✁হাই উগান্ডা!
বইমেলার মাসে ছুটির দিনের আনন্দ পুরোটা উপভোগের ষোলকলা পুর্ণ করার অভিপ্রায়ে ব্লগে চলে আসলাম! এসে না পড়তেই দেখি আনন্দের মিটারের ১০০% সবুজ দেখাচ্ছে! দেখি স্বনামধন্য এক কবির কবিতায় অখ্যাত একজন কবি মন্তব্য করেছেন এইরকম-
কবিতা পড়িয়া আমি ধারুণ আনন্দিত হইয়াছি!
আমি কিন্তু খাসা বিনোদন পাইছি উনার কাছ থেকে। বইমেলায় প্রতি বছরই অনেক ব্লগারের বই বের হয়। কেউ কেউ নতুন মুখ, আর খুব ভাল লেখেন। আবার কেউ শক্ত লিখিয়ে!
সে যাই বলেন। নতুনদের মধ্যে এই মুহুর্তে সায়ান তানভি'র নাম মনে পড়ছে। এছাড়া রাবেয়া আপুনি, ছবিপুর বই কেনার জন্য টার্গেট রেখেছি। সময় বের করে একটানা দুইদিন বইমেলায় ঘুরঘুর করে লিস্ট পুরা করব ভেবে রেখেছি!!
এর কয়েকদিন আগে অবশ্য আরেক কারবার ঘটে গেছে! শায়মা আপুর "ইচ্ছেগুলো উড়িয়ে দিলাম প্রজাপতির পাখায় ..." বইটা প্রকাশ হয়ে গেছে।
প্রকাশক বেচারা প্রস্রব যন্ত্রনায় টানা দশদিন যে কি পরিমাণ কষ্ট পাইছিল সেইটা তো আর পাঠকরা জানার কোন তোয়াক্কাই করবে না। এক প্রচ্ছদ নিয়ে যে বেচারা কি পরিমাণ ধ্যাতানি খাইছে শায়মা আপুর কাছে খাইছে সেইটা আমি কাউকে বলার নুন্যতম সাহস করিনি।
অবশেষে আমি দেখিলাম, কাভার! আহা কি দারুণ(ধারুণ পড়লে হবে নাহঃ) কাভার!! দেখুন-
এই বইয়ের কাভার যেই সেই কাভার না। এটা স্কাইলাইন থেকে ধার করে আনা রঙের কাভার! মিল্কিওয়ের এক এঞ্জেলের আঁকা কাল্পনিক মানুষের ছবি। সেই মানুষ যেই সেই মানুষ না। সে হলো এবলিস শয়তানকে ত্রিভুবন দেখানো কটকটি বেগম! যার হাতে রাম পরাজিত হয়ে উলুবনে দৌড় দিয়ে ওখানে মুক্তো ছড়ায়! সেই কটকটি বেগমের কাছে স্বয়ং মহারাজ ছাগল হয়ে ঘাস খায়!!
যাক, সেদিকে আর যাচ্ছি না। এই বই যে কিনবে না, সে যে চরম ঠকা খাবে সেটা নিয়ে কোনই সন্দেহ নাই!
✁ ট্রাম্প
আমার এক দাদু আছেন, উনি বিশাল একটা বাড়ির মালিক। উনি প্রায়ই সেইসব নিয়ে গর্ব করেন। আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে উনার আগ্রহ ছিল সে-ই লেভেলের। হিলারি খালার উনি এক পায়ে খাড়াইড্ডা সাপোর্টার ছিলেন। ইলেকশনের আগের দিন আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম "ট্রাম্প জিতলে আমি খুশি"।
সেই স্ট্যাটাস উনি দেখেছিলেন ট্রাম্প মামা জিতবার এক সপ্তাহ পরে। এর মধ্যে ইমিগ্রেশন ব্যান অর্ডার জারি হয়ে গেছে।
সেইদিন তিনি বলছিলেন, এই তাইলে তোমার ট্রাম্পের কাজকাম। আর এইটাই চাইছিলা তোমরা?
আমি কিছু বললাম না। আরো দিন যেতে দিলাম। কাল সব সাদা কালোর হিসেব চুকিয়ে দাদুভাই এসে বললেন। যাক নাতি, একটা কাজ কিন্তু হইছে। ভন্ডামির ছলাকলা এখন কম হইবো।
এরপর ছোটখাট দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে তিনি আমাকে বললেন। দাদুভাই, ট্রাম্পরে বাংলাদেশের পাওয়ার দেওন যায় না?
আমি তখন কল্পনা করলাম, সারা দেশে রব পড়ে গেছে। ট্রাম্প ইলেকশন খেলতে বাংলাদেশ আসছে শুনেই ছাগল মাথাওয়ালারা চাকু ধার করছে। জাতীয় ভ্যা ভ্যা সমিতি প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকজন সদস্য নিয়ে অনবরত ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে যাচ্ছে। কিছু লোক চোখে টিনের চশমা পড়ে, কালে বেলুন লাগিয়ে নির্লিপ্ত হয়ে চলে যাচ্ছে।
কিছু পোলাপান ফুটুস ফাটুস করে পটকা ফুটাচ্ছে। কিছু ছাগল টিরাম চাই না ব্যানার নিয়ে সুশৃংখল ভঙ্গিতে রাজপথ কাঁপাচ্ছে। কিছু গরু পতাকা মাথায় বেঁধে টিরাম তিরস্কার টিরাম তিরস্কার টিরাম তিরস্কার বলে চিল্লাতে চিল্লাতে গলা ফাঁটাচ্ছে!
এইসব ভেবে নতুন বিপর্যয়ের আশংকাটা দাদুকে খুলে বলতেই তিনি বললেন- আমাদের ফুটা থলিই ভালা। খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, মাঝে মধ্যে হাওয়া হয়ে যাচ্ছি, তবু শান্তিতে তো আছি!!
✁ বুড়া
মানুষ বুড়া হইলে উপলদ্ধি করে, যেকোন স্টেপ নেবার আগে ভাবা উচিত! সাহস সহসা হয় না। এক বুড়ো প্রৌঢ় ধাঁচের লোক একদিন দেখেছিলাম একটা ছেলেকে চকলেট বলেছিল।
ছোঁকরা মানুষ! কতই আর বয়স, ১০-১২! ছেলে তো রাগে একসের! সে করল কি! মুখ থেকে তার বাম হাতে থুতো দিতে লাগল! মাঠের ময়দান বাজার এলাকা! এয়ারফোর্সের এক সার্জেন্ট আমার সাথে বসে চা খাচ্ছিল। সেও আমার ন্যায় চোখের সাইজ বড় করে পরবর্তী ঘটনার সংশয়ে তাকাতে লাগল।
আমরা কেবল দেখলাম, কিছু করতে চাইলাম না। কমসে কম পাঁচবার থু দিয়ে একত্র করে বুড়া লোকের মুখে ছুঁড়ে দিল। আমি ফ্যালফ্যাললিয়ে কেবল দেখলাম লোকটার দিকে। মুচকি হাসতে হাসতে সে ছেলেটার দিকে এগিয়ে গিয়ে ঠাস করে চড় দিয়ে ফেলল। সাথে আশপাশের লোকগুলোও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল।
✁ ত্লগর ব্লগর মানে ধানাই পানাই
তবে বাংলায় ত্লগর এর মানে এটা করলে মানছি না! বাংলায় এর মানে হবে অগোছালোভাবে নির্দিষ্ট বক্তব্য খাপে খাপে ব্লগে তুলে ধরা!
ত্লগর শব্দটার মানে পরিস্কার করে নিলে সুবিধে হয় মনে হচ্ছে! সহজে বললে এর মিনিংটা দাঁড়াবে- ফাঁপা মারতে মারতে কোন নির্দিষ্ট ব্যাপার ব্লগসমক্ষে দাঁড় করানো!
ত্লগর শব্দটা জাভা ভাষা থেকে অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায় 'বেঢপ'! সত্য কথা বললে বাংলা ভাষায় নতুন শব্দের সম্মুখীন আমি খুব কমই হই। এই শব্দটার সঠিক অর্থ বুঝতে চলে যাই ইংরেজি অনুবাদে। পেলাম baggy! এটার সত্যিকার মানে হলো লুজ কাপড় পড়া!
তাহলে বেঢপ এর বাংলা করলে দাঁড়ালো মোটাসোটা কাপড় পরা!
✁ এট্টুক রাগ ঝাড়া!!
ব্লগে কিছু সংখ্যাক লোক মিঃ সদর উল্লা হয়ে আসেন যাঁরা নিজেদের কি ভাবেন আল্লাই জানে। প্রথমে কারোর কমেন্টে জবাব দেন না। এরপর বেছে দু একটার জবাব দেন। আরো কয়েকদিন যাবার পর দেখা যায় নয়া বাইচ্চা (মানে পোস্ট) পয়দা করে ফেলসেন। আগের যারা নিজেদের মতামত/কথা বললেন সেগুলোর প্রতি নুন্যতম সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনবোধ করেন না। আর নতুন কেউ কেউ এইসব করে টরে কয়েকদিন পরে ঝরে পড়েন না হয় ব্লগ ইন্টারেকশনের সাথে জড়িত হন।
আজব এ জগত! দ্বিমত হওয়াটা বিরাট অসম্মানের ব্যাপার বলেও কেউ কেউ মনে করেন। কারো ভাললাগা হয়ে যায় অন্যের চোখে সুঁচ! সবাইকে খুশি রেখে স্বাধীনভাবে বসবাস সম্ভব হচ্ছে না ভার্চুয়াল ও রিয়েল লাইফে।
ভুলকে প্রশ্রয় না দেবার একটা ভাল সুযোগ থাকে অনলাইনে। কিন্তু সেখানেও সেটা কি হচ্ছে? ব্লগার অতঃপর হৃদয়ের পোস্টটা কয়েকবার কম্পেয়ার করলাম পনি আপুর পোস্ট এর সাথে।
সেদিনও ওর পোস্টে ৪৫ টা বইয়ের এন্ট্রি ছিল, আর উনার এন্ট্রি ছিল সর্বসাকুল্যে ১৬ টি। বর্তমানেও গ্যাপ টা অনেক বড় রয়ে গেছে! উভয় পোস্টের শুধু মান বিবেচনা করলে হৃদয়ের পোস্ট-ই স্টিকি হওয়া যুক্তিযুক্ত।
মডারেশন থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেখানে এই অধম নিরব!
✁ মশা
আচ্ছা কখনো কি একটা মশা নিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখেছিলেন? লেন্স লাগিয়ে দেখে নিয়েন একটু।
এই মশা তো হাতের উপরে। ধরেন, আমাদের উচ্চতার চেয়ে আরো উঁচু যদি এরা হইতো তাইলে কি হইতো? আপনার আমার ঘরে অন্তত একটা কামান থাকতে হইতো না? মশারা আকাশ হতে ভ্যানননন ভ্যাননন করে আসতো আমাদের রক্ত চুষে খেতে। হাত পায়ে মুখে ঠ্যাং দিয়ে ঠেসে ধরে রক্ত চুষে নিত তখন!!!! বাপরে!
আল্লা বাঁচাইসে, মশাগুলা অতো বড় হয়নাই। ছোট থাইক্কাই যা দেখাচ্ছে!!!!!!!
✁ বিনোদন
আমার রুম থেকে মাঝে মাঝে পাশের বাসা থেকে টিভির আওয়াজ শুনি। একটা পুংটা ছেলে থাকে ওদের ওখানে। তাই মাঝে মাঝে সময় জোরেই সে বাজায়। কিন্তু সে কেন যে এইগুলা বাজায় আমি চিন্তা করে বের করতে পারি না। এত বোরিং আর মিনিংলেস ফালতু গান যেই ইন্ডাস্ট্রিতে চলে, তার উন্নতির আশা করা আর আকাশডিম্ব দেখা তো একই কথাই!!!
যাক, শেষে দু একটা বিনোদন দিতে চাচ্ছি! দেখেন কি অবস্থা!!
আরে ছাগল! সুন্দরি মেয়ে, খালি এইচডি/এমআই/হাই কোয়ালিটি সিনের সাথে (কপিত) আংচু পাংচু ডায়লগ আর টিংটুং দিলেই কি সেইটা শিল্প হয়ে যায়? বলিউডের গোলাপি রঙ, স্টেজ কপি করে এরা এইদেশে ইনভেস্ট করতে চায়। মানুষ পচাবো না তো কি করবো?
কলকাতায়ও যেমন কিছু ছাগলমষ্তিষ্কের লোক ফিল্মে কাজ করে তেমনি আমাদের দেশেও আছে! এরা ফিল্মকে একটা হাসির খোরাক বানিয়ে জোর করে দখল করে রেখেছে। মাঝে মাঝে সফটো নিয়া কাজ বাদ দিয়া এইসব করতে ইচ্ছা করে!! রাঘ লাগে!!
✁ কিছু প্যারোডিঃ
এইগুলা ভাল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০