somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটু শীত একটু গরম :)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা থেকে শুরু করলাম বৃহস্পতিবার। দুপুরে ব্যনার রেডি করে যাত্রার উদ্দেশ্যে রেডি হলাম অনেকি তাড়াতাড়ি। তাড়াহুড়োর কারনে টাকা , আইডি কিছুই নিতে মনে ছিল না :((। পরে রিকশা করে ফিরে এলাম সেগুলি নিতে।

গুলিস্তান যাব।
চানখারপুল থেকে জ্যাম শুরু হল। ওদিকে বিকাশে ডোনারদের টাকাও আসতে থাকল। পৌঁছেই অর্ডার করা কম্বল গুলি ডেলিভারি নিলাম। ভ্যানে করে মোহাম্মাদপুর। মাঝে ঢাবির টিএসসি তে বন্ধুদের থেকে চেয়ে হায় নিলাম B-)। তুষার ভাই এর সাথে কম্বল নিয়ে ভ্যানের উপর করে যেতে ভালই লাগছিল। মোহাম্মাদপুরে পরিচর্যাতে তাহসিন ভাই ওয়েট করছিলেন আমাদের হাতে শীতের কাপড় হস্তান্তর করার জন্য। গিয়ে আমি আর তুষার ভাই তো অবাক।



ও আল্লাহ!
এত কাপড়? :-*
আর এগুলি কিভাবে নিব? :-*
কিছু করার নাই। বড় ভাই তাহসিনের চাপে পিক আপের খোজে বেড়িয়ে পড়লাম। কিছুক্ষন বাদেই পেয়েও গেলাম। কাপড়গুলি বড় পিক আপে আমি আর পাভেল লোডিং করলাম। X(

বাপরে বাপ।
দুইজনেরই কোমর ধরে গেল।
পরে পিকআপের উপরেই রওনা হলাম বারিধারায়। পয়ত্রিশটা চালের বস্তা কিনলাম, কি আর করা এর মধ্যে করেই নিতে হবে যেহেতু কাপড়গুলি Unsorted ছিল। পিক আপ থেকে বাসে আনলোড লোড করতেই অনেক সময় লাগল।

এর ফাকে নাস্তা সেরে নিলাম। এটাই যে ডিনার হবে আগে জানলে ভরপেট খেয়ে নিতাম /:)। যাই হোক এবার উত্তরা থেকে কম্বল আর কাপর নেয়ার পালা। জানিনা কি ওয়েট করছে সেখানে।

কর্নেল জাহিদ স্যারের বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করে স্যারকে ফোন দিলে জানালেন সব রেডি করা আসে ১১ নং মসজিদে। স্যার অবশ্য আসলেন আমাদের সাথে দেখা করতে। মসজিদ থেকে YDRLAB এর সদস্যরাও আমাদের সাথে বাসে উঠলেন। কিন্তু কম্বল আর কাপড় বাসের অর্ধেক এবং ছাদ দখল করায় তারা বিপত্তিতে পরলেন। কিন্তু যেহেতু সবাই অনেক আশা করে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে আগে থেকেই রওনা হয়েই ছিলেন তাই তওফিক ভাই কাউরেই নিরাশ করলেন না :|

DAAC এর কেউই আমাদের সাথে আলাদা করে যাত্রায় অংশ নেননি। আমি আর তওফিক ভাই দুইজনই DAAC কে রিপ্রেজেন্ট করলাম। তাদের টাকা আর কাপড় আমাদের আগেই পৌঁছে দিয়েছিল।

আমাদের যাত্রা শুরু হল ১১ টায়। উদ্দেশ্য ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার দুর্গা পুর।

গাজিপুর থেকে আরিফ ভাইকে তুলে নিলাম। গাড়ি আর রাস্তা দুইটার অবস্থা একই রকম ছিল। এত দীর্ঘ পথ এইভাবে পাড়ি দিতে অবশ্যই বেগ পেতে হবে। ঘন কুয়াশার দেখা মিলল একটু বাদেই। ময়মনসিংহ যেতে যেতে আমার অবস্থা ডাল হালুয়া হয়ে গেল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তুষার ভাই আর পাভেল কে কম্বল আর সোয়েটার দিয়ে বাকিরা রওনা হলাম দুর্গাপুরের দিকে।

ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘটল এক বিপত্তি। :-/
ড্রাইভার আর আমদের গাইড কেউই রাস্তা মেলাতে পারলেন না। মাঝে এক বৃদ্ধ চাচার পরামর্শে আমরা রাস্তার শেষ মাথায় এসে দেখলাম সামনে নদী। পড়ে সবাই রাস্তা হারিয়ে ভয় পেলে গেলাম। কিছু দূর ব্যাক করে একটা জায়গায় ডাকাডাকি করে একজনকে ঘুম থেকে তুলে পথের দিক নির্দেশনা নেয়া হল। সাড়ে সাতটায় পৌঁছলাম নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার কাকড়াকান্দিতে। নাস্তা খেয়েই কাজে লেগে পড়ল সবাই। আগের ঠিক করা ব্যবস্থা অনুযায়ী শীতবস্ত্র প্রাপ্যদের ডাকা হল। দুপুর পর্যন্ত আমরা বিতরন করলাম। শিশু, নারী , পুরুষ, উপজাতি নারী, নওমুসলিমদের কম্বল সোয়েটার মোজা কানটুপি দেয়া হল।

ছবিঃ
ময়মনসিংহ ...







নেত্রকোনাঃ






কাজ শেষ এবার আমাদের পালা। B-) ;)

বাইক ভাড়া করা হল ছয়টা । আমরা ১২ জন ছিলাম। নেত্রকোনার কাকড়াকান্দিতে দর্শনীয় স্থান ঘোরা হল। তার মধ্যে নীল পানি, ভারতের সীমান্ত, খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুল, সিরামিকের পাহাড়, আর বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি উল্ল্যেখ্য। যারা আমাদের হোস্ট করল তাদের বাড়িতে দুপুরে সেইরাম একটা ভোজ সেরে আমরা সাড়ে তিনটায় ঢাকার পথে রওনা করলাম। ময়মনসিংহ থেকে তুষার ভাই আর পাভেল কে তুলে নিলাম। রাতে বাসে কার্ড খেলার আসর বসল। রাস্তার জ্যাম থাকার কারনে আমরা ঠিক সময় আসতে পারি নাই। দেরি হওয়ার আমদের একান্ত শ্রদ্ধেয় তওফিক ভাই আমদের হোটেলে সবাইরে একটা ট্রিট দিলেন। খাওয়ার পাশাপাশি সবাই যার যার অভিজ্ঞতা শেয়ার করল। আমরা ঢাকায় রাত সাড়ে বারটায় পৌঁছলাম।

এই ছিল আমাদের South Asian Youth Society (SAYS) এর Sharing Warmth ইভেন্টের গল্প।


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×