কিছুদিন আগে "মিলা"র "রিডিফাইন্ড" এলবাম রিলিজের পর ব্লগে তার বেশ কিছু রিভিউ পোস্ট এসেছিল। যেহেতু এইরকম কমপ্লিট "গভীরতাহীন","শিল্পবোধবর্জিত" "ননসেন্স" যখন তখন দেখা যায় না, সেহেতু এটা নিয়ে আমার ঘৃণা প্রকাশ করাতে অনেকে অখুশিও হয়েছেন। "গনতান্ত্রিক দেশে সব মতেরই সমান অধিকার" এই অপ্তবাক্য প্রায় সবার বোধগম্য হলেও "ইমপ্লিমেন্টেশন" এ কিছু সমস্যা দেখা যায়। কারন নিজের অপছন্দের কথা জানাতে গিয়ে উল্টা কয়েকটা "আমার পোস্টে আর আসবেন না", "অভদ্রের মত কথা বলবেন না","মিউজিক বেশী বুইঝা ফালাইছেন" জাতীয় রিপ্লাই পেয়ে চুপ মেরে গেলাম। কারন মিলার ভক্তদের তো আমি জবাবদিহী করতে যাই নি যে তারা কেন মিলা কে পছন্দ করেন। আমি আমার পার্ট বলছিলাম। যাই হোক আজকে প্রথমআলোর বিনোদন পাতায় মিলার এলবামের রিভিউ পড়ে বেশ মজা পেলাম। আমি বলছি না কথা গুলো শ্রদ্ধেয় রফিকুজ্জামান করেছেন দেখে সবার বেদবাক্য হয়ে যাবে, কিন্তু কথাগুলো শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
"তিনটি সিডির কথা আমি একত্রে বলব। তিশমার এক্সফ্যাক্টর, মিলার রিডিফাইন্ড, কানিজ সুবর্নার একলাআকাশ। গানগুলোর "নয়েজ", বিকৃত উচ্চরন,চিৎকার, ফিসফিসানি এবং গানের মোড়কে সরবরাহকৃত ছবিগুলোই বলে দেয় এগুলো অপরিনত মস্তিস্কের তরুন বয়সীদের দৈহিক কসরতের গান। পরিণত বুদ্ধির জন্যে নয়। এর মধ্যে নমিলার নিশা লাগিল রে প্রচলিত গানটিকে বিকৃত এবং নোংরা করে দিয়েছে। ভুল উচ্চারন এবং বাচনভঙ্গীতে নজরুলের ধুমকেতু তো রীতিমত অশ্লীল। কবি মারজুক রাসেল তিশমার কোঁথ দেয়ার ভঙ্গিতে গায়কীর জন্যে অর্থবিভ্রাট সত্বেও কেন এলবামে লিখলেন বুঝলাম না। আর 'র' এবং 'ড়' এর উচ্চারনের অশ্লীলতা গানগুলোতে প্রচুর। কানিজ সুবর্নার উচ্চরনও অশিক্ষিতের মত খারাপ। 'ভালো' কে বলে 'বালো', 'বেড়াও' কে 'বেরাও', 'জুড়ে ' কে 'জুরে' । তবু এসব হয়ত 'হিট' হবে। কিছু না 'পড়া' আর কিছু না 'পরা' যাদের কাছে একই তাদের 'ন্যাংটো ' বোধ নিয়ে মাথা ঘমিয়ে লাভ কি "
