়ি পরা আরেকটা ছবি শেয়ার করছি নীচে। সত্যি করে বলুন তো কোনটি সুন্দর?কোন শাড়ি আপনার কিনতে ইচ্ছে হচ্ছে ভাবীর জন্য?
টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতিরা মূলত ঐতিহ্যবাহী মসলিন তাঁতশিল্পীদের বংশধর। মসলিন এর মত তাঁতশিল্পও হারিয়ে না যাক। আমাদের দেশী কাপড়ের ব্রান্ড "রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, সৃষ্টি এই ব্রান্ড গুলো অত্যন্ত উন্নত মানের দেশী কাপড় প্রস্তুত কর
তাই বলছি আসুন কম দামে বাংলাদেশী পোশাক পরি, দেশি পোশাকেও নিজেকে খুব স্মার্ট রূপে উপস্থাপন করা যায়। দেশী কাপড় দিয়ে পেজেন্ট ফ্যাশন ও স্টাইল ট্রেন্ড মেইন্টেইন করা যায়না ধারণাটা ভুল। আরব্য বোরখা ফাকিস্তানি ও ভারতীয় পোশাক না কিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬