গাঁ বাঁচানো মানুষ ছিল এবং আছে বলেই সমস্যা টিকে আছে!
প্রতিবাদী মানুষ ছিল এবং আছে বলেই সমস্যা সত্বেও দুনিয়া টিকে আছে!
নোয়াম চমস্কি স্বজাতি'র অন্যায় আচরনে প্রতিবাদী প্রবাদ পুরুষ! বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রে'র প্রতিটি আগ্রাসনেরই প্রতিবাদ করে এসেছে তিনি। নিজে ইহুদি পরিবারের সন্তান হয়েও, ইসরাইলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ইসরাইলি সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন, ইসরাইলে তাকে ঢুকতে দেয় নাই!
কয়েকদিন আগে পশ্চিমা বিশ্বে'র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি গুন্টার গ্রাস পশ্চিমের কৃতকর্মের প্রতিবাদ করলো! অপকর্মে তার নিজ দেশে'র সহযোগীতা'র প্রতিবাদ করে বিশ্ব বিবেক কাঁপিয়ে দিয়েছিল!
হলোকাস্টে'র ভিক্টিম ইহুদি পরিবারের সন্তান, ডঃ নরম্যান ফিনকেলস্টাইন প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনে চলা ইসরাইলি অবৈধ বসতি স্থাপন এবং আগ্রাসনে'র!
আমরা ব্লগার, ব্লগে অনেকেই নিজ নিজ মতামতের ব্লগারদের সাথে গ্রুপ মেন্টেইন করে চলে। অনেকেই উদ্দেশ্যমূলক সিন্ডিকেটিং করে। সবাই নিজ দলের সমালোচনা তারা করবে এমন আশা করা কঠিন, কিন্তু অন্তত যখন চোখের সামনে অন্যায়ের প্রতিবাদ হতে দেখে তখন বাঁধা সৃষ্টি করা উচিত???
আজকে আপনি কারো আক্রমনের মুখে পড়ছেন না অথবা দলীয় শক্তির জোরে সুবিধাভোগ করে চলছেন বলেই ভাববেন না চিরদিন এভাবেই কাটবে।
বিজ্ঞান বলে, সকল ক্রিয়ারই বিপরীত ক্রিয়া আছে!
আমাদের উপমহাদেশীয় ঐতিহ্য বলে, কর্মেই ফল!
আপনি যা করবেন, তার ফলাফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে!
"হুইসেল ব্লোয়ার" বলে একটা শব্দ আছে। http://en.wikipedia.org/wiki/Whistleblower বাংলায় "বাঁশিওয়ালা" বলা যায়! তাদের কাজ হলো, দূর্নীতির প্রতিবাদ করা।
তাদেরকেই হুইসেল ব্লোয়ার বলা হয় যারা নিজ দলে'র বা সংগঠনে'র অপকর্মে'র প্রতিবাদে হঠাৎ করেই বিবেকের তাড়নায় প্রতিবাদ করে বসে।
আমাদের দেশে'র সম্ভবত সবচেয়ে সেরা "বাঁশিওয়ালা" রূপে আবির্ভুত হয়েছিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসে'র ড্রাইভার "আজম"।
একজন নোয়াম চমস্কি ক্যারিয়ারের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ করেন, একজন গুন্টার গ্রাস সারা জীবনের সুনাম ঝুঁকিতে ফেলে প্রতিবাদ করেন, একজন ড্রাইভার আজমও অন্যায়ের প্রতিবাদে নিজ ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা'র পরোয়া না করে প্রতিবাদ করেন, আমি-আপনি সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী'র মানুষ হয়ে ভার্চুয়াল এই ব্লগে সম্পুর্ণ নিরাপদ থেকেও অন্যায়গুলো'র প্রতিবাদ করবো না???
সামু'কে ধন্যবাদ, ব্লগে ব্লগারদের উপর আক্রমনের বিরুদ্ধে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট স্টিকি করায়, একদিনে কিছু হয়তো বদলাবে না, কিন্তু সচেতনতা নিশ্চয়ই বৃদ্ধি পাবে, আগামীতে চোখের সামনে অন্যায় দেখলে হয়তো একজন সাধারন ব্লগারও প্রতিবাদি হয়ে উঠবে।
সবাইকে অনুরোধ, চোখে'র সামনে গুটি কয়েক পথভ্রষ্ট ব্লগারের অন্যায় আচরন দেখে দয়া করে গাঁ বাচিয়ে চলে যাবেন না, যদি আপনি প্রতিবাদ করেন তবে সেটা আরেকজনকেও প্রতিবাদি হতে সমর্থন যোগাবে!
আর যদি ভ্রুক্ষেপ না করে চলেও যান, তবে অনুরোধ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়ানো কোন প্রতিবাদী'র সামনে বাঁধা তৈরী করবেন না! আপনি কোনভাবেই সত্য ঢাকতে পারবেন না, কিন্তু সত্য প্রতিষ্ঠায় দেরী করিয়ে দিতে পারেন! যা সবার জন্যই ক্ষতিকর!
আর যদি দেশে'র উন্নতি চান, অন্যায়ের প্রতিকার চান, তবে প্রথমেই নিজ সার্কেলে'র অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে একজন হুইসেল ব্লোয়ার / বাঁশি ওয়ালা হয়ে যান!!!