এখনও কি রাগ করে আছো
কয়েক 'শ মেগাপিক্সেল প্রেম বুকে নিয়ে মিকেলএঞ্জেলো তো জোড়া হত্যার আসামী ছিলেন
সময় হলে ফাঁসি দিয়ো
ধমনী তৈরির সমূহ কৌশল অনেক আগেই শিখে রেখেছি
নিহিতার্থে
কামনার আগুন থেকে জন্ম নেয় সর্পাকৃতির মোমবাতি
আলো বেয়ে বেয়ে এজলাস হতে নেমে আসো
ফুলে-ওঠা রাগ ও নিতম্ব সম্বরণ করো
স্ত্রৈণ আঁখিয়া তুমি গলিত ধাতুর ঝরণা
তোমার আদালতেই তো ফাঁসির আদেশ ঘন ঘন শোনা যাবে
শিবা, তুমি কি আজকের মতো লিখে ফেলেছ- হ্যাঙ্গ আনটিল ডেথ...
০২.
প্রভাতের শাদা হাত-পা সহ
মরফিনের আঙুলগুলো গলে গেছে বহুঘণ্টা আগে
নগরীর সীমান্ত পিলারের পাশে
সারি সারি গাভীদের উলান উচ্চতায় উড়ে গেলে কালনেমির নগরীতে রোদ উঠে, চাঁদ উঠে...
নৃ-নর্তকী, আহার করেছি সারারাত
কেউ কেউ হর্ষচূর্ণ, পুষ্পের বিলাপ...
এখন নেড়ি-কুকুরের চোখের ভেতরে বসে
থেঁতলানো দুপুর দেখে নিচ্ছি আরো একবার
শুকিয়ে-যাওয়া পুঁজ ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে স্থিরতম সারিবদ্ধ পিঁপড়েগুলি
আমার লোমকূপ হতে তৈরী করেছে তারা
বহুবর্ণ পোষাক, চিত্রীর ব্রাশ
শপিংমলে ধাবমান অজস্র জননীর ঝাঁক...
তারা বিচ্যুত আমার ঔরস হতে, বৃন্ত হতে খসে-পড়া
তারাই কি তবে ডালিম পুরাণ
বসে আছি কীট ও কুকুর সহোদরা। আমার রক্তচক্রে ক্লান্তি নিবারণ করে প্রাণীবিদ্যার ফকির অথচ জঠরের ব্যাগ হাতে কেউ কেউ আসে আমায় খরিদ করে নিয়ে যেতে...
বিষধর প্রেমিক দাঁড়িয়ে পড়ি
অর্ধাঙ্গীর দেহে বার বার চুম্বন করি, জলাতঙ্ক ছড়াই
ঝিমুতে থাকে
পাখিদের ডানায় দাউ দাউ রোদ, অনন্ত বিদ্যুৎ
ট্রাকে করে কারা যেন নিয়ে গেল বেহুলার ভেলা, বাথটাব
কারা যেন ছুঁড়ছে তো ছুঁড়ছে তীর ও পাতিহাড়
ফেটে যায়
পাথরের পাতার নিচে কুকুরের চোখগুলি
রোদ ও মাংসের কুন্ডলী ছিঁড়ে আন্তঃজেলার বাসগুলো দূর মফস্বলের দিকে যাত্রা শুরু করে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২৮