জামায়াতি এই বন্ধনের ফলাফল কী হল?
আজকের এই মানববন্ধনের ফলাফল কী? একটা বড়োসড়ো শূন্য। বরং এই মানববন্ধন যেহেতু জামায়াতিরা করেছে বলে চারদিকে চাউর হয়েছে, সরকার একে দু পয়সার মূল্যও দেবে না। এইখানে উল্টো একটা ক্ষতি হয়ে গেল। তবে তার চেয়ে ক্ষতি হয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেপথ্য আয়োজকদের। দলীয় কর্মসূচিতে ব্লগারদের ব্যবহার করার যে আশা তারা করেছিল, সেটা পুরো মাঠে মারা গেছে। মানববন্ধনের প্রকৃত রহস্য প্রকাশ পাওয়ার পর স্টিকি পোস্ট থেকে জামায়াতের আয়োজকদের নাম মুছে, পুরো পরিকল্পনায় রাতারাতি যোজন-বিয়োজন-পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজেদের আড়াল করার জন্য যথেষ্ট কসরত করতে হয়েছে তাদের।
কারা ছিল আজকের ছাগবন্ধনে?
মানববন্ধনে যাওয়া হাতেগোনা যে কজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন পোস্টে পোস্টে, দু একজন ছাড়া তাদের সবাই জামায়াত সমর্থক কিংবা শিবির কর্মী হিসেবে ব্লগে অনেকদিন ধরে চিহ্নিত। আর মাত্র তিনজনের ব্যাপারে বলতে পারি, তারা শ্রেফ বিভ্রান্ত হয়ে কিংবা আয়োজকদের সম্পর্কে না জেনে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। ব্লগার কৌশিকের নাম আমরা দেখেছি। তিনি মূলত গিয়েছিলেন মোশরেফা মিশুকে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিতে, যা আয়োজিত হয়েছিল আজকের জামায়াতি মানববন্ধনের পাশেই। নিতান্ত কৌতূহলবশত তিনি ঢুঁ মেরেছিলেন ছাগবন্ধনে। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কয়েকজন মেয়েকে সামনে রেখে আরেক কৌতুককর কাণ্ড করার চেষ্টাও করেছিল দেখছি।
স্টিকি পোস্টে দলীয় প্রচারণা
স্টিকি পোস্ট এডিট করে দলীয় প্রচারণা চালানো যায় কিনা - সেটা একটা বড়ো প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্লগাররা জানেন, স্টিকি পোস্টের লেখক তায়েফ আহমেদ কর্তৃপক্ষের সরলতার সুযোগ নিয়ে পোস্ট এডিট করে দুজন জামায়াত-শিবির নেতার নাম ও ফোন নম্বর যুক্ত করেছিলেন। ব্লগার সামী মিয়াদাদ এ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের অবতারণা করেছেন এই পোস্টে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৮ সালে প্রায় এই ধরনের কাজ করার অভিযোগে ব্লগার এস্কিমো ও রাশেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সবাই
ভারতের দাদাগিরি আর সীমান্তে বিএসএফের অব্যাহত সন্ত্রাসের প্রতিবাদ নিয়ে কারোরই কোনো দ্বিমত নেই। তবে এর প্রতিবাদে জামায়াতিরা খোলা রাস্তায় মলত্যাগ করে আসলে, আমরা মনে করি না তার জবাব হিসেবে পাল্টা মলত্যাগ করে আসতে হবে। মূল প্রশ্নটা হচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধী ঘৃণ্য জামায়াতিদের সঙ্গে আমরা এককাতারে শামিল হতে পারি কিনা। একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, একজন পতিতা যদি ভারতবিরোধী আন্দোলনে নামে, তার সঙ্গে যাবো কিনা। বলেছি, পতিতার সঙ্গেও প্রতিবাদে শামিল হতে রাজি, কিন্তু ঘৃণ্য জামায়াতিদের সঙ্গে কিছুতেই না, কখনোই না - যে বেশেই তারা আসুক না কেন।
তবে ঘৃণ্য স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে কিছুতেই না
এই ঘৃণ্য জামায়াতিরা একাত্তরে আমার দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে গণহত্যাসহ এমন কোনো উপায় নেই যা অবলম্বন করেনি। আজ তারা সাধারণ মানুষের ভারতবিরোধী মনোভাবকে পুঁজি করে দেশপ্রেমের প্রদর্শনী করতে চাইছে - এর থেকে হাস্যকর, এর চাইতে ভণ্ডামি আর কী হতে পারে? দেরিতে হলেও সাধারণ ব্লগাররা জামাতিদের ভণ্ডামির স্বরূপ বুঝতে পেরেছেন।
যে যেভাবে পারি, যার যার অবস্থান থেকে সীমান্তে বিএসএফের অব্যাহত সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করে যাবো। ভারতকে এজন্য শুধু দুঃখ প্রকাশ করলেই হবে না, আনুষ্ঠানিকভাবে চাইতে হবে ক্ষমা। আর এই যাবত বিএসএফের হাতে আমার দেশের যতো মানুষ খুন হয়েছে, প্রতিটি হত্যার বিচার করতে হবে। তবে শুধু মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মব্যবসায়ী ঘৃণ্য জামায়াতিদের সঙ্গে কিছুতেই নয়, কখনোই নয়।
প্রতিক্রিয়া পোস্ট : পক্ষে-বিপক্ষে
জামায়াতের প্রতি সমবেদনা
জাশিদের জন্য দুঃখ হলো। একটা মানব বন্ধন সেটাও নিজেদের ব্যানারে করতে পারলো না
শত শত ছাগলের প্রতিবাদী ল্যাদাতে সফল হলো আজকের ছাগ বন্ধন
সাইবার ক্যাম্পেইন থেকে রাজপথে মাইকিং.. বাংলার তারুন্যের ঐক্যের মানববন্ধন
ছবিব্লগ : প্রেসক্লাবে আজকের মানববন্ধন অবশেষে সফল হল...
ল্যাঞ্জা দেখান, গেলমান হোন। জাতীয় প্রেসক্লাব হোক আজ মগবাজারীদের ল্যাদানিস্থান
সুশীল যে কারণে দেখতে পারি না
ফেলানি মানববন্ধন : কিছু রহস্য যার উত্তর খুঁজে ফিরি
ফিউশন ফাইভ বোমা
সফল মানববন্ধন : ছবিব্লগ
আজকের মানববন্ধনে আপুদের (বোরখা ছাড়া) উপস্থিতি কি প্রমান করলো এটা ছাগুদরের মানববন্ধন?? (উৎসর্গ ফিফা দাদাকে)
চলমান যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রক্রিয়া রূদ্ধ করার হাস্যকর প্রচেষ্টা এই 'ভারত পাকিস্তান সমান অপরাধী' প্রপাগান্ডা!
ব্লগার মুন্সিয়ানা, শ মশীর, কৌশিক, স্পেলবাইন্ডার, খোমেনী এহসান, শিপুভাই...
স্টিকি-পরবর্তী সময়ে পোষ্টে গুরুত্বপূর্ন তথ্য সংযোগ কতটুকু নৈতিক?
কেন আমি আইজকার মানব{ছাগ}বন্ধনে যাই নাই
ফিকশন পাইপ ভাইকে বলছি, আমাদের ভালবাসলে সামনে আসুন ,একসাথে কাডল পাতার ভাগ দিমু
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৫